মাংসপেশীর খিঁচুনি বা টান (Muscle spasm)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

চিকিৎসা শাস্ত্রের মতে এক বা একাধিক পেশী অথবা ফাঁপা অঙ্গ যেমন হৎপিন্ড বা একই ধরনের ছিদ্রযুক্ত অঙ্গের অনঐচ্ছিক সংকোচন কে স্পাজম বোঝায়। মাংসপেশীর খিঁচুনী বা টানের কারনে পেশীত হঠাৎ করে ব্যথা অনুভূত হয়। কিন্তু এই ধরনের ব্যথা ক্ষতিকারক নয় এবং এই ব্যথা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে এই ব্যাধিটি মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে (যেমন হৃদ-পেশীর স্পাজম)।

কারণ

যেসব কারনে মাংসপেশীর খিঁচুনি বা টান দেখা দেয় সেগুলো হলোঃ

(ক) অপর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহঃ পায়ের ব্যায়াম করার সময় ধমনীতে সংকীর্ণতার কারনে পায়ে রক্ত সরাবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। এর ফলে পায়ে খিঁচুনিসহ ব্যথা অনুভূত হয়। ব্যায়াম করা বন্ধ করে দিলে পায়ে ব্যথা কিছু সময় পরে ভালো হয়ে যায়।

(খ) নার্ভের (স্নায়ু) সংকোচনঃ মেরুদন্ডে নার্ভের সংকোচনের কারনেও পায়ে খিঁচুনিসহ ব্যথা অনুভূত হতে পারে। অধিক হাঁটার কারনে পায়ের ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। হাঁটা কমানোর মাধ্যমে পায়ের ব্যথার লক্ষন গুলো কমানো সম্ভব।

(গ) দেহে খনিজ পদার্থের (Mineral) অভাবঃ কম পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের যুক্ত খাবার খাওয়ার কারনে পায়ে খিঁচুনি বা টান অনুভূব হতে পারে। ডাই-ইউরেটিক ঔষধগুলো উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এই ঔষধগুলো ব্যবহারের কারনেও দেহে খনিজ (Mineral) এর  পরিমান কমে যায়।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

চিকিৎসা

চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত ঔষধগুলি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন:

ডাঁটা সেন্টারে কোন প্রকার তথ্য পাওয়া যায়নি

চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত টেস্টগুলি করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন:

ইলেক্ট্রোলাইটস, সেরাম (Electrolytes, serum)
সি-বি-সি (কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট) (CBC, Complete Blood Count)
ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ই-সি-জি) (Electrocardiogram, ECG)
ইউরিন এনালাইসিস (Urinalysis)

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যে যে বিষয়গুলোর কারনে আপনার মাংসপেশীর খিঁচুনি বা টান হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায় সেগুলো হলোঃ

  • বয়স বাড়ার কারনেঃ বৃদ্ধ বয়সে ব্যক্তিদের পেশীর ভর সহ্য করার ক্ষমতা কমে যায়। তাই খুব সহজেই পেশীগুলোর উপর চাপ পরে। এর ফলে মাংসপেশীর খিঁচুনী বা টান হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • পানি শুন্যতা (Dehydration): অ্যাথলেটিক খেলোয়াররা যখন উষ্ণ আবহাওয়ায় খেলা করেন তখন তাদের মাংসপেশীর খিঁচুনী বা টান হবার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
  • গর্ভাবস্থায়ঃ মহিলাদের গর্ভাবস্থায় মাংসপেশীর খিঁচুনী বা টান হবার ঝুঁকি বেশি থাকে।
  • শারীরিক অবস্থাঃ যাদের ডায়াবেটি্স, নার্ভ, লিভার অথবা স্বরযন্ত্রের তরূণাস্থির ব্যাধি আছে তাদের মাংসপেশীর খিঁচুনী বা টান দেখা দেবার সম্ভাবনা বেশি।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম। অন্যান্য জাতির  মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ মাংসপেশীর খিঁচুনী বা টান একটি সংক্ষিপ্ত এবং অস্থায়ী ব্যাধি। এই ব্যাধিটি অল্প দিনেই ভালো হয়ে যায়।

উত্তরঃ ঠান্ডার কারনে শীতের সময় মাংসপেশীর খিঁচুনীবা টান বেশী হয়।

হেলথ টিপস্‌

কিছু প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে এই সমস্যা কমিয়ে আনা সম্ভব।

(ক) মাংসপেশীর ব্যায়াম এবং ম্যাসাজ করার মাধ্যমেঃ মাংসপেশীর ব্যায়াম এবং ম্যাসাজ করার মাধ্যমে মাংসপেশীর খিঁচুনী বা টান কমানো সম্ভব। যদি আপনি দাঁড়াতে না পারেন তাহলে আক্রান্ত পা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকতে হবে। উরুর সামনের দিকের (quadriceps) খিঁচুনী বা টান কমানো্র জন্য চেয়ার ব্যবহার করতে হবে এবং আক্রান্ত পা আপনার পৃষ্ঠদেশের দিকে টানটান করে রাথতে হবে।

(খ) তাপ বা ঠান্ডা প্রয়োগ করার মাধ্যমেঃ একটি উষ্ণ তোয়ালে বা গরম প্যাড আক্রান্ত পেশীতে ব্যবহার করতে হবে। হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করার মাধ্যমেও এই সমস্যা থেকে সাময়িকভাবে মুক্তিলাভ সম্ভব। বরফ ব্যবহার করেও পেশীর ব্যথা কমানো যায়।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

মেজর ডাঃ সৈয়দ জামিল আব্দাল (অবঃ)

রিউম্যাটোলজি ( বাতরোগ) ( Rheumatology), মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(মেডিসিন)

ডাঃ মোঃ শাহজামাল খান

মেডিসিন ( Medicine), এন্ডোক্রাইনোলজি এন্ড মেটাবলিজম ( হরমোন) ( Endocrinology & Metabolism)

এমবিবিএস, এমডি(এন্ডোক্রাইনোলজী), এমএসিই(ইউএসএ)

মেজর জেনারেল ডাঃ এম এ মঈদ সিদ্দিকি (অবঃ)

মেডিসিন ( Medicine), গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি ( খাদ্যনালী, পরিপাকতন্ত্র) ( Gastroenterology)

এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমসিপিএস(বিডি), এফআরসিপি(আয়ারল্যান্ড), এফআরসিপি(এডিন), এফসিপিএস(পাক), এফএসিপি(ইউএসএ)

ডাঃ মোঃ মাহবুব হাসান

মেডিসিন ( Medicine), ডায়াবেটোলজিষ্ট ( Diabetologist)

এমবিবিএস(ডিএমসি), এফসিপিএস(মেডিসিন), এফপি, এমআরসিপি(মেডিসিন), প্রথম পর্ব (ইউ কে), সিসিড(বারডেম)

ডাঃ জয়ন্ত কুমার সাহা

মেডিসিন ( Medicine), কার্ডিওলজি ( হার্ট) ( Cardiology)

এম বি বি এস, ডি-কার্ড, এফ সি পি এস (মেডিসিন)

ডাঃ রাশিমুল হক(রিমন)

মেডিসিন ( Medicine), নিউরোলজি ( স্নায়ুতন্ত্র) ( Neurology)

এমবিবিএস(ডিএমসি), এফসিপিএস(মেডিসিন), এমডি(নিউরোমেডিসিন)

অধ্যাপক ডাঃ উত্তম কুমার বড়ুয়া

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস (ডিইউ), , ডিটিসিডি (চেষ্ট) , এফসিসিপি (এউ এস এ)

ডাঃ সুদীপ রঞ্জন দেব

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস(ডিএমসি), এফসিপিএস(মেডিসিন)