কানে শোঁ শোঁ শব্দ হওয়া (Ringing in ear)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

এই সমস্যাটি টিনিটাস নামেও পরিচিত।  দেহের বিভিন্ন অন্তর্নিহিত রোগ যেমন সারকুলেটরী সিস্টেম ডিজঅর্ডার ও কানের কোনো আঘাতের ইত্যাদি কারণে এই লক্ষণ দেখা যায়। আবার বয়স বাড়ার কারণেও এটি হতে পারে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন: 

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

এ লক্ষণের জন্য ঝুঁকিপুর্ণ বিষয়গুলো হলো:

  • দীর্ঘ সময় উচ্চ শব্দের কাছাকাছি থাকলে কানের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সেনসরি হেয়ার সেল (যা শব্দ ব্রেইনে পাঠায়) ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যারা সুরকার, সৈনিক কিংবা ন্সট্রাকশনে কাজ করে তাদের কানে এই সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি।
  • বয়স বাড়ার সাথে সাথে কানের নার্ভ ফাইবারের কার্যক্ষমতা কমে যায়। যার কারণে শ্রবণশক্তি কমে যায় এবং কানে শোঁ শোঁ শব্দ হয়।
  • যারা ধূমপান করে তাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
  • বিভিন্ন কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যা যেমন উচ্চ রক্তচাপ, অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস (ধমনী সরু হয়ে যাওয়া) ইত্যাদির কারণে রক্ত প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয় যার কারণে টিনাইটাস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষ ও মহিলা উভয়ের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতি: শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তর: এই সমস্যার কোনো ভাল চিকিৎসা নেই। বেশিরভাগ সময়ে এটি দীর্ঘসময় স্থায়ী হয়ে থাকে। তবে কোনো ধরনের ইনফেকশনের কারণে এই সমস্যা হলে তার চিকিৎসা রয়েছে। কানের এই শোঁ শোঁ শব্দ নিয়ন্ত্রন করার একমাত্র চিকিৎসা বা পন্থা হলো অন্য কোনো ধরনের সুমধুর শব্দ শোনা। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে এই লক্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভব:

  • উচ্চ শব্দের কারণে কানের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই কানে এমন কিছু ব্যবহার করতে হবে যা কানকে সুরক্ষা প্রদান করবে।
  • কোনো কিছু শোনার সময় শব্দ কমিয়ে নিতে হবে।
  • দেহের সংবহনতন্ত্র যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।