পেট স্ফীত হওয়া (Abdominal distention)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

এই সমস্যাটি অ্যাসাইটিস নামেও পরিচিত। যখন পেটে তরল বা গ্যাস জমা হয় তখন এর ফলে পেট এবং মাজা স্বাভাবিক আকারের চেয়ে অনেক বেশি বড় হয়ে যায়। এই সমস্যাটিকে প্রধানত অন্যান্য গুরুতর রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয়। এই সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের বমি বমি ভাব, ব্যথা ও মাংসপেশীতে টান এর মতো সমস্যাও হয়ে থাকে। পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র বা কোলনে গ্যাস জমা হওয়ার কারণেই এই জটিলতা দেখা যায়। যেসব ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে পেটের গ্যাস নিয়ন্ত্রণে আনা হয়, সাধারণত সেগুলির মাধ্যমেই এই সমস্যার চিকিৎসা করা হয়।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতেপারে সেগুলো হলোঃ

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ সাধারণত অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসকেরা যতোটা সম্ভব পেটের গ্যাস অপসারণ করেন। তারপরেও কিছু গ্যাস থেকেই যায়। তা সময়ের ব্যবধানে অপসারিত হয়।

উত্তরঃ শুধুমাত্র অন্ত্রের গ্যাসের কারণেই পেটের উপরের যেকোনো অংশ ফুলে যেতে পারে।

উত্তরঃ সাধারণত অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসকেরা যতোটা সম্ভব পেটের গ্যাস অপসারণ করেন। তারপরেও কিছু গ্যাস থেকেই যায়। তা সময়ের ব্যবধানে অপসারিত হয়।

উত্ত্রঃ শুধুমাত্র অন্ত্রের গ্যাসের কারণেই পেটের উপরের যেকোনো অংশ ফুলে যেতে পারে।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ  করে এই লক্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভব-

  • খাদ্য গ্রহণ ও পানীয় পান ধীরে ধীরে করতে হবে।
  • বাই-কার্বোনেট সমৃদ্ধ পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।
  • চুইং গাম ও শক্ত ধরনের চকোলেট খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • ধূমপান এবং অ্যালকোহল ত্যাগ করতে হবে।