ফুসফুসের অ্যাবসেস/পূঁজ (Abscess of the lung)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

ফুসফুসে কোন কারণে পুঁজ জমলে থাকে অ্যাবসেস বলা হয়ে থাকে । সাধারণত নিউমোনিয়া বা টিউবারকুলেসিস রোগের যথাযথ চিকিৎসার অভাব হলে বা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে জীবাণু ফুসফুসে গেলে তা পুঁজ হিসেবে জমতে শুরু করে যা পরবর্তীতে অ্যাবসেস এ পরিণত হয়। বমি, খাবার বা অন্য কোনো পদার্থ শ্বাসনালীতে কোনো কারণে আটকে গেলে ফুসফুস থেকে মিউকাস নিঃসরণ ব্যহত হয়, এই মিউকাস জমাট বেধে ফুসফুসে ইনফেকশন হয় যা থেকে পরবর্তীতে ফোঁড়ার সৃষ্টি হয়ে থাকে।  সাধারণত কাশির সাথে শ্বাসনালীতে জমে থাকা বস্তু বেরিয়ে আসলে তা অ্যাবসেস সৃষ্টি হওয়া প্রতিরোধ করে। কোন কারণে ব্যক্তি অচেতন হলে যেমন- মাথায় আঘাত লাগা, সার্জারীর কারণে অ্যানেস্থেসিয়া গ্রহণ, নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ বা অতিরিক্ত মদ্যপানের প্রভৃতি কারণে জীবাণু খুব সহজেই ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং ইনফেকশনের সৃষ্টি করে।

টিউমারের কারণেও এই রোগ হতে পারে। ফুসফুসের রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধলে টিস্যু নষ্ট হয়ে যায়। এই নষ্ট টিস্যু জীবাণু দ্বারা খুব সহজেই আক্রান্ত হয় এবং অ্যাবসেস সৃষ্টি করে। কয়েকদিনের মধ্যেই এই রোগের লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করে। এটি কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয় এবং অ্যান্টিবায়োটিকের দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের মাধ্যমে এটি ধীরে ধীরে ভাল হয়ে যায়।

কারণ

যেসব কারণে সাধারণত ফুসফুসে ফোঁড়ার সৃষ্টি হয় সেগুলো হলোঃ

  • ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন যেমন- নিউমোনিয়া বা টিউবারকুলেসিস এর যথাযথ চিকিৎসা করানো না হলে।
  • ফুসফুসের ফাঙ্গাল ইনফেকশনের কারণে।
  • দাঁতের বা মাড়ি্র ইনফেকশনের (পেরিডোনাইটিটিস) কারণে ফুসফুসে জীবাণু প্রবেশ করলে।
  • ফুসফুসের টিউমারের কারণে শ্বাসনালী ব্লক হয়ে গেলে।
  • এইডস এবং ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তি্দের ক্ষেত্রে। 
  • ব্রঙ্কাসের কার্সিনোমার সমস্যা থাকলে।
  • যেকোন ধরনের শ্বাসরুদ্ধতা বা পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে ফুসফুসে পানি প্রবেশ করলে।

লক্ষণ

চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের মধ্যে সাধারণত নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখতে পানঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যেসব বিষয়ের কারণে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়ঃ

  • মদ্যপান ।
  • ড্রাগ মিসইউজ বা ঔষধের অপব্যবহার করা।
  • ডায়াবেটিস মেলাইটাস, কঞ্জেনিটাল হার্ট ডিজিজ, ক্রনিক লাং ডিজিজ যেমন- সিস্টিক ফাইব্রোসিস।
  • শিশুদের মধ্যে ক্রনিক গ্র্যানুলোম্যাটাস ডিজিজ ।
  • গুরুতর পর্যায়ের পেরিওডন্টাল ডিজিজ।

এছাড়া স্ট্রোক, সেরেব্রাল পালসি ও মানসিক বিকলাঙ্গতা্র কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, সেক্ষেত্রে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

 লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ২ গুণ কম।

 জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১০ গুণ কম।  

সাধারণ জিজ্ঞাসা

এই রোগটি কোনো ক্রনিক ডিজিজ নয়। তবে, এই অবস্থায় ব্যক্তি বিভিন্ন জটিলতা যেমন-শ্বাসকষ্ট-এর সম্মুখীন হয়। তাই, ব্যক্তির রেগুলার চেস্ট ফিজিওথেরাপি ও অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয়। কখনও কখনও অপারেশনও করানোর প্রয়োজন হতে পারে।

জ্বর থাকলে, রাতে ঘাম হলে এবং লক্ষণ আরও গুরুতর পর্যায়ে চলে গেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। 

হেলথ টিপস্‌

ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই রোগের চিকিৎসা করানো সম্ভবঃ

  • ধূমপান ছেড়ে দিতে হবে।
  • ধূমপানকারী থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
  • ব্যথার জন্য অ্যাসিটামিনোফেন, ইবিউপ্রোফেন, কেটোপ্রফেন, ন্যাপ্রোক্সেন গ্রহণ করতে হবে।
  • সময়মত ঔষধ খেতে হবে।
  • ঔষধের প্বার্শপ্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে সচেতন থাকতে হবে।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

ডাঃ ইন্দ্রজিৎ কুমার দত্ত

মেডিসিন ( Medicine), গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি ( খাদ্যনালী, পরিপাকতন্ত্র) ( Gastroenterology)

এমবিবিএস (ডিএমসি), এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (গ্যাষ্ট্রো)

ডাঃ মোঃ আবু শোয়েব তালুকদার

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস,, এমআরসিপি(ইউকে)

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাঃ সৈয়দ আসিফ ইকবাল

মেডিসিন ( Medicine), কার্ডিওলজি ( হার্ট) ( Cardiology)

এমবিবিএস(ঢাকা), এফসিপিএস(মেডিসিন)

অধ্যাপক ডাঃ মিনহাজ রহিম চৌধুরী

রিউম্যাটোলজি ( বাতরোগ) ( Rheumatology), মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস, এফসিপিএস, ডিডিসিডি, এমডি

ডাঃ মোঃ জাহিদুল ইসলাম

মেডিসিন ( Medicine), কার্ডিওলজি ( হার্ট) ( Cardiology)

এমবিবিএস(স্বাস্থ্য), এমডি(কার্ডিওলজী), এফসিপিএস(মেডিসিন)

অধ্যাপক ডাঃ ফজলুর রহমান

মেডিসিন ( Medicine), কার্ডিওলজি ( হার্ট) ( Cardiology)

এমবিবিএস(ঢাকা), , এমসিপিএস(মেডিসিন), , ডি-কার্ড(ডিইউ), , এমডি(হৃদরোগ),, এফএসিসি(আমেরিকা)

ডাঃ নাসির আহমেদ

মেডিসিন ( Medicine), নেফ্রোলজি ( কিডনি) ( Nephrology)

এমবিবিএস, এমসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (নেফ্রোলজী)

ডাঃ মোঃ বজলুর রশীদ

মেডিসিন ( Medicine), কার্ডিওলজি ( হার্ট) ( Cardiology)

এম বি বি এস, এম ডি (কার্ডিওলজী)