বায়ু নির্গত হওয়া (Flatulence)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

লক্ষণটি গ্যাস নামেও পরিচিত।

অন্ত্রের মধ্যে অবস্থিত গ্যাস/বায়ু মলদ্বার থেকে নির্গত হয়। এছাড়া পরিপাক নালী থেকে মুখের ভিতর দিয়েও বায়ু নির্গত হয়ে থাকে।

যে কোনো মূহুর্তে বায়ু নির্গত হতে পারে, এবং এ কারণে ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। এটি কোনো গুরুতর সমস্যা না হলেও এর জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

পেটে গ্যাস সৃষ্টিকারী কোনো সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডাইরিয়ার সাথে সম্পর্কযুক্ত যে কোনো সমস্যার জন্য ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। সাধারণত অন্ত্রে গ্যাস জমা হলে এবং তা স্বাভাবিকভাবে বের হতে না পারলে এই সমস্যা দেখা দেয়। বেশিরভাগ ব্যক্তি দিনে কমপক্ষে ১০ বার বায়ু নির্গত করে থাকে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেমন-

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যে সকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বায়ু নির্গত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে-

  • ল্যাকটোজ (lactose) ও গ্লুটেন( lactose) সহ্য না হওয়া।
  • ফল, শাকসবজি, শস্য ও বীজ জাতীয় খাদ্য গ্রহণ।
  • কার্বনেটেড পানীয় পান।
  • ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (irritable bowel syndrome) অথবা ইনফ্লামেটরি বাওয়েল ডিজিজের (inflammatory bowel disease) মতো অন্ত্রের কোনো ক্রনিক (দীর্ঘস্থায়ী ও বারবার দেখা দেয়) সমস্যা।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাত:  শ্বেতাঙ্গ ও হিসপ্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মানুষের  মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তর: মূলত পরিপাক নালীতে অবস্থিত জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট গ্যাসের কারণে এই বায়ুতে দুর্গন্ধ  হয়ে  থাকে। মিথেন এর অন্যতম উপাদান। গ্রহণকৃত খাদ্য ও কিছু ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট গ্যাসের কারণেও শরীর থেকে নির্গত বায়ুতে দুর্গন্ধ হয়ে থাকে। এই জীবাণু খাদ্যের হজম না হওয়া অংশ গ্রহণ করে জীবনধারণ করে।

উত্তর: মাংস (লাল) খাওয়ার পর এ ধরনের সমস্যা হলে মাংস খাওয়া বন্ধ করা উচিৎ। মাছ ও  পোলট্রির মুরগীর মাংস লাল মাংসের চেয়ে স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী।

হেলথ টিপস্‌

জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন এনে অতিরিক্ত গ্যাস ও গ্যাসের কারণে সৃষ্ট ব্যথা কমিয়ে স্বস্তি পাওয়া যেতে পারে-

  •  কোনো খাদ্য গ্রহণের সময় অল্প পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে, এবং দেখতে হবে সেটির কারণে অতিরিক্ত গ্যাস সৃষ্টি হচ্ছে কীনা।
  • খাবার ধীরে ধীরে এবং ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হবে। খাবার গিলে খাওয়ার অভ্যাস পরিহার করতে হবে।
  • চুইং গাম ও ক্যান্ডি পরিহার করতে হবে, এবং স্ট্র দিয়ে কোনো পানীয় পান করা যাবে না।
  • কৃক্রিম দাঁতের পাটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। কৃত্রিম দাঁত ঠিক মতো মুখে না লাগানো হলে কোনো কিছু খাওয়া বা পান করার সময় অতিরিক্ত বাতাস খাবারের সাথে প্রবেশ করতে পারে।
  • ধূমপান পরিহার করতে হবে।
  • শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। শারীরিক পরিশ্রম পরিপাক নালী থেকে গ্যাস অপসারণ করতে সাহায্য করে।