মারিজুয়ানা অ্যাবিউজ (Marijuana abuse)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

স্বাভাবিক গর্ভাবস্থায় ভ্রুণের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়ে নষ্ট হলে এবং তা শরীর থেকে বের না হয়ে গর্ভেই থেকে গেলে তাকে মিসড অ্যাবর্শন (Missed abortion) বলা হয়। মিসড অ্যাবর্শন (Missed abortion) ইনকমপ্লিট অ্যাবর্শন (incomplete abortion) বা ইনএভিটেবল অ্যাবর্শন (inevitable abortion) থেকে সম্পূর্ণরূপে আলাদা। গর্ভাবস্থায় ২০ সপ্তাহের পূর্বে অ্যানএ্যাম্ব্রায়নিক জেস্টেশন (anembryonic gestation) হিসেবে মিসড অ্যাবর্শন দেখা দিতে পারে। গর্ভকালীন প্রাথমিক পর্যায়ে ভ্রূণ স্বাভাবিক নিয়মে বৃদ্ধি পেলেও পরবর্তী পর্যায়ে তা মাতৃগর্ভেই নষ্ট হয়ে যায় বা স্বাভাবিকভাবে আর বৃদ্ধি পায় না। এ অবস্থাকে অ্যানএ্যাম্ব্রোয়নিক জেস্টেশন বলা হয়।

গর্ভকালীন সময়কে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়। যথাঃ প্রথম পর্যায় (০-১৩ সপ্তাহ), দ্বিতীয় পর্যায় (১৪-২৬ সপ্তাহ) এবং তৃতীয় পর্যায় (২৭-৪০ সপ্তাহ)। গর্ভবস্থার প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে মিসড অ্যাবর্শন হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে মিসড অ্যাবর্শন হয়ে থাকে এবং তলপেটে ব্যথা বা যোনিপথে রক্ত দেখা না দিলে একজন প্রসূতি এই জটিলতার উপস্থিতি টের পায় না। রক্তে এইচ-সি-জি (HCG)(HCG হলো একধরনের হরমোন যা গর্ভকালীন সময়ে দেহে তৈরী হয়) এর মাত্রা স্বাভাবিক মাত্রায় বৃদ্ধি না পেলে অথবা আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যানে মাতৃগর্ভে বাচ্চার হৃদস্পন্দন বা ভ্রূণের উপস্থিতি বোঝা না গেলে তা মিসড অ্যাবর্শন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

কারণ

গর্ভকালীন, এমনকি গর্ভধারণের পূর্ববর্তী সময়ের বিভিন্ন অভ্যাস ও শারীরিক সমস্যার কারণে মিসড অ্যাবর্শন হতে পারে। যেমনঃ

  • ধূমপান ও মদ্যপান
  • মাদকের ব্যবহার
  • বিভিন্ন ইনফেকশাস ডিজিজ যেমনঃ ইনফ্লুয়েঞ্জা, সাইটোমেগালোভাইরাস (cytomegalovirus) এবং বিশেষ করে হাম।
  • বিভিন্ন যৌনরোগ যেমনঃ গনোরিয়া, সিফিলিস ইত্যাদি
  • দেহে হরমোনের ভারসম্যহীনতা (প্রোজেস্টেরন বা এস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়া)
  • অটোইমিউন ডিজিজের প্রভাব (এ অবস্থায় মায়ের দেহের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা মাতৃগর্ভে উপস্থিত ভ্রুণ্টিকে ভুলক্রমে ভাইরাস বা কোনো বাহ্যিক বস্তু হিসেবে চিহ্নিত করে আক্রমণ করে)
  • গর্ভাবস্থায় ভারী ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা
  • মাত্রাতিরিক্ত ব্যায়াম ও অনুশীলন করা

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যেসকল মহিলার ক্ষেত্রে মিসড অ্যাবর্শন হওয়ার বেশি-

  • ৩৫ বছর বয়সের পর গর্ভধারণ করা।
  • পূর্বে একাধিকবার গর্ভপাত হলে
  • পূর্বে গর্ভধারনের ক্ষেত্রে একটপিক প্রেগনেন্সি (ectopic pregnancy) (এ অবস্থায় ভ্রূণ জরায়ুর বাইরে অবস্থান করে) হয়ে থাকলে

গর্ভাবস্থায় অষ্টম সপ্তাহে মিসড অ্যাবর্শনের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। গর্ভকালীন সময়ের এ পর্যায়ে যেকোনো টেরাটোজেনিক ইফেক্ট যেমনঃ রেডিয়েশন, নির্দিষ্ট ঔষধের ব্যবহার, ইনফেকশন ইত্যাদির প্রভাবে ভ্রূণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে এবং মিসড অ্যাবর্শন হয়ে থাকে। এ অবস্থায় মাতৃগর্ভে ভ্রূণ সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে যায়। গর্ভকালীন প্রথম পর্যায় (০-১৩ সপ্তাহ) সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সময়। তাই প্রথম ৩-৪ সপ্তাহ এবং পরবর্তী ৮-১১ সপ্তাহ গর্ভবতীর বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। তবে গর্ভকালীন দ্বিতীয় পর্যায়, বিশেষ করে ১৬-১৮ সপ্তাহের মধ্যেও মিসড অ্যাবর্শনের ঝুঁকি থাকে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্পানিক ও অন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, শ্বেতাঙ্গদের ক্ষেত্রে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা একগুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

  • মারিজুয়ানা ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে তাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে। একই সাথে মাদকসক্ত হয়ে পড়লে মাদকের প্রতি তাদের মনোভাব পরিবর্তনের জন্য কাউসিলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

দীর্ঘদিন মারিজুয়ানা সেবনে ফলে বিষন্নতা ও দুশ্চিন্তাসহ অন্যান্য মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

হেলথ টিপস্‌

মিসড অ্যাবর্শন প্রতিরোধের কোনো উপায় নেই। গর্ভাবস্থায় যেকোনো জটিলতার কারণে অ্যাবর্শন হতে পারে।  মূলতঃ মাতৃগর্ভে ভ্রূণ স্বাভাবিক নিয়মে বৃদ্ধি না পেলে দেহ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ভ্রূণের অসমাপ্ত বিকাশের পর্যায়টিকে শেষ করে। কোনো মহিলার পর পর তিন বার স্পন্টেনাস অ্যাবর্শন হয়ে থাকলে, পরবর্তী সন্তান ধারণের পূর্বে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করে নিতে হবে। কখনো কখনো অ্যাবর্শনের সঠিক কারণ জানতে এবং পরবর্তী সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে যেকোনো জটিলতা এড়াতে অ্যাবর্শনের পর অপসারণকৃত টিস্যুটি পরীক্ষা করা হয়।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

ক্যাপ্টেন ডাঃ এ এস এম আনিসুজ্জামান

সাইকিয়াট্রি ( মানসিক) ( Psychiatry)

এমবিবিএস (ঢাকা), ডি-সাইক, এফ-সাইক (ভিয়েনা)

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক ডাঃ আসফাকুজ্জামান চৌধুরী

সাইকিয়াট্রি ( মানসিক) ( Psychiatry)

এমবিবিএস, এমসিপিএস, এফসিপিএস

ডাঃ মোঃ মহসিন আলী শাহ

সাইকিয়াট্রি ( মানসিক) ( Psychiatry)

এম বি বি এস, এম ডি, এম ফিল (সাইকিয়াট্রি)

লেঃ কর্নেল ডাঃ মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম

সাইকিয়াট্রি ( মানসিক) ( Psychiatry)

এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমআরএসএইচ(লন্ডন)

প্রফেসর কর্ণেল এম. কামরুল হাসান

সাইকিয়াট্রি ( মানসিক) ( Psychiatry)

এমবিবিএস, এমসিপিএস, এমফিল

ডাঃ মোহাম্মদ শামসুল আহসান মাকসুদ

মেডিসিন ( Medicine), সাইকিয়াট্রি ( মানসিক) ( Psychiatry)

এম বি বি এস, এম ফিল, এফ সি পি এস

ডাঃ সুরজিত কুমার তালুকদার

সাইকিয়াট্রি ( মানসিক) ( Psychiatry)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(সাইক্রিয়াট্রি)

ডাঃ শোয়েবুর রেজা চৌধুরী

সাইকিয়াট্রি ( মানসিক) ( Psychiatry)

এমবিবিএস,, এমসিপিএস,, এমফিল