মুখের অভ্যন্তরে যে মিউকাস মেমব্রেন থাকে সেখানে ঘা দেখা দিলে তাকে মাউথ আলসার (Mouth ulcer), ওরাল আলসার (Oral Ulcer), মাউথ আলসার্যাশন (Mouth Ulceration) বা ক্যানকার সোর (canker sore) বলা হয়। অর্থাৎ এ অবস্থায় মুখের ভেতরে ঘা বা ক্ষত দেখা দেয়। বিভিন্ন কারণে মুখে ঘা হতে পারে। তবে সাধারন্ত তেমন কোন গুরুতর কারণে এ লক্ষণ দেখা দেয় না। মুখের ভেতরে কোন আঘাত লাগলে, কেটে গেলে বা ক্ষত হলে ঘা হতে পারে। আবার কোন কারন ছাড়াই মুখের বারবার ঘা হতে পারে যা অ্যাফথাস আলসার নামে পরিচিত। এই ঘায়ের ফলে মুখে ব্যথা হয় ও রোগী সবধরনের খাবার খেতে পারে। বিশেষ করে ঝাল ও মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হয়। মুখের ভেতরে এক বা একাধিক স্থানে ঘা হতে পারে। এই ঘা থেকে ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ ও সেকন্ডারি ইনফেকশন হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে ঘা ভালো না হলে তা ওরাল ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
বিভিন্ন কারণে মুখে ঘা হতে পারে। তবে নির্দিষ্ট কিছু কারণে এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। যেমনঃ মহিলাদের ক্ষেত্রে মুখে ঘা হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। আবার এই সমস্যায় আক্রান্ত এক-তৃতীয়াংশ ব্যক্তির ক্ষেত্রে দেখা গেছে তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যেরও এই সমস্যা আছে। একই পরিবেশ বা একই খাদ্যাভাসের কারণে এই লখন দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গঃ পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্পানিক ও ওন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, শ্বেতাঙ্গদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম।