বুক জ্বালা (Heartburn)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

এ অবস্থায় বক্ষাস্থির ঠিক পেছনে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া হয়। উপুড় হয়ে শোয়ার ফলে এই ব্যথা বেশি হয়। কখনও কখনও কোনো কারণ ছাড়াই এই সমস্যা হতে পারে, সেক্ষেত্রে দৈনন্দিন অভ্যাসের পরিবর্তন ও নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমে এই সমস্যা দূর করা সম্ভব। আবার মারাত্নক কোনো রোগের কারণেও এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, সেক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-   

শ্বেতরক্ত কণিকা সম্পর্কিত রোগ (White blood cell disease) ভিটামিন ‘বি১২’ এর অভাব জনিত রোগ (Vitamin B12 deficiency)
লিভারের রোগ (Liver disease) হার্ট এ্যাটাক (Heart attack)
ডায়াবেটিস জনিত কিডনির রোগ (Diabetic kidney disease) পাইলস (Hemorrhoids)
পাকস্থলীর ক্যান্সার (Stomach cancer) পিত্তথলির পাথর (Gallstone)
বদহজম (Indigestion) গ্যাস্ট্রাইটিস (Gastritis)
রেক্টাল ডিজঅর্ডার / মলাশয়ের রোগ (Rectal disorder) গ্যাস্ট্রোডিওডেনাল আলসার (Gastroduodenal ulcer)
লৌহের ঘাটতিজনিত রক্তস্বল্পতা (Iron deficiency anemia) গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ/ বুকজ্বালা (Gastroesophageal reflux disease)
গয়টার (Goitre) কোলনিক পলিপ (Colonic polyp)
ক্রন ডিজিজ (Crohn disease) ডাইভারটিকুলোসিস (Diverticulosis)
ইনজুরি টু দি নী (Injury to the knee) গ্যাস্ট্রোপ্যারেসিস (Gastroparesis)
হাশিমোতো থাইরয়েডাইটিস (Hashimoto thyroiditis) মেনিয়ার ডিজিজ (Meniere disease)
হায়াটাল হার্ণিয়া (Hiatal hernia) স্ট্রিকচার অফ দি ইসোফ্যাগাস (Stricture of the esophagus)
সাবঅ্যাকিউট থাইরয়ডাইটিস (Subacute thyroiditis) পেলভিক ফিস্টুলা (Pelvic fistula)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

বিভিন্ন ধরনের খাবারে বুক জ্বালাপোড়া করার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় যেমন- মশলা যুক্ত খাবার, পিঁয়াজ, টক জাতীয় ফল, টমেটো সস, তেলে ভাজা খাবার, পুদিনাপাতা, চকোলেট, অ্যালকোহল, কোমল পানীয়, কফি বা ক্যাফেইন যুক্ত পানীয়, চর্বিযুক্ত খাবার ইত্যাদি।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্যান্যদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ বুক জ্বালাপোড়া করা গর্ভধারণের একটি সাধারণ লক্ষণ, তবে গর্ভধারণ না করলেও এই সমস্যা হতে পারে। প্রেগনেন্সি কীট ব্যবহার করে কেউ গর্ভবতী কিনা তা পরীক্ষা করা যায়।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে এই লক্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভবঃ

  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  • ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে।
  • যেসব খাবার খেলে বুক জ্বালাপোড়া করে সেসব খাবার খাওয়া যাবে না।
  • রাতের খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমানো যাবে না। খাওয়ার কমপক্ষে ৩ ঘন্টা পর ঘুমাতে হবে।
  • রাতে বেশি দেরি করে খাওয়া যাবে না।
  • ধূমপান করা যাবে না।
  • ঘুমানোর সময় মাথা উঁচু স্থানে রেখে ঘুমাতে হবে।