ব্রঙ্কিয়েক্টেসিস (Bronchiectasis)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

এটি ব্রঙ্কিয়েক্টেসিয়া (Bronchiectasia) নামেও পরিচিত। এই অবস্থায় ব্রঙ্কিয়াল টিউব স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও বড় হয়ে যায়। এর কারণে ফুসফুসে সহজেই মিউকাস ও ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয় যার কারণে শ্বাসনালীতে ইনফেকশন ও ব্লকেজ দেখা যায়। চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ সম্পূর্ণভাবে ভাল না হলেও ব্যক্তি পুনরায় সুস্থ স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারে।

কারণ

ফুসফুসের ইনফেকশনের কারণে শ্বাসনালীর প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত হলে ব্রঙ্কিয়েক্টেসিস হয়ে থাকে। যেসব ইনফেকশনের কারণে এই রোগ হয়ে থাকে সেগুলো হলোঃ

  • নিউমোনিয়া
  • হুপিং কাশি বা হাঁচি
  • টিউবারকুলেসিস
  • ফাঙ্গাল ইনফেকশন

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যে সকল বিষয়ের কারণে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় সেগুলো হলোঃ

  • পাকস্থলি থেকে নিঃসৃত গ্যাস্ট্রোইসোফ্যাগাল রিফ্লাক্স বা ক্ষতিকর পদার্থ নিঃশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণের ফলে শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া।
  • অ্যালার্জি, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ইনফ্লামেটরী বাওয়েল ডিজিজ বা এইচ-আই-ভি ইনফেকশনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে।
  • জন্ম বা বংশগত সমস্যা যেমন- সিস্টিক ফাইব্রোসিস।
  • খাবার খাওয়ার সময় হঠাৎ করে শ্বাসনালীতে খাবার আটকে যাওয়া।
  • বুকের টিউমারের আকার বেড়ে যাওয়া এবং এর কারণে শ্বাসনালী ব্লক হয়ে যাওয়া।
  • মিজেলস, হুপিং কাশি, টিউবারকুলেসিস ও নিউমোনিয়ার কারণে শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভবনা ১ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম। হিস্পানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ৩ গুণ কম। অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ২ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

রোগীর মধ্যে নিম্নলিখিত লক্ষণ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবেঃ

  • জ্বর থাকা।
  • হাঁচি ও কাশি হওয়া।
  • লক্ষণের তীব্রতা না কমা।

ধূমপানের কারণে ব্রঙ্কাসে জ্বালপোড়া হয়। এর কারণে ব্রঙ্কাসে ইনফ্লামেশন হয় এবং তা ক্ষতিগ্রস্ত হয় যা নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও ধূমপানের কারণে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্থ হয় যার ফলে এমফাইসিমা, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস ও ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে। তাই সকলেরই ধূমপান থেকে বিরত থাকা উচিৎ।

হেলথ টিপস্‌

কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় না, অন্যান্য ক্ষেত্রে চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ ভাল হয়ে যায়। তাই এই রোগের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য সমস্যার ঝুঁকি এড়াতে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। শিশুদের সঠিক সময়ে টিকা বা ভ্যাকসিন দিতে হবে।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

ডাঃ গোবিন্দ চন্দ্র রায়

কার্ডিওলজি ( হার্ট) ( Cardiology), মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(মেডিসিন), এমডি(কার্ডিওলজী)

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আজিজুল ইসলাম

মেডিসিন ( Medicine), সার্জিক্যাল অনকোলজি ( Surgical oncology)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(মেডিসিন), ওজেটি(মেড অনকোলজি)

অধ্যাপক ডাঃ এ কে এম ফজলুর রহমান

মেডিসিন ( Medicine), কার্ডিওলজি ( হার্ট) ( Cardiology)

এমবিবিএস,, এমডি(কার্ড),, ডি-কার্ড(ডিইউ),, এমসিপিএস(মেডিসিন),, এফআইসিসি(ইউএসএ)

অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল কাদের আকন্দ

মেডিসিন ( Medicine), কার্ডিওলজি ( হার্ট) ( Cardiology)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(মেডিসিন), এমডি(কার্ডিওলজী), এফএসিসি(আমেরিকা)

ডাঃ শহিদুল্লাহ সবুজ

মেডিসিন ( Medicine), নিউরোলজি ( স্নায়ুতন্ত্র) ( Neurology)

এমবিবিএস,, এফসিপিএস(মেডিসিন),, এমডি(নিউরোমেডিসিন)

লেঃ কর্ণেল ডাঃ মোঃ মাকসুদুর রসুল

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস, এমসিপিএস (মেডিসিন), এফসিপিএস (মেডিসিন)

ডাঃ মোঃ রসুল আমিন(শিপন)

মেডিসিন ( Medicine), কার্ডিওলজি ( হার্ট) ( Cardiology)

এমবিবিএস(ঢাকা), এমডি(কার্ডিওলজি), এফসিপিএস(মেডিসিন)

প্রফেসর ডাঃ এ.কে.এম. মূসা

মেডিসিন ( Medicine), পালমোনোলজি ( ফুসফুস) ( Pulmonology)

এবিবিএস(ডিএমসি), এফসিপিএস(মেডিসিন), এমসিপিএস(মেডিসিন), ডিটিসিডি গোন্ড মেডালিষ্ট (এফসিপিএস)