পায়ের মাংসেপশীতে টান ধরা বা খিঁচুনি হওয়া (Leg cramps or spasms)
শেয়ার করুন
বর্ণনা
মাংসপেশীর খুব দ্রুত সংকোচন ও প্রসারণের কারণে খিঁচুনি হয়। এটি একটি স্নায়বিক সমস্যা। সাধারণত মাংসপেশী শিথিল হয়ে গেলে বা দেহে সোডিয়াম, পটাসিয়াম বা ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে অস্থির সাথে সংযুক্ত মাংসপেশিতে খিঁচুনি হয় বা টান ধরে। মাসিক বা গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস (পাকস্থলি বা অন্ত্রের প্রদাহ) এর কারণেও খিঁচুনি হতে পারে। রাতে ঘুমানোর সময় পায়ে প্রচন্ড ব্যথা, খিঁচুনি বা পেশী সংকুচিত হলে তাকে নকচারনাল লেগ ক্র্যাম্পস (Nocturnal leg cramps) বলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই সমস্যা পায়ের পাতা, উরু বা কাফ মাসলে দেখা যায়।
সাধারণত দেখা যায় বয়স বাড়ার সাথে সাথে এবং গর্ভবতী মহিলাদের পায়ের মাংসপেশীতে খিঁচুনি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। খুব কম ক্ষেত্রে দেহের অন্তর্নিহিত রোগ যেমন- পেরিফেরাল আর্টারী ডিজিজ (ধমনী সংকোচনের ফলে দেহের অঙ্গে রক্ত সরবরাহ কমে গেলে), ডায়াবেটিস বা স্পাইনাল স্টেনোসিসের কারণে খিঁচুনি হয়।
এছাড়াও নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ যেমন- ইন্ট্রাভেনাস আয়রন, ইস্ট্রোজেন, ন্যাপ্রোক্সেন এর কারণে এই সমস্যা হতে পারে।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতিঃ হিস্পানিক ও অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।