হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া (Increased heart rate)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গেলে তাকে ট্র্যাকিকার্ডিয়া (Tachycardia) বলে। বিশ্রামরত অবস্থায় একজন সুস্থ পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির হৃদস্পন্দন প্রতিমিনিটে ৬০-১০০ বার হওয়া উচিৎ। ট্র্যাকিকার্ডিয়া দেখা দিলে হৃদস্পন্দন এর থেকে বেশি হয়ে যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, এ অবস্থায় কোনো ধরনে লক্ষণ বা সমস্যা দেখা দেয় না। তবে হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলে হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক কার্যাবলী ব্যাহত হয়। যার ফলে স্ট্রোক সহ অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

অ্যাঞ্জাইনা (Angina) দুশ্চিন্তা/উদ্বেগ (Anxiety)
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (Cardiac arrest) লিভার ক্যান্সার (Liver cancer)
ক্রনিক রিউম্যাটিক ফিভার/ক্রনিক বাতজ্বর (Chronic rheumatic fever) হার্ট ব্লক (Heart block)
হার্ট এ্যাটাক (Heart attack) সিফিলিস (Syphilis)
কিডনির ক্যান্সার (Kidney cancer) ইশকেমিক হার্ট ডিজিজ (Ischemic heart disease)
অ্যারিদমিয়া (Arrhythmia) সেন্ট্রাল অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস (Central atherosclerosis)
এন্ডোকার্ডাইটিস (Endocarditis) অর্থোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশন (Orthostatic hypotension)
ফোলেট ডেফিসিয়েন্সি (Folate deficiency) মাইট্রাল ভাল্ভ ডিজিজ (Mitral valve disease)
সাইনাস ব্র্যাডিকার্ডিয়া (Sinus bradycardia) প্যারোক্সিসমাল সুপ্রাভেন্ট্রিকুলার ট্যাকিকার্ডিয়া (Paroxysmal supraventricular tachycardia)
অ্যাওর্টিক ভাল্ভ ডিজিজ (Aortic valve disease) অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন (Atrial fibrillation)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

কোনো কারণে হৃৎপিন্ডে চাপ পড়লে বা টিস্যুর ক্ষতি হলে ট্র্যাকিকার্ডিয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। যেমনঃ

  • হৃদরোগ
  • উচ্চ রক্তচাপ
  • ধূমপান
  • অতিরিক্ত মদ্যপান ও ক্যাফেইনের ব্যবহার
  • মাদকের ব্যবহার
  • রক্তশূন্যতা
  • মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা।

এছাড়াও বয়স বাড়ার সাথে সাথে ও পরিবারে অন্য কারো ট্র্যাকিকার্ডিয়া বা এই সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, হিস্প্যানিক ও কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম।

হেলথ টিপস্‌

হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখতে করণীয়ঃ

  • নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  • রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  • ধূমপান, মদ্যপান ও মাদকের ব্যবহার পরিহার করতে হবে।
  • চিকিৎসকের নির্দেশনা ছাড়া ঔষধ ব্যবহার করা যাবে না।
  • ক্যাফেইনের ব্যবহার সীমিত করতে হবে।
  • মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তার পরিমাণ কমাতে হবে।
  • ডাক্তারের কাছে নিয়মিত চেক-আপ করাতে হবে।