অনৈচ্ছিক মলত্যাগ (Incontinence of stool)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

সাধারণত চার বছর বয়সের পরে শিশুদের মধ্যে এ লক্ষণ দেখা দেয়। দীর্ঘক্ষণের জন্য মলের চাপ আটকে রাখলে, মলাশয়ে মল জমতে শুরু করে ও শক্ত হয়ে যায়। এ অবস্থায় অপেক্ষাকৃত নরম মল অনিচ্ছাকৃতভাবে পায়ুপথে বেরিয়ে আসে ও শিশুর জামাকাপড়ে লেগে যায়। এটি এ্যাঙ্কোপ্রেসিস (Encopresis) নামে পরিচিত। এটি ক্রনিক কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের একটি লক্ষণ হতে পারে। তবে বেড়ে ওঠার সময় শারীরিক বা মানসিক কোনো ত্রুটি দেখা দিলেও এই সমস্যা হতে পারে। এ্যাঙ্কোপ্রেসিস দুই ধরনের হয়ে থাকে, যথাক্রমে- প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি এ্যাঙ্কোপ্রেসিস। শিশু টয়লেট ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়ার আগে এই সমস্যা দেখা দিলে তাকে প্রাইমারি এ্যাঙ্কোপ্রেসিস বলে। শিশু টয়লেট ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়ার পরও এই সমস্যা দেখা দিলে তাকে সেকেন্ডারি এ্যাঙ্কোপ্রেসিস বলে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যেসকল কারণে এ্যাঙ্কোপ্রেসিস হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় সেগুলো হলোঃ

  • লিঙ্গ(পুরুষ)
  • ক্রনিক কোষ্ঠায়কাঠিন্য দেখা দেওয়া।
  • আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ বিভিন্ন উপায়ে এ্যাঙ্কোপ্রেসিসের চিকিৎসা করা হয়, যেমন- খাদ্যাভাস পরিবর্তনের মাধ্যম, সার্জারি ও নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ গ্রহণ, অনুশীলন ও ইলেকট্রিক স্টিমুলেশন। এছাড়াও এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য শিশুর মধ্যে নিয়মিত মলত্যাগের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।  

উত্তরঃ কি কারণে শিশুর এ সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে হবে। পরবর্তী পর্যায়ে ঔষধ ও সার্জারির সাহায্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সমস্যা যতই গুরুতর হোক না কেন, যথাযথ চিকিৎসার সাহায্যে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।  

হেলথ টিপস্‌

এ সমস্যা প্রতিরোধে শিশুর মধ্যে নিয়মিত মলত্যাগের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ করে সকালের ও রাতের খাবারের পর শিশুকে মলত্যাগ করানোর অভ্যাস করাতে হবে। এছাড়াও আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে ও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। দুগ্ধজাতীয় ও চর্বিযুক্ত খাবার সীমিত পরিমাণে খেতে হবে।