খাদ্যনালীর ক্যান্সার (Esophageal cancer)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

এই অবস্থায় ইসোফ্যাগাস  বা খাদ্যনালীর নিচের অংশের শিরা অস্বাভাবিকভাবে বড় বা স্ফীত হয়ে যায়। লিভার ডিজিজ গুরুতর পর্যায়ে চলে গেলে অথবা স্কার টিস্যু বা ব্লাড ক্লটের কারণে লিভারে স্বাভাবিকভাবে রক্ত সঞ্চালন ব্যহত হলে সাধারণত এই রোগ হয়ে থাকে। ব্লকেজের কারণে রক্ত সঞ্চালন ক্ষুদ্র নালীর মধ্য দিয়ে হয় এবং এর কারণে ক্ষুদ্র রক্ত নালীর উপর চাপ পড়ে ছিদ্র হয়ে যেতে পারে, যার ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং ব্যক্তির মৃত্যুও হতে পারে। মেডিসিন ও মেডিকেল প্রসিডিউরস বা অপারেশনের মাধ্যমে এই রক্তক্ষরণ বন্ধ করা সম্ভব।

কারণ

এই রোগ হওয়ার কারণগুলো হলোঃ

  • বিভিন্ন লিভার ডিজিজ যেমন-হেপাটাইটিস ইনফেকশন, অ্যালকোহলিক লিভার ডিজিজ, ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, বাইল ডাক্ট ডিজঅর্ডার বা প্রাইমারী বিলিয়ারী সিরোসিস এর কারণে সিরোসিস হয়ে থাকে। সিরোসিসে আক্রান্ত ৪০ শতাংশ ব্যক্তির এই রোগ হয়ে থাকে।
  • পোর্টাল বা স্প্লেনিক ভেইনে রক্ত জমাট বাধার কারণে এই রোগ হতে পারে।
  • শিস্টোসোমিয়াসিস নামক এক ধরনের প্যারাসাইটিক ইনফেকশনের কারণে লিভার, ফুসফুস, অন্ত্র ও মূত্রনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয় যার কারনে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
  • বাড-চিয়ারী সিন্ড্রোম যার কারণে লিভারে রক্তসরবরাহকারী নালীতে রক্ত জমাট বাঁধে এর ফলে এই রোগ হতে পারে।

লক্ষণ

চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের মধ্যে সাধারণত নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখতে পানঃ

চিকিৎসা

চিকিৎসকেরা এই রোগাক্রান্ত ব্যাক্তিদের নিম্নলিখিত ঔষধগুলো দিয়ে থাকেনঃ

capecitabine cisplatin
epirubicin hydrochloride irinotecan hydrochloride
metoclopramide oxaliplatin
paclitaxel fluorouracil

চিকিৎসকেরা এই রোগাক্রান্ত ব্যাক্তিদের নিম্নলিখিত টেস্টগুলো দিয়ে থাকেনঃ

ইলেক্ট্রোলাইটস, সেরাম (Electrolytes, serum)
সি-বি-সি (কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট) (CBC, Complete Blood Count)
সিটি স্ক্যান চেস্ট (CT scan chest)
পজিট্রন এমিশন টোমোগ্রাফি (Positron emission tomography, PET)
বেরিয়াম সোয়ালো (Barium swallow)
এন্ডোস্কপিক আল্ট্রাসনোগ্রাফি (Endoscopic ultrasonography, EUS)

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যেসকল বিষয়ের কারণে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় সেগুলো হলোঃ

  • পোর্টাল হাইপারটেনশন বা পোর্টাল শিরায় চাপ বেড়ে যাওয়া।
  • ভ্যারিসেসের আকার বেড়ে যাওয়া।
  • খাদ্যনালীর শিরায় লাল লাল ছোপ থাকা যা এন্ডোস্কপির মাধ্যমে সনাক্ত করা সম্ভব।
  • দীর্ঘদিন ধরে মদ্যপান করা।
  • লিভার ফেইলর বা সিরোসিস গুরুতর পর্যায়ে চলে যাওয়া।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ ও হিস্পানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ২ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ পুরো বিশ্বব্যাপী ডাক্তার ও গবেষকেরা ক্যান্সার নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা করছেন। কি কি কারণে খাদ্যনালীর ক্যান্সার হয়, কিভাবে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং আরও যথাযথ উপায়ে এটি কিভাবে নির্ণয় করা সম্ভব, তা নিয়ে আরও নতুন গবেষণা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন ঔষধের সাহায্যে খাদ্যনালীর ক্যান্সারের চিকিৎসা এবং মৃত্যুর হার কমানোর লক্ষ্যেও বিভিন্ন গবেষণা করা হয়েছে। নতুন ধরনের রেডিয়েশন থারাপির সাহায্যে এখন খাদ্যনালীর ক্যান্সারের চিকিৎসা সম্ভব।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অপারেশনের সাহায্যে আক্রান্ত স্থান থেকে টিউমারটিকে সরানো হয়। যদি তা সম্ভব না হয় তবে এ রোগের উপসর্গগুলো নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। যেসকল উপায়ে এ রোগের চিকিৎসা করা হয় তা হলঃ

  • রেডিয়েশন থেরাপি (Radiation therapy)
  • কেমোথেরাপি (Chemotherapy)
  • ফটোডাইনামিক থেরাপি (Photodynamic therapy) এবং অন্যান্য লেজার থেরাপি।

অপারেশনের পূর্বে বা অপারেশনের পরবর্তীতে রেডিয়েশন থেরাপি ও কেমোথেরাপির  সাহায্যে  টিউমারটিকে সংকুচিত করে ফেলা হয়। অথবা অপারেশনের পর অবশিষ্ট ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলোকে রেডিয়েশন থেরাপি ও কেমোথেরাপির সাহায্যে নষ্ট করে ফেলা হয়।

হেলথ টিপস্‌

 এই রোগে আক্রান্ত হলে নিম্নলিখিত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবেঃ

  • মদ্যপান করা যাবে না। লিভার ডিজিজে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অ্যালকোহল গ্রহণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় কারণ এটি লিভারের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
  • সুষম খাবার খেতে হবে। প্রচুর পরিমাণে ফলমূল, শাকসবজি, শস্যদানা ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। ভাজাপোড়া ও চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে।
  • স্থুলতার কারণে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সিরোসিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  • যেকোনো ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
  • একই সূঁচ বেশ কয়েকজন মিলে ব্যবহার করা যাবে না। অনিরাপদ যৌনসম্পর্কের কারণে হেপাটাইটিস এ ও বি হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এই ধরনের সম্পর্ক থেকে থেকে দূরে থাকতে হবে বা যৌনমিলনের সময় কনডম ব্যবহার করতে হবে।  হেপাটাইটিসের টিকা দিতে হবে কিনা তা জানার জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

ডাঃ মোঃ কামরুজ্জামান (রুম্মান)

অঙ্কোলজি ( ক্যান্সার) ( Oncology)

এমবিবিএস , এফসিপিএস

ডা: এ বি এম ছফি উল্লাহ্‌

গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি ( খাদ্যনালী, পরিপাকতন্ত্র) ( Gastroenterology)

এমবিবিএস, এমডি(গ্যাষ্ট্রোএন্টারোলজী)

ডাঃ ইন্দ্রজিৎ কুমার দত্ত

মেডিসিন ( Medicine), গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি ( খাদ্যনালী, পরিপাকতন্ত্র) ( Gastroenterology)

এমবিবিএস (ডিএমসি), এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (গ্যাষ্ট্রো)

ডাঃ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান

গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি ( খাদ্যনালী, পরিপাকতন্ত্র) ( Gastroenterology)

এমবিবিএস(ডিএমসি), এফসিপিএস(মেডিসিন), এমএসিপি(ইউএসএ), এমএসিজি(ইউএসএ), এমডি(গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজী)

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক ডাঃ শেখ মোঃ বাহার হোসেন (অবঃ)

গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি ( খাদ্যনালী, পরিপাকতন্ত্র) ( Gastroenterology), মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(মেডিসিন), এফআরসিপি(এডিন), এফআরসিপি(গ্লাসগো), এফএসিপি(আমেরিকা), এফ গ্রাষ্ট্রো(সাংহাই)

ডাঃ মোঃ সাইফ উদ্দৌলা

গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি ( খাদ্যনালী, পরিপাকতন্ত্র) ( Gastroenterology)

এমবিবিএস (ডিএমসি) , এমসিপিএস (মেডিসিন) , এমডি (গ্যাস্ট্রো)

ডাঃ মোহাম্মদ শোয়েব চৌধুরী

গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি ( খাদ্যনালী, পরিপাকতন্ত্র) ( Gastroenterology)

এম বি বি এস, এম ডি( গ্যাষ্ট্রোএন্টারোলজী)

ডাঃ আইরিন পারভীন

গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি ( খাদ্যনালী, পরিপাকতন্ত্র) ( Gastroenterology)

এমবিবিএস , এফসিপিএস(মেডিসিন), এমডি(গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি)