হেপাটাইটিস বি একটি মারাত্মক লিভার ইনফেকশন। এটি হেপাটাইটিস বি ভাইরাস
বা এইচ-বি-ভি (HBV) দ্বারা হয়ে থাকে। কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে হেপাটাইটিস বি
ভাইরাস ক্রনিক পর্যায়ে চলে যায়, যা ছয় মাসের বেশি সময়ের জন্য স্থায়ী হয়।
এক্ষেত্রে লিভার ফেইলর, লিভার ক্যান্সার বা সিরোসিসের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
গুরুতর
লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিলেও হেপাটাইটিস বি-তে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী
পরিপূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে ওঠে। নবজাতক ও কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে হেপাটাইটিস
বি ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধকের
সাহায্যে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধ করা গেলেও এটি
প্রতিকার সম্ভব নয়। তাই একবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়লে সতর্কতামূলক
ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে এটি অন্যদের মাঝে না ছড়িয়ে পড়ে।
কারণ
সাধারণত নিম্নলিখিত কারণে
এই রোগ হয়ে থাকে:
লক্ষণ
এই
রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি
চিহ্নিত করে থাকেন:
উত্তরঃ রক্ত প্রদান, অনিরাপদ যৌন মিলন, ইনজেকশন ব্যবহার করে মাদক সেবন, এই ভাইরাসে
আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত ইনজেকশনের সুঁই ব্যবহারের মাধ্যমে হেপাটাইটিস
বি ছড়িয়ে থাকে।
হেলথ টিপস্
নিম্নলিখিত উপায়ে হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধ করা সম্ভব:
যৌনমিলনের পূর্বে যৌনসঙ্গীর এইচ-বি-ভি (HBV) ভাইরাস আছে কি না সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
নিরাপদ যৌন মিলনের জন্য প্রত্যেকবার কনডম ব্যবহার করতে হবে।
কোনোভাবেই একই ইনজেকশনের সুঁই একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং মাদক সেবন পরিহার করতে হবে।
দেহের
কোনো স্থানে ট্যাটু করা বা পিয়ার্সিং করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
এক্ষেত্রে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ব্যবহারের পূর্বে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে
হবে।
ভ্রমনের আগে অবশ্যই হেপাটাইটিস বি এর প্রতিষেধক নিতে হবে।
প্রতিষেধকের সাহায্যে খুব সহজে হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধ করা সম্ভব। যাদের অবশ্যই এই প্রতিষেধক নিতে হবে তারা হলো:
নবজাতক।
কমবয়সী শিশু যাদের জন্মের সময় এই প্রতিষেধক দেওয়া হয়নি।
যেসব ব্যক্তি যৌন ইনফেকশনে আক্রান্ত।
স্বাস্থ্যকর্মী ও হাসপাতাল বা ল্যাবরেটরিতে কাজ করে এমন ব্যক্তি।
যেসব পুরুষ অন্য পুরুষের সাথে যৌনসম্পর্কে লিপ্ত।
যাদের একাধিক যৌনসঙ্গী রয়েছে।
মাদক সেবনকারী।
এইচ-বি-ভি (HBV) ভাইরাসে আক্রান্ত এমন ব্যক্তির সাথে বসবাসরত ব্যক্তি।