পায়ের পাতায় মাংসেপশীতে টান ধরা (Foot or toe cramps or spasms)
শেয়ার করুন
বর্ণনা
হাঁটা বা দাঁড়ানোর সময় পা আমাদের সমগ্র শরীরের ভর বহন করে। এই জন্য
শরীরের অন্যান্য অংশের মাংসপেশীর তুলনায় পায়ের মাংসপেশীতে টান ধরার
সম্ভাবনা বেশি থাকে। এই সমস্যা অনৈচ্ছিকভাবে ঘটে থাকে, এবং এর কারণে এক বা
একাধিক পেশিগুচ্ছে ব্যথা সৃষ্টি হয়। এ ধরনের ব্যথা কয়েক মিনিট থেকে শুরু
করে একটানা কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। সাধারণত পায়ের পাতা এবং
আঙুলের (প্রধানত বুড়ো আঙুল) মাংশপেশীতে এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। সমস্যাটি
রোধ করার জন্য এর মূল কারণ নির্ণয় করা প্রয়োজন।
পায়ের টান সাধারণত ৩
মিনিটের কম সময় স্থায়ী হয়। হঠাৎ করে পায়ে টান লাগলে সাধারণত তা কয়েক মিনিট
পরে এমনিতেই সেরে যায়। যদি প্রতিদিন আপনার পায়ে টান লাগার সমস্যা দেখা
দেয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পায়ে টান লাগার ফলে অস্বস্তির সৃষ্টি
হতে পারে। তবে এটি কোনো গুরুতর সমস্যা নয়। পায়ে টান লাগার সমস্যা নিরাময়ের
জন্য ঠিক কী কারণে এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তা নির্ণয় করা প্রয়োজন।
কারণ
বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেমন-
মাংসপেশীর দুর্বলতা (Muscle fatigue or stress)
রক্ত প্রবাহের সমস্যা (Poor circulation)
অপুষ্টি(Malnutrition)
ভিটামিন ডি-এর অভাব (Vitamin D deficiency)
স্থূলতা (Obesity)
ডায়াবেটিস (Diabetes)
পায়ের পাতা সোজা (Flat feet)
আঘাত (Injury or trauma)
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা (Hormone imbalance)
অতিরিক্ত কাজ করা (Increase in activities/exercises)
পায়ের মাংসপেশী সংকোচন-প্রসারণ না করা (Failure to stretch foot muscles daily)
পানিশূন্যতা (Dehydration)
থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের সমস্যা (Thyroid gland malfunction)
সঠিক মাপের জুতা না পরা (Improper footwear)
পায়ের পাতায় সমস্যা, যেমন অ্যাসর ফিট (Foot problems such assore feet)
সাধারণত ক্রীড়াবিদ ও বয়স্ক ব্যক্তিদের পায়ে টান লাগার সমস্যা বেশি হয়ে
থাকে। তবে যে কোনো বয়সের ব্যক্তিরই এই সমস্যা হতে পারে, এমনকি শিশুদেরও হতে
পারে। বয়স বৃদ্ধি পেলে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়, কারণ বয়সের সাথে সাথে
আমাদের শারীরের সক্রিয়তা কমে যায়। এছাড়া বয়স বৃদ্ধি পেলে যেহেতু আমাদের
শরীরের মাংসপেশীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্তের সরবরাহ ঘটে না, তাই মাংসপেশী
দুর্বল হয়ে পড়ে। এ জন্যও মাংসপেশীতে টান লাগতে পারে।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গ: নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৩ গুণ কম।
জাত: শ্বেতাঙ্গদের
মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই
লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা
দেওয়ার সম্ভাবনা ৩ গুণ কম। অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা
দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ বেশি।