মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া (Bleeding gums)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

মাড়িতে প্রদাহ হলে তাকে জিঞ্জিভাইটিস (Gingivitis) বলে। এর ফলে মাড়ি লাল হয়ে যায়, মাড়িতে ব্যথা হয় বা মাড়িতে ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে। বিভিন্ন কারণে এই সমস্যাটি হতে পারে। মাড়ি দূর্বল হয়ে গেলে ব্রাশ বা ফ্লস করার সময় মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে। এর সাথে সাথে মাড়ির টিস্যু ফুলেও যেতে পারে। দাঁতে ময়লা জমলে জিঞ্জিভাইটিস বা মাড়ির প্রদাহ হয়।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

এ লক্ষণের জন্য ঝুকিপূর্ণ বিষয়গুলো হলোঃ

  • নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার না করলে।
  • টোবাকো বা তামাক ব্যবহার।
  • ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়া।
  • বয়স্ক ব্যক্তি।
  • লিউকেমিয়া, এইচ-আই-ভি বা এইডস এর কারনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে।
  • নির্দিষ্ট কিছু ঔষধের কারনে।
  • ভাইরাল এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশনের কারণে।
  • মুখ শুষ্ক হয়ে গেলে।
  • হরমোনগত পরিবর্তন যেমন- গর্ভাবস্থা, মাসিক চক্র বা জন্মবিরতিকরণ পিলের ব্যবহার।
  • পুষ্টিহীনতায় ভুগলে।
  • মাদকদ্রব্য সেবন করলে।
  • দাঁতের গঠনে সমস্যা হলে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ। 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ যে রাসায়নিক পদার্থ দাঁত সাদা করার জন্য ব্যবহৃত হয়, তা মাড়িতে লাগলে মাড়িতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়, যার ফলে মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে।

উত্তরঃ অতিরিক্ত ভিটামিন বি ১২ এর কারণে মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে না। তবে এর কারণে হাত-পা অবশ হয়ে যায় এবং শিরশির করতে থাকে।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে এই লক্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভবঃ

  • নরম টুথব্রাশ ব্যবহার এবং তা তিন-চার মাস পর পর পরিবর্তন করতে হবে।
  • প্লাক ও দাঁতের ময়লা পরিষ্কার করতে হবে।
  • দিনে অন্তত দুইবার ও খাবার পর দাঁত মাজতে হবে।
  • দিনে অন্তত একবার ফ্লস করতে হবে।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিসেপ্টিক মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।