মাড়িতে ব্যথা (Gum pain)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

নিয়মিত দাঁত ব্রাশ না করলে ব্যাকটেরিয়ার কারণে দাঁতে প্লাক সৃষ্টি হয়। একই সাথে মাড়িতে ইনফ্লামেশন বা প্রদাহের সৃষ্টি হয়। যার ফলে মাড়ি ফুলে যায় ও মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে। জিঞ্জিভাইটিস (gingivitis)-এ আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীর মাড়িতে ব্যথা হয় না। তবে চিকিৎসা করা না হলে এ অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে, এমনকি দাঁত পড়ে যাতে পারে। তাই জিঞ্জিভাইটিস দেখা দেওয়ার সাথে সাথে যথাযথ চিকিৎসা করাতে হবে ও নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে হবে।

জিঞ্জিভাইটিস মারাত্মক আকার ধারণ করলে তাকে পেরিয়োডন্টাইটিস (periodontitis) বলে। এ অবস্থায় মাড়ি ও দাঁতের অস্থি দুর্বল হয়ে যায়। ব্যাকটেরিয়ার কারণে দাঁতে বিষাক্ত ও ক্ষতিকর পদার্থের উপস্থিতি বেড়ে যায়। যার ফলে মাড়িতে ইনফেকশন ও প্রদাহের সৃষ্টি হয়, যা চোয়ালের অস্থিরও ক্ষতি করা থাকে। এর ফলে মাড়ি ফুলে যায়, ব্যথা হয় ও মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-   

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যেসকল কারণে এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় সেগুলো হলোঃ

  • জিঞ্জিভাইটিসে আক্রান্ত হওয়া।
  • বংশগত কারণ।
  • নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার না করা।
  • তামাক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার।
  • ডায়াবেটিস।
  • লিউকোমিয়া, এইডস বা ক্যামোথেপারির জন্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়া।
  • পুষ্টির অভাব।
  • নির্দিষ্ট কিছু ঔষধের ব্যবহার।
  • গর্ভধারণ বা মেনোপজের সময় হরমোনজনিত পরিবর্তন।
  • দাঁতের অবস্থানগত ত্রুটি।
  • ভাইরাল ও ফাঙ্গাল ইনফেকশন।
  • মুখের ভেতরে শুষ্কতা দেখা দেওয়া।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গ, শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।  হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ অধিকাংশ ব্যক্তিই শুধুমাত্র দাঁতে কোন সমস্যা হলেই ডেন্টিস্টের শরণাপন্ন হয়ে থাকে। এই ধরনের চিকিৎসাকে বলা হয় ‘ক্রাইসিস ট্রিটমেন্ট’, যা ‘প্রিভেন্টিভ ট্রিটমেন্ট’ এর সম্পূর্ণ বিপরীত। দাঁতের সমস্যা কোনো লক্ষণ ছাড়াই দেখা দেয়, এবং গুরুতর পর্যায়ে গিয়ে এর লক্ষণ প্রকাশ পায়। এজন্য দাঁত ক্ষয়েও যায়। এক্ষেত্রে কোনো ব্যথা অনুভব হয় না, তবে এর ফলে নার্ভের ক্ষতি হতে পারে। এই পর্যায়ে রুট ক্যানালের সাহায্যে চিকিৎসা করা হয়। এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। নিয়মিত ডেন্টিস্টের কাছে গেলে দাঁতের যেকোনো সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়েই ধরা পড়ে ও যথাযথ চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয়।

হেলথ টিপস্‌

নিয়মিত ২ বার দাঁত পরিষ্কার করতে হবে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ও সকালে ঘুম থেকে উঠার পর ব্রাশ করা উচিৎ। একই সাথে দিনে একবার ফ্লসিং করা প্রয়োজন। ব্রাশ করার আগে ফ্লসিং করে নিলে দাঁতে আটকে থাকা খাদ্যকণা ও ব্যাকটেরিয়া ব্রাশ করার সময় খুব সহজে পরিষ্কার করা যায়।