এ অবস্থায় বক্ষাস্থির ঠিক পেছনে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া হয়। উপুড় হয়ে শোয়ার ফলে
এই ব্যথা বেশি হয়। কখনও কখনও কোনো কারণ ছাড়াই এই সমস্যা হতে পারে,
সেক্ষেত্রে দৈনন্দিন অভ্যাসের পরিবর্তন ও নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ খাওয়ার
মাধ্যমে এই সমস্যা দূর করা সম্ভব। আবার মারাত্নক কোনো রোগের কারণেও এই
লক্ষণ দেখা যেতে পারে, সেক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া
উচিৎ।
বিভিন্ন ধরনের খাবারে বুক জ্বালাপোড়া করার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় যেমন- মশলা
যুক্ত খাবার, পিঁয়াজ, টক জাতীয় ফল, টমেটো সস, তেলে ভাজা খাবার, পুদিনাপাতা,
চকোলেট, অ্যালকোহল, কোমল পানীয়, কফি বা ক্যাফেইন যুক্ত পানীয়, চর্বিযুক্ত
খাবার ইত্যাদি।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতিঃ
কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ,
হিস্প্যানিক ও অন্যান্যদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা
রয়েছে।
উত্তরঃ বুক জ্বালাপোড়া করা গর্ভধারণের একটি সাধারণ লক্ষণ, তবে গর্ভধারণ না করলেও
এই সমস্যা হতে পারে। প্রেগনেন্সি কীট ব্যবহার করে কেউ গর্ভবতী কিনা তা
পরীক্ষা করা যায়।
হেলথ টিপস্
নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে এই লক্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভবঃ
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে।
যেসব খাবার খেলে বুক জ্বালাপোড়া করে সেসব খাবার খাওয়া যাবে না।
রাতের খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমানো যাবে না। খাওয়ার কমপক্ষে ৩ ঘন্টা পর ঘুমাতে হবে।