বিষণ্নতা টিনএজারদের আত্মহত্যার তৃতীয় প্রধান কারণ। বিষণ্নতায় আক্রান্ত টিনএজারদের মধ্যে বিরক্তিবোধ, দুঃখভারাক্রান্ত হওয়া, পছন্দের বিষয়ে অনাসক্তি, খাদ্যাভাসে পরিবর্তন, মাদকাসক্তি, নীরবতা, বারবার মৃত্যু সম্বন্ধে কথা বলা ও বন্ধু্ত্ব ভাঙার মতো লক্ষণ দেখা যায়। এছাড়া বিষণ্নতার কারণে টিনএজারদের শরীরে বারবার ব্যথারও সৃষ্টি হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় অনেক নারীই বিষণ্নতায় ভুগে থাকে। এই সমস্যা সমাধানের প্রথম উপায় সাইকোথেরাপি। যেহেতু সাইকোথেরাপিতে ঔষধ ব্যবহার করা হয় না, তাই ঔষধ গ্রহণের প্রভাব গর্ভবতী নারীদের ভ্রুণের উপর পড়ার সম্ভাবনা থাকে না। তবে অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট (antidepressant)[ সাধারণত SSRIs (Selective Serotonin Reuptake Inhibitors)] গ্রহণ করা এই অবস্থায় অধিকতর কার্যকর। বিষণ্নতার কারণে গর্ভে থাকা শিশুর ক্ষতি হতে পারে। তাই এই ঝুঁকির ব্যাপারে সাবধান থাকা উচিৎ। প্রয়োজনে বিষণ্নতায় ভোগা গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা লাগতে পারে।
থেরাপির মাধ্যমে বিষণ্নতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিষণ্নতা নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনি নিজে থেকে কিছু কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন, যেমন- নিয়মমাফিক জীবনযাপন, সঠিকভাবে ঘুমানো, ইতিবাচক বিষয় সন্ধান করা, সমগ্র দিনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ইতিবাচক বিষয়ের তালিকা করা ও আনন্দে থাকার চেষ্টা করা ইত্যাদি।