হেমাটোমা (Hematoma)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

রক্তনালীর বাইরে রক্তজমা হলে তাকে হেমাটোমা বলে। রক্তনালী, ধমনী, শিরা বা ক্যাপিলারি কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ফেটে গেলে রক্ত আশেপাশে অবস্থিত টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে। এই রক্ত অন্য যেকোনো অঙ্গ, সফট টিস্যু বা মাংসপেশীতে আংশিক বা পুরোপুরিভাবে জমাট বেঁধে যায়। হেমাটোমা ক্ষুদ্রাকারের  হতে পারে। আবার কখনো কখনো এটি আকারে বড়ও হতে পারে এবং স্থানটি ফুলে যেতে পারে। হেমাটোমার চিকিৎসা এর আকার ও অবস্থানের উপর নির্ভর করে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হেমাটোমার স্থান হতে জমাট বাধা রক্ত অপসারণ করে নেওয়া হয়। মস্তিষ্ক বা মস্তিষ্কের আশেপাশে হেমাটোমা সৃষ্টি হলে তা মারাত্মক হয়ে থাকে।

হেমাটোমা বিভিন্ন স্থানে হতে পারে। যেমনঃ

  • সাবআঙ্গুয়াল হেমাটমা (subungual hematoma)-  হাত বা পায়ের নখের নিচে হয়ে থাকে
  • হেমাটোমা অরিস (hematoma auris)- বহিঃকর্ণের টিস্যুতে হয়ে থাকে যা কলিফ্লাওয়ার ইয়ার (cauliflower ear) নামে পরিচিত।

তবে এই দুই ধরনের হেমাটোমা খুব বেশি গুরুতর নয়। যে হেমাটোমা ইন্ট্রাক্র্যানিয়ালি (intracranially) হয়ে থাকে অর্থাৎ মাথার খুলি ও মস্তিষ্কের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানে হেমাটোমা দেখা দিলে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এই অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।    

কারণ

বিভিন্ন কারণে হেমাটোমা দেখা দিতে পারে। যেমনঃ শরীরের কোনো স্থানে কেটে গেলে, ক্ষত সৃষ্টি হলে বা মাথায় আঘাত পেলে হেমাটোমা দেখা দিতে পারে। আবার অন্যান্য রোগ-ব্যাধির কারণেও হেমাটোমা দেখা দিতে পারে।যেমনঃ হেমোফিলিয়া (hemophilia) যা একধরনের ক্লটিং ডিজঅর্ডার (clotting disorders) বা ভন উইলিব্র্যান্ড ডিজিজ (Von Willebrand) যা বংশগত ব্লিডিং ডিজঅর্ডার (hereditary bleeding disorder)।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ মহিলাদের মধ্যে এইরোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ে রসম্ভাবনা একগুণ কম।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের ক্ষেত্রে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষেত্রে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা একগুণ কম।হিস্পানিক ও অন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা দ্বিগুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

  • হেমাটোমার কারণে ত্বক ফুলে যায়। এই ফোলা অংশটি বিভিন্ন আকারে হতে পারে। সাধারণত নীলচে বর্ণের হয়ে থাকে এবং হাত দিয়ে স্পর্শ করলে গরম অনুভূত হয়। যে সকল হেমাটোমা ইন্টার্নাল হয়ে থাকে যেমনঃ সাবডিউরাল হেমাটোমা (subdural hematomas) তা খালি চোখে দেখা যায় না। এগুলো শনাক্তের জন্য ইমেজিং করাতে হয়।
  • হেমাটোমা সারতে কতদিন সময় নেবে তা এর আকার, আকৃতি ও কোন স্থানে হয়েছে তার উপর নির্ভর করে।হেমাটোমার আকার ছোট হলে তা কয়েক দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। আকারে বড় হলে তা সারতে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

হেলথ টিপস্‌

হেমাটোমা সাধারণত আপনাআপনি ভালো হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ফুলে যাওয়া স্থানে বরফ ও কমপ্রেসশন দেওয়া যেতে পারে। হাতে বা পায়ে হেমাটোমা দেখা দিলে আক্রান্ত স্থানটি যতটা সম্ভব কম নাড়াচাড়া করতে হবে।এছাড়াও ইনফ্লামেশন/প্রদাহ ও ব্যথা নিয়ন্ত্রণে পেস্ক্রিপশন ছাড়াই যেসকল ঔষধ পাওয়া যায় যেমনঃ অ্যাসিটামিনোফেন (acetaminophen) ও ইবুপ্রোফেন (ibuprofen) খাওয়া যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে এধরনের ঔষধের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। তাই যেকোনো সমস্যা এড়াতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

ডাঃ মোঃ মোস্তফা কামাল(রতন)

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস(ডিএমসি), এফসিপিএস(সার্জারী), এমআরসিপি(ইংল্যান্ড), বিসিএস(স্বাস্থ্য)

অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল ওহাব খাঁন

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস, , এফসিপিএস(সার্জারী), , এমএসএড, জেনারেল ও এডভান্সড ল্যাপারসকপিক সার্জন

ডাঃ মোসাম্মাৎ মীরা পারভীন

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস , এফসিপিএস(সার্জারী)

ডাঃ মোঃ শহিদুজ্জামান

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(সার্জারী)

ডাঃ মোঃ আবুল কালাম আজাদ

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস,(ডিএমসি),), এফসিপিএস(সার্জারী)

মেজর জেনারেল ডাঃ এইচ. আর. হারুন

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery), ইউরোলজি ( মূত্রতন্ত্রের সার্জারী) ( Urology)

এমবিবিএস(ঢাকা), এফসিপিএস(বিডি), এফআরসিএস, ডি-ইউরোল

ডাঃ মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস, এফসিপিএস, এমআরসিএস, এসএমএস (দিল্লী)

সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ প্রবোধ কুমার বিশ্বাস

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস(ঢাকা), এফসিপিএস(সার্জারী)