ত্বক ফ্যাকাসে বা বিবর্ণ হয়ে যাওয়া (Pallor)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

শারীরিক অসুস্থতা, মানসিক আঘাত, মাদকদ্রব্যের ব্যবহার, রক্তশূন্যতা এবং ত্বক বা মিউকাস মেমব্রেনে অক্সিহেমাগ্লোবিনের মাত্রা হ্রাস পেলে ত্বক ফ্যাকাশে বা বিবর্ণ হয়ে যায়। এই বিবর্ণতা বা ফ্যাকাশে ভাব মখমুণ্ডল ও হাতের তালুতে বেশি লক্ষ্য করা যায়। এই পরিবর্তন হঠাৎ করে বা ধীরে ধীরে দেখা দিতে পারে। তবে বিষয়টি এটি কী কারণে হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে। এই সমস্যার জন্য বিশেষ কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই যদি না এর সাথে হাতের তালু, ঠোঁট, মুখগহ্বর ও জিহ্বায় ফ্যাকাশে ভাব দেখা দেয়। বিবর্ণতা ইপোপিগমেন্টেশন (hypopigmentation) মতো অন্যান্য সমস্যা থেকে আলাদা।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন:

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতি: কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তর: কী কারণে এই লক্ষণ দেখা দিয়েছে এটি তার উপর নির্ভর করে। রক্তশূন্যতার কারণে ত্বকে ফ্যাকাশে ভাব দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা করাতে হবে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে রক্তশূন্যতা দেখা দিলে চিকিৎসার অভাবে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। অপুষ্টিজনিত কারণে রক্তশূন্যতা দেখা দিলে পরবর্তীতে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকে যা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। আবার কোনো অঙ্গের ধমনীতে ব্লকেজ দেখা দিলে গ্যাঙ্গরিন (gangrene), এমনকি অঙ্গহানিও হতে পারে।  

 উত্তর: হঠাৎ করে হাতের তালু, ঠোঁট, মুখগহ্বর ও জিহ্বায় ফ্যাকাশে ভাব দেখা দিলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। আবার, ব্লাড লস বা রক্তশূন্যতার অন্যান্য লক্ষণ যেমন মূর্চ্ছা যাওয়া, রক্তবমি হওয়া, মলাশয় থেকে রক্ত যাওয়া ও তলপেটে ব্যথা হওয়ার সাথে সাথে ফ্যাকাশে ভাব দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অাকস্মিকভাবে ফ্যাকাশে ভাবের সাথে শ্বাসকষ্ট, ব্যথা ও কোনো অঙ্গ ঠাণ্ডা হয়ে গেলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে।