বিষণ্নতাজনিত সমস্যা (Depressive or Psychotic symptoms)
শেয়ার করুন
বর্ণনা
লক্ষণটি ব্লানটেড অ্যাফেক্ট (Blunted affect), কন্সট্রিকটেড অ্যাফেক্ট
(Constricted affect), মনোযোগে ব্যাঘাত, উন্মাদনা ও মেজাজ পরিবর্তন নামেও
পরিচিত।
ব্লানটেড অ্যাফেক্ট বলতে মানসিক (বা আবেগিক) প্রতিক্রিয়ার
অভাবকে বুঝায়। এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা সঠিকভাবে তার অনুভূতি প্রকাশ
করতে পারে না। বিশেষত আবেগ প্রকাশের ক্ষেত্রে এই ব্যক্তিদের বেশি সমস্যা
হয়ে থাকে। এই সমস্যার কারণে কথা বলা ও অনুভূতি প্রকাশের সময় আক্রান্ত
ব্যক্তির অঙ্গভঙ্গি, মুখভঙ্গি ও গলার স্বরের পরিবর্তন হ্রাস পায়।.
কোন ধরনের ব্যক্তিদের বিষণ্নতাজনিত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, সে
ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়্। তবে জেনেটিক্স এক্ষেত্রে বিশেষ
ভূমিকা পালন করে বলে গবেষকরা ধারণা করেন। কোনো ব্যক্তির পরিবারের কারো (বাবা-মা ও ভাই-বোন) বিষণ্নতাজনিত সমস্যা থাকলে তার নিজেরও এই সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যেসব শিশুরা 22q11 ডিলেশন সিনড্রম (22q11 deletion syndrome) নামক
জেনেটিক মিউটেশন (genetic mutation) নিয়ে জন্মগ্রহণ করে তাদের বিষণ্নতাজনিত
সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
জাত: শ্বেতাঙ্গ
ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।
হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা
১ গুণ কম।
উত্তরঃ নিম্ন রক্তচাপের সাথে সাইকোসিস ও বিষণ্নতার সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। তবে
কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে নিম্ন রক্তচাপের জন্য কর্টিসলের (cortisol)
মাত্রা কমে যাওয়ার ফলে বিষণ্নতা দেখা দিতে পারে।।
উত্তরঃ তীব্র বিষণ্নতার ক্ষেত্রে বিষণ্নতার চিকিৎসা করা হলেই সাইকোসিস সেরে যায়।
হেলথ টিপস্
নিম্নলিখিত বিষয়গুলি আপনাকে মানসিক চাপ কমাতে ও বিষণ্নতাজনিত সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে:
আপনার নেতিবাচক চিন্তাগুলিকে চিহ্নিত করুন, এবং সেগুলিকে ইতিবাচক চিন্তায় রূপান্তর করুন।
বিষণ্নতাজনিত সমস্যাগুলিকে পর্যবেক্ষণ করুন, এবং এ ব্যাপারে চিকিৎসকের মতামত নিন।
নিয়মিত
ব্যায়াম করুন। ব্যায়ামের ফলে মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক
পদার্থের নিঃসরণ ত্বরান্বিত হয়। সেরোটোনিনের নিঃসরণ মানসিক অবস্থা ভালো
করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।
ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর শিথিল করা শিখুন।
যোগব্যায়াম মানসিক ও শারীরিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া মাসাজের মাধ্যমে দুশ্চিন্তা ও উদ্বিগ্নতা কমানো যেতে পারে।
পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের সাথে আপনার অনুভূতি ও সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করুন। এর ফলে আপনার একাকিত্ব দূর হবে।
ধূমপান,
অ্যালকোহল এবং অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্য পরিহার করুন। নেশাজাতীয় দ্রব্য
গ্রহণের ফলে আপনি সাময়িকভা্বে স্বস্তি পেতে পারেন, কিন্তু ভবিষ্যতে এই
কারণে আপনার সমস্যা বৃদ্ধি পাবে।