জিহবায় ব্যথা হওয়া (Tongue pain)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় মুখে ব্যথা হওয়া ও জ্বালাপোড়া করা ওরাল পেইন (Oral Pain) বা বার্নিং মাউথ সিন্ড্রোম (Burning mouth syndrome) নামে পরিচিত। এ অবস্থায়, সাধারণত কোন কারণ ছাড়াই, হঠাৎ করে মুখের অভ্যন্তরে, জিহবা, মাড়ি, মুখের তালু, ঠোঁট ও গালের ভেতরের অংশে ব্যথাসহ জ্বালাপোড়া হয়। এ লক্ষণ দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী হতে পারে এবং বারবার দেখা দিতে পারে। মুখের জ্বালাপোড়ার সমস্যা এতটাই মারাত্মক হতে পারে যে এ অবস্থায় মনে হয় মুখের অভ্যন্তরে পুরোটা ছিলে গেছে। এই সমস্যার কোন নির্দিষ্ট কারণ জানা যায় না বলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়ে এবং খুব সহজে ভালো হয় না। এছাড়াও জিহ্বায় কামড় পড়লেও ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন:

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

 টাইপ-২ টাঙ্গ পেইন (Type 2 Tongue pain) এবং স্বাদগ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই সমস্যাটি হতে পারে। এছাড়াও মশলাযুক্ত খাবার, আলগা দাঁত ঠিকমত না লাগানো হলে, নির্দিষ্ট কিছু ঔষধের ব্যবহার, ভিটামিন বি ১২-এর অভাব বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন ইত্যাদি কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ বিভিন্ন কারণের জন্য যেমন- নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ ব্যবহারের কারণে লালার উৎপাদন কমে গেলে, দেহে পানিশূন্যতা হলে, প্রাইমারী স্যালিভারী গ্ল্যান্ড ডিজিজ এ (শ্রোগেন্স ডিজিজ) এই সমস্যা হতে পারে। তবে সেপারেট এন্ড ডিস্ক্রিট ওরাল মিউকাস মেমব্রেন ডিজঅর্ডার (Separate and discrete oral mucous membrane disorder) যেমন- লিচেন প্ল্যানাস (Lichen planus) বা পেম্ফিগয়েড (pemphigoid) এর কারণেও এই সমস্যা হতে পারে।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে এই লক্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভবঃ 

  • জিহ্বার যে অংশে ব্যথা সে স্থান হাত দিয়ে বারবার স্পর্শ করা যাবে না। এই সমস্যা নিজে নিজেই সেরে উঠে। তবে এই সমস্যা ৭ থেকে ১০ দিনের বেশি স্থায়ী হলে যত দ্রুত সম্ভব ডেন্টিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে।
  • নিয়মিত ব্রাশ করতে হবে। তার পাশাপাশি নিয়মিত হালকা গরম লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া করতে হবে।
  • অতিরিক্ত মশলাযুক্ত ও টক জাতীয় খাবার খাওয়া ও ধূমপান করা যাবে না।