লক্ষণটি পেটে ভরা ভাব ও পেট স্ফীত হওয়া হিসেবেও পরিচিত।
পেট ফাঁপা বলতে পেট ফুলে ওঠা বা পেটের আকার বৃদ্ধি পাওয়াকে বোঝায়। পেট ফুলে ওঠার কারণে একজন ব্যক্তি পেটে ভরা ও শক্ত ভাব অনুভব করে থাকে। এই সমস্যার সাথে পেটে ব্যথা ও কিছু ক্ষেত্রে পেটে ব্যথাসহ পেটে গরগর শব্দ করার করার মতো সমস্যাও হতে পারে।
লিঙ্গ: নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
জাতি: কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।
উত্তরঃ কিছু ব্যক্তি নির্দিষ্ট কিছু কার্বোহাইড্রেট হজম করতে পারে না, যেমন- ল্যাকটোজ। এটি দুগ্ধজাত খাবারের অন্যতম শর্করা জাতীয় উপাদান। দুগ্ধজাত খাদ্য খেলে অনেকের পেটে গ্যাস বৃদ্ধি পাওয়া, মাংসপেশীর খিঁচুনি ও ডাইরিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
হেলথ টিপস্
আপনার পেট ফাঁপার সমস্যা থাকলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করুন:
আপনার খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং খাদ্য ধীরে ধীরে গ্রহণ করুন।
মহিষের দুধ পরিহার করুন বা অল্প পরিমাণে গ্রহণ করুন। ১ আউন্স (২৮মিলি) দুধ ১ গ্যালন গ্যাস উৎপন্ন করতে সক্ষম।
গমজাত খাদ্য কম পরিমাণে গ্রহণ করুন। এ জাতীয় খাদ্যে গ্লুটেন ( gluten) বিদ্যমান থাকে, যা জ্বালাপোড়ার ভাব এবং অতিরিক্ত পরিমাণ গ্যাস সৃষ্টি করে।
নিয়ন্ত্রিতভাবে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করুন। অ্যান্টিবায়োটিক পরিপাক নালীতে অবস্থিত অক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলিকে ধ্বংস করে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলি হজমে সাহা্য্যে করে থাকে। যদি আপনার অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করা প্রয়োজন হয়, তাহলে এর সাধে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স গ্রহণ করুন।
চিনি ও লবণ কম পরিমাণে গ্রহণ করুন। প্রক্রিয়াজাত খাবারের মধ্যে বিদ্যমান অতিরিক্ত চিনি ও লবণের কারণেও পেট ফাঁপার সমস্যা হতে পারে। ঝাঁজালো পানীয় গ্রহণ করার ব্যাপারেও সতর্ক হোন।
রাতের বেলায় বেশি খাদ্য গ্রহণ করবেন না। এর ফলে এসিড হয়ে পেটে ফেঁপে যেতে পারে।