চিকিৎসাবিজ্ঞানে মুখে ব্যথা হওয়া ও জ্বালাপোড়া করা ওরাল পেইন (Oral Pain) বা বার্নিং মাউথ সিন্ড্রোম (Burning mouth syndrome) নামে পরিচিত। কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে মুখের অভ্যন্তরে, জিহ্বা, মাড়ি, মুখের তালু, ঠোঁট ও গালের ভেতরের অংশে ব্যথাসহ জ্বালাপোড়া হতে পারে। এ লক্ষণ দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী হতে পারে এবং বারবার দেখা দিতে পারে। মুখের জ্বালাপোড়ার সমস্যা এতটাই মারাত্মক হতে পারে যে, এ অবস্থায় মুখের অভ্যন্তরে সম্পূর্ণ ছাল উঠে যাওয়ার অনুভূতি হতে পারে। এই সমস্যার কোন নির্দিষ্ট কারণ সনাক্ত করা যায় না বলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়ে। এর ফলস্বরূপ সমস্যাটি সহজে দূরীভূত হয় না।
মুখে ব্যথা ও জ্বালাপোড়ার সমস্যা খুব কম দেখা দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমস্যাটি কোন কারণ ছাড়াই হয়ে থাকে। তবে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের প্রভাবে এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। যেমন- মেনোপজের পর মহিলাদের এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। আবার, ৫০-৭০ বছর বয়সের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এ লক্ষণ বেশি দেখা দেয়। একইসাথে বিষণ্নতা, মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তায় ভুগলে, খাবারের দ্বারা অ্যালার্জির সৃষ্টি হলে, শ্বাসনালীতে ইনফেকশন হলে এবং নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ গ্রহণের ফলে এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও পূর্বে কখনো দাঁতের চিকিৎসা করা হলে পরবর্তীতে এ লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
জাতিঃ হিস্প্যানিক, শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরঃ ফিলিং করানোর সময় ব্যথা উপশমের জন্য কোন ঔষধ দেওয়া না হলে পরবর্তীতে মুখে ব্যথা হতে পারে।
উত্তরঃ দাঁতে ক্ষয় হলে, স্বরভঙ্গ বা গলায় ইনফেকশন, ফোঁড়া বা ক্ষত দেখা দিলে শিশুর মুখে ব্যথা হতে পারে।
হেলথ টিপস্
মুখে ব্যথা ও জ্বালাপোড়ার সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে ধূমপান, মশলা ও টকজাতীয় খাবার, কার্বোনেটেড পানীয় এড়িয়ে চললে এবং মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তার মাত্রা কমালে এ লক্ষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।