পায়ের মাংসেপশীতে টান ধরা বা খিঁচুনি হওয়া (Leg cramps or spasms)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

মাংসপেশীর খুব দ্রুত সংকোচন ও প্রসারণের কারণে খিঁচুনি হয়। এটি একটি স্নায়বিক সমস্যা। সাধারণত মাংসপেশী শিথিল হয়ে গেলে বা দেহে সোডিয়াম, পটাসিয়াম বা ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে অস্থির সাথে সংযুক্ত মাংসপেশিতে খিঁচুনি হয় বা টান ধরে। মাসিক বা গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস (পাকস্থলি বা অন্ত্রের প্রদাহ) এর কারণেও খিঁচুনি হতে পারে। রাতে ঘুমানোর সময় পায়ে প্রচন্ড ব্যথা, খিঁচুনি বা পেশী সংকুচিত হলে তাকে নকচারনাল লেগ ক্র্যাম্পস (Nocturnal leg cramps) বলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই সমস্যা পায়ের পাতা, উরু বা কাফ মাসলে দেখা যায়।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-        

ভিটামিন ‘বি১২’ এর অভাব জনিত রোগ (Vitamin B12 deficiency) ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস (Deep vein thrombosis)
মাংসপেশীর খিঁচুনি বা টান (Muscle spasm) ডায়াবেটিস জনিত কিডনির রোগ (Diabetic kidney disease)
অস্টিওপরোসিস/অস্থি ক্ষয় (Osteoporosis) হাইপোথাইরয়েডিজম (Hypothyroidism)
অ্যারিদমিয়া (Arrhythmia) প্রিয়াপিজম (Priapism)
সায়াটিকা (Sciatica) থ্রম্বোফ্লেবাইটিস (Thrombophlebitis)
সেরিব্রাল পালসি (Cerebral palsy) কোয়াগুলেশন (ব্লিডিং) ডিজঅর্ডার (Coagulation (bleeding) disorder)
করোনারী অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস (Coronary atherosclerosis) ক্রনিক ইনফ্লামেটরী ডিমায়েলিনেটিং পলিনিউরোপ্যাথি (সি-আই-ডি-পি) (Chronic inflammatory demyelinating polyneuropathy (CIDP))
ফাইব্রো-সিস্টিক ব্রেস্ট ডিজিজ (Fibro-cystic breast disease) গ্রেভস ডিজিজ (Graves disease)
ভ্যারিকোস ভেইন (Varicose veins) ম্যাগনেসিয়াম ডেফিসিয়েন্সি (Magnesium deficiency)
রোটেটর ক্লাফ ইনজুরি (Rotator cuff injury) অ্যামাইওট্রোফিক ল্যাটেরাল স্ক্লেরোসিস (Amyotrophic lateral sclerosis (ALS))
অ্যাওর্টিক ভাল্ভ ডিজিজ (Aortic valve disease) পেরিফেরাল আর্টেরিয়াল ডিজিজ (Peripheral arterial disease)
মেটাট্যাস্টিক ক্যান্সার (Metastatic cancer)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

সাধারণত দেখা যায় বয়স বাড়ার সাথে সাথে এবং গর্ভবতী মহিলাদের পায়ের মাংসপেশীতে খিঁচুনি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। খুব কম ক্ষেত্রে দেহের অন্তর্নিহিত রোগ যেমন- পেরিফেরাল আর্টারী ডিজিজ (ধমনী সংকোচনের ফলে দেহের অঙ্গে রক্ত সরবরাহ কমে গেলে), ডায়াবেটিস বা স্পাইনাল স্টেনোসিসের কারণে খিঁচুনি হয়।

এছাড়াও নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ যেমন- ইন্ট্রাভেনাস আয়রন, ইস্ট্রোজেন, ন্যাপ্রোক্সেন এর কারণে এই সমস্যা হতে পারে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ হিস্পানিক ও অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ গর্ভকালীন সময়ে ঠিক কি কারণে পায়ে খিঁচুনি হয় তা অজানা। এই সমস্যা নিম্নলিখিত ভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভবঃ

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে এই লক্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভবঃ

  • মাসল স্ট্রেচিং ও ম্যাসাজ করতে হবে।
  • গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে এবং গরম পানির ভাপ দিতে হবে।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ব্যথানাশক ঔষধ যেমন- অ্যাসিটামিনোফেন, আইবুপ্রোফেন ও ন্যাপ্রোক্সেন গ্রহণ করা যেতে পারে।
  • প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে।