পা ফুলে যাওয়া (Leg swelling)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

পায়ের যেকোনো অংশ যেমন- পায়ের পাতা, গোড়ালি, কাফ ও থাই বা উরুতে কোন ধরনের ফ্লুইড বা তরল জমাট বাঁধলে বা ঐ স্থানে বা অস্থিসন্ধিতে আঘাতের ফলে ইনফ্লামেশন হলে এই সমস্যা দেখা যায়। কোন ধরনের আঘাত বা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে এই সমস্যাটি হতে পারে। আবার হার্ট ডিজিজ বা রক্ত জমাট বাঁধার কারণেও পা ফুলে যেতে পারে।

পা ফুলে যাওয়ার সাথে যদি শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা, বুকে ব্যথা হয়, ফুসফুসে রক্ত জমাট বেঁধে যায় কিংবা যদি হৃৎপিন্ডের মারাত্নক কোনো সমস্যা থাকে তবে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

গাউট/গেঁটেবাত (Gout) ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস (Deep vein thrombosis)
হার্ট ফেইলিয়র (Heart failure) ডায়াবেটিস জনিত কিডনির রোগ (Diabetic kidney disease)
কিডনি ফেইলিয়র (Kidney failure) বদহজম (Indigestion)
সিউডোহাইপোপ্যারাথাইরয়ডিজম (Pseudohypoparathyroidism) এন্ডোকার্ডাইটিস (Endocarditis)
সিস্টেমিক লুপাস ইরাইথেম্যাটোসাস (এস-এল-ই) (Systemic lupus erythematosus (SLE)) পা্লমোনারী কঞ্জেশন (Pulmonary congestion)
থ্রম্বোফ্লেবাইটিস (Thrombophlebitis) ফ্র্যাকচার অফ প্যাটেলা (Fracture of patella)
হাইপোথার্মিয়া (Hypothermia) কোয়াগুলেশন (ব্লিডিং) ডিজঅর্ডার (Coagulation (bleeding) disorder)
গ্যাংলিওন সিস্ট (Ganglion cyst) বারসাইটিস (Bursitis)
ক্রনিক নী পেইন (Chronic knee pain) ইনজুরি টু দি হিপ (Injury to the hip)
ইনজুরি টু দি নী (Injury to the knee) ফ্লুইড ওভারলোড (Fluid overload)
পালমোনারী এমবলিজম (Pulmonary embolism) জয়েন্ট ইফিউশন (Joint effusion)
ভ্যারিকোস ভেইন (Varicose veins) নেক্রোটাইজিং ফ্যাসাইটিস (Necrotizing fasciitis)
লিম্ফ্যাডেমা (Lymphedema) পেরিফেরাল আর্টেরিয়াল এমবলিজম (Peripheral arterial embolism)
পোস্টঅপারেটিভ ইনফেকশন (Postoperative infection) বানিওন (Bunion)
পায়োজেনিক স্কিন ইনফেকশন (Pyogenic skin infection) হাইপারট্রোফিক অবস্ট্রাক্টিভ কার্ডিওমায়োপ্যাথি (এইচ-ও-সি-এম) (Hypertrophic obstructive cardiomyopathy (HOCM))
ফ্র্যাকচার অফ দি লেগ (Fracture of the leg)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

এ লক্ষণের জন্য ঝুকিপূর্ণ বিষয়গুলো হলোঃ

পায়ের পেশিতে ফ্লুইড জমাট বাঁধার কারণে পা ফুলে যায়। একে পেরিফেরাল এডেমা বলে। এটি পরিবহন তন্ত্র, লিম্ফ্যাটিক সিস্টেম, কিডনির বিভিন্ন সমস্যার কারণে এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে। আবার পায়ের টিস্যুতে ইনফ্লামেশন, ইনজুরি, আঘাত, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা অন্য কোন ইনফ্লামেটরী ডিজিজের কারণেও এটি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

যেসব রোগের কারণে ফ্লুইড জমাট বাঁধার সম্ভাবনা বেড়ে যায় সেগুলো হলোঃ

  • অ্যাকিউট কিডনি ফেইলর (Acute kidney failure)
  • কার্ডিওমায়োপ্যাথি [Cardiomyopathy(disease of heart tissue)]
  • ক্রনিক কিডনি ডিজিজ (Chronic kidney disease)
  • সিরোসিস [Cirrhosis(scarring of the liver)]
  • ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস [Deep vein thrombosis(DVT)]
  • হার্ট ফেইলর (Heart failure)
  • হরমোন থেরাপি (Hormone therapy)
  • লিম্ফ্যাডেমা [Lymphedema(blockage in the lymph system)]
  • নেফ্রোটিক সিন্ড্রোম [Nephrotic syndrome]
  • পেরিকার্ডাইটিস [Pericarditis]
  • প্রেগনেন্সি (Pregnancy)
  • থ্রোম্বফ্লেবিটিস [Thrombophlebitis]
  • ভেনাস ইন্সাফেসিয়েন্সি [Venous insufficiency]

এছাড়াও ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ঔষধের ব্যবহার, দীর্ঘক্ষণ বসে ও দাঁড়িয়ে থাকার কারণে এই সমস্যা হতে পারে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষ ও মহিলা উভয়ের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ  শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ সাধারণত রক্ত জমাট বাঁধা, ইনফেকশন, লিভার ডিজিজ, কিডনি ডিজিজ, ভেনাস ইনসাফেসিয়েন্সি (Venous insufficiency) প্রভৃতি কারণে পা ফুলে যেতে পারে। এই অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।