লিম্ফ্যাডেমা (Lymphedema)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

লিম্ফ বা লসিকা হলো এক ধরনের হলদে তরল পদার্থ। লসিকায় শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমাণ অনেক বেশি। শ্বেত রক্তকণিকা জীবাণু ধবংস করে। যদি কোনো কারণে লসিকাতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত বা বাধাগ্রস্ত হয়, তবে দেহের সফট্‌ টিস্যুতে লসিকা জমাট বাঁধে ও ঐ স্থান ফুলে যায়। এ অবস্থাকে লিম্ফ্যাডেমা বলে। এটি সাধারণত বাহু ও পায়ে বেশি হয়ে থাকে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-   

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যাদের বয়স বেশি এবং অনেক বেশি মোটা বা যারা রিউম্যাটয়েড বা সোরিয়াসিস আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত তাদের ক্যান্সারের চিকিৎসা করানোর পর লিম্ফ্যাডেমা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ ব্রেস্ট ক্যান্সারের অপারেশনের পর লিম্ফ্যাডেমা হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৫০ শতাংশ। এ্যাক্সিলারী লিম্ফ নোডে অপারেশন হলে লিম্ফ্যাডেমা হওয়ার সম্ভাবনা ১৫-২০%। আর যেসব ব্যক্তিদের অপারেশনের সময় সেন্টিনেল নোড টেকনিক ব্যবহার করা হয় কিন্তু এডজুভেন্ট রেডিয়েশন ব্যবহার হয় না তাদের লিম্ফ্যাডেমা হওয়ার সম্ভাবনা ৬ শতাংশ।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে এই লক্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভবঃ

হাত পায়ে যেন ব্যথা না লাগে বা বেশি চাপ না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। হাত পা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। অতিরিক্ত আঁটোসাঁটো পোশাক পরিধান করা যাবে না।