অনুভূতি কমে যাওয়া (Loss of sensation)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

এই অবস্থায় দেহের যে কোনো অংশের অনুভূতি কমে যেতে পারে। এই অবস্থাকে অ্যাসেন্সরি কন্ডিশন (Asensory condition)বলে। ডায়াবেটিসের কারণেই সাধারণত পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি হয়ে থাকে, তাই এক্ষেত্রে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এছাড়াও স্ট্রোক, স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি ও পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথির কারণে এই সমস্যাটি হতে পারে। এই অবস্থায় ব্যক্তি ব্যথা, ঠাণ্ডা ও গরম অনুভব করতে পারে না। এর ফলে দূর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই সমস্যা এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

ক্রনিক ব্যাকপেইন (Chronic back pain) মাংসপেশীর খিঁচুনি বা টান (Muscle spasm)
স্ট্রোক (Stroke) আতঙ্কগ্রস্ততা (Panic attack)
পেরিফেরাল নার্ভ ডিজঅর্ডার (Peripheral nerve disorder) কারপাল টানেল সিন্ড্রোম (Carpal tunnel syndrome)
সেরিব্রাল এডিমা (Cerebral edema) সায়াটিকা (Sciatica)
ডিজলোকেশন অফ ভার্টিব্রা (Dislocation of vertebra) স্পন্ডাইলোসিস (Spondylosis)
হিট স্ট্রোক (Heat stroke) রেনোড ডিজিজ (Raynaud disease)
হার্ণিয়েটেড ডিস্ক (Herniated disk) হাইপোথার্মিয়া (Hypothermia)
ব্র্যাকিয়াল নিউরাইটিস (Brachial neuritis) রেস্টলেস লেগ সিন্ড্রোম (Restless leg syndrome)
র‍্যাবডোমায়োলাইসিস (Rhabdomyolysis) হেমিপ্লেজিয়া (Hemiplegia)
হান্টিংটন ডিজিজ (Huntington disease) ক্রেনিয়াল নার্ভ পালসি (Cranial nerve palsy)
ডিজেনারেটিভ ডিস্ক ডিজিজ (Degenerative disc disease) ক্রনিক ইনফ্লামেটরী ডিমায়েলিনেটিং পলিনিউরোপ্যাথি (সি-আই-ডি-পি) (Chronic inflammatory demyelinating polyneuropathy (CIDP))
ক্রাশিং ইনজুরি (Crushing injury) ডিজলোকেশন অফ দি ভার্টিব্রা (Dislocation of the vertebra)
এসেনশিয়াল ট্রেমর (Essential tremor) ফ্যাক্টিশাস ডিজঅর্ডার (Factitious disorder)
সাবঅ্যারাকনয়েড হেমারেজ (Subarachnoid hemorrhage) ল্যাবিরিন্থাইটিস (Labyrinthitis)
ল্যাটেরাল এপিকন্ডাইলাইটিস (টেনিস এলবো) (Lateral epicondylitis (tennis elbow)) গ্যাস্ট্রোপ্যারেসিস (Gastroparesis)
গুলেন বারে সিন্ড্রোম (Guillain Barre syndrome) ম্যালিগন্যান্ট হাইপারটেনশন (Malignant hypertension)
মোয়ামোয়া ডিজিজ (Moyamoya disease) মায়োসাইটিস (Myositis)
মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস (Multiple sclerosis) মাস্কুলার ডিসট্রফি (Muscular dystrophy)
নিউরালজিয়া (Neuralgia) হাইপারক্যালসেমিয়া (Hypercalcemia)
লাইম ডিজিজ (Lyme disease) হাইপোক্যালসেমিয়া (Hypocalcemia)
পেরিফেরাল আর্টেরিয়াল এমবলিজম (Peripheral arterial embolism) পিটুইটারী অ্যাডেনোমা (Pituitary adenoma)
ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া (Trigeminal neuralgia)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। পুরুষ ও মহিলা উভয়ের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ এটি একটি অস্বাভাবিক অনুভূতি, ব্রেইনের নির্দিষ্ট অংশে স্ট্রোক হলে এই সমস্যাটি হতে পারে। আবার মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের কারণেও এই লক্ষণ দেখা যায়। এই অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

উত্তরঃ ডায়াবেটিসের কারণে স্নায়ুগত সমস্যা হয়ে থাকে। আর সাধারণত স্নায়ুগত সমস্যার কারণে আঙ্গুলের মাথা অবশ হয়ে যায়।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে এই লক্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভবঃ

  • নতুন কোনো জায়গায় গেলে সচেতনতা অবলম্বন করে চলাচল করতে হবে এবং যাতে কোনো ধরনের আঘাত বা ব্যথা না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • ঘরের বাহিরে যাওয়ার সময় বা কোথাও ভ্রমনের সময় হাত-পা সঠিক ভঙ্গিমায় ফেলতে হবে এবং হাত-পা যেন কোনো দূর্ঘটনার সম্মুখীন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • আগুন থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • হঠাৎ করে ধাক্কা খেয়ে বা কারণ ছাড়াই যেন পড়ে যান সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • শরীরের নির্দিষ্ট কোনো অংশে ক্রমাগত চাপ প্রয়োগের ফলে ঐ স্থানে আলসার হয়ে যায়, সে জন্য এমন কাজ এড়িয়ে চলতে হবে যা এই সমস্যা তৈরী করে।