লক্ষণটি মাথা ঝিমঝিম করা, পড়ে যাওয়ার অনুভূতি হওয়া, মাথা হালকা অনুভূত হওয়া ও ভারসাম্য হারানো ইত্যাদি নামেও পরিচিত।
মাথা
ঘোরা বলতে দুর্বল অনুভব করা, মাথা হালকা অনুভব করা ও শরীর টলমল করার মতো
সমস্যাকে বোঝায়। এই সমস্যার কারণে চারপাশের সবকিছু ঘুরছে বা সরে যাচ্ছে বলে
মনে হয়।
অনেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিই এই সমস্যায় ভুগে থাকে। মাথা
ঘোরা দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হলে তা স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটায়। তবে
এটি কোনো গুরুতর রোগের লক্ষণ নয়। মাথা ঘোরার কারণ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য
লক্ষণের উপর নির্ভর করে কার্যকরভাবে এর চিকিৎসা করা সম্ভব।
বয়স: ৬৫ বছরের চেয়ে বেশি বয়স্ক ব্যক্তিরা সেই সব রোগে বেশি
আক্রান্ত হয় যেসব রোগের কারণে মাথা ঘোরার লক্ষণ দেখা দেয় । এই বয়সের
ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে এমন কিছু ঔষধ গ্রহণ করে থাকে যেগুলির কারণেও অনেক
ক্ষেত্রে মাথা ঘোরার সমস্যা হতে পারে।
নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ গ্রহণ:
উচ্চ রক্তচাপ, মৃগী রোগ, স্নায়বিক উত্তেজনা রোধকারী ঔষধ ও সিডেটিভ গ্রহণ
করলে মাথা ঘোরার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
পূর্বে মাথা ঘোরার সমস্যা থাকা: পূর্বে আপনার মাথা ঘোরার সমস্যা হয়ে থাকলে ভবিষ্যতেও আপনার এই সমস্যা হতে পারে।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গ: নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
জাত: কৃষ্ণাঙ্গ
ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা
সম্ভাবনা থাকে।
উত্তরঃমাথাঘোরা স্থায়ী হলে তা মধ্যকর্ণের ভাইরাসজনিত ইনফেকশনের লক্ষণ হতে পারে।।
হেলথ টিপস্
মাথা ঘোরানোর সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করুন।
মাথা ঘোরানোর জন্য শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে আপনি পড়ে গিয়ে আঘাত পেতে পারেন, তাই এ সময় আপনাকে সাবধান হতে হবে।
মাথা ঘোরালে হঠাৎ করে স্থান পরিবর্তন করবেন না।
ঘরের
মেঝেতে এমন কোনো বস্তু রাখবেন না, যাতে বাধা পেয়ে পড়ে গেলে আপনি
ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন, যেমন- ইলেকট্রিক কর্ড। এছাড়া বাথরুমে পিচ্ছিল ম্যাট
ব্যবহার করবেন না।
মাথা ঘোরানোর সাথে সাথে বসে বা শুয়ে পড়ুন।
ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ান।
আপনার প্রায়ই মাথা ঘোরানোর সমস্যা হলে গাড়ি চালনা এবং ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
সিঁড়িতে এবং রাতে বিছানা থেকে উঠে আপনি যে স্থানে হাঁটাচলা করেন সেই স্থানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখুন।
শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনে হাঁটার সময় লাঠি ব্যবহার করুন।
ক্যাফেইন,
অ্যালকোহল ও তামাক গ্রহণ করা পরিহার করুন। অতিরিক্ত পরিমাণে এসব দ্রব্য
গ্রহণের ফলে আপনার মাথা ঘোরানোর সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।