পা বা পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া (Foot or toe swelling)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

লক্ষণটি পেডাল এডেমা ( Pedal Edema) নামেও পরিচিত।

পায়ের পাতা ও গোড়ালির টিস্যুসহ মাংসেপেশীর মধ্যে তরল জমার কারণে এই অংশ দুটি ফুলে ওঠে। স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিদের পায়ের পাতা মাঝে মাঝে ফুলে উঠতে পারে। পা উপরের দিকে রেখে বিশ্রাম গ্রহণ করলে এই সমস্যা এমনিতেই কমে যায়। তবে সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী হলে বা তীব্র রুপ ধারণ করলে এর কারণে শক্তভাব, ব্যথাসহ ফুলে ওঠা(ক্রনিক), টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, স্কিন আলসারেশন (ulceration), হাঁটতে অসুবিধা হওয়া, ইনফেকশনের ঝুঁকি বৃদ্ধি এবং রক্তপ্রবাহ হ্রাসের মতো বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। পায়ের নিম্নাংশ ও পাতা অতিরিক্ত ফুলে যাওয়াকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় পেরিফেরাল এডেমা ( peripheral edema) বলে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে:  যেমন-

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যেকোনো বয়সের ব্যক্তির পেরিফেরাল এডেমা হতে পারে। তবে বয়স্ক ব্যক্তিদের এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মাংসপেশী ও শিরার উপরে চাপ বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিসের মতো বিভিন্ন  শারীরিক সমস্যার কারণেও বয়স্ক ব্যক্তিদের পেরিফেরাল এডেমা হয়ে থাকে। ক্রীড়াবিদ এবং যারা বেশি শারীরিক পরিশ্রম করে সেসব ব্যক্তিদেরও পেরিফেরাল এডেমা হতে পারে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাত:  শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উ: যেহেতু বিভিন্ন গুরুতর রোগের কারণে পায়ের আঙুল ফুলতে পারে, তাই এই সমস্যার চিকিৎসা না করা হলে শরীরে বিভিন্ন জটিলতা ও স্থায়ী ক্ষতি সৃষ্টি হতে পারে। পায়ের আঙুল ফোলার কারণ নির্ণিত হবার পর নিম্নলিখিত সমস্যাগুলির ঝুঁকি কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।
    আঙুল কেটে ফেলা।
    আঙুলের বিকৃতি।
    হাঁটতে সমস্যা হওয়া।
    পায়ের আঙুলের অক্ষমতা।
    প্যারালাইসিস।
    গুরুতর ইনফেকশর ও গ্যাংগ্রিন (gangrene)।
    তীব্র অস্বস্তি ও ব্যথা।
    ক্যান্সারের বিস্তার।
    ইনফেকশনের বিস্তার

হেলথ টিপস্‌

পায়ের পাতা ফোলার পেছনে অবশ্যই কোনো না কোনো কারণ থাকে। কোন কাজটি করার জন্য আপনার এই সমস্যা  হচ্ছে, তা যদি আপনি বুঝতে পারেন, তাহলে সেটি যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলু্ন। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে আপনার গ্রহণকৃত ঔষধ সম্পর্কে জানান। এছাড়া জীবনযাপন ও খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন এনে আপনি পায়ের পাতার অন্যান্য সমস্যাও প্রতিরোধ করতে পারেন।