স্তনের চাকা/পিণ্ড (Lump or mass of breast)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

লক্ষণটি স্তন ফুলে যাওয়া ও স্তনের সিস্ট নামেও পরিচিত।

স্তনের ভিতরের টিস্যু বৃদ্ধি পাওয়াকে স্তনে চাকা বা পিণ্ড সৃষ্ট হওয়া বলে।

স্তনের পিণ্ড দেখতে বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, এবং এর ফলে সৃষ্ট অনুভূতিও নানা প্রকারের হতে পারে। স্তনে পিণ্ড হলে নিম্ননলিখিত বিষয়গুলি দেখা দেয়-

  • স্তনে নির্দিষ্ট সীমারেখাযুক্ত পৃথক পিণ্ড।
  • স্তনে পুরু ও বিশেষ স্থান সৃষ্টি হওয়া, যা আশেপাশের স্তনের টিস্যুর চেয়ে ভিন্ন।
  • স্তনের অন্য কোনো পরিবর্তন, যেমন- লালভাব সৃষ্টি হওয়া, টোল পড়া বা গুঁটি সৃষ্টি হওয়া।
  • একটি স্তন অপরটির চেয়ে অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে যাওয়া।
  • স্তনবৃন্তে পরিবর্তন, যেমন- স্তনবৃন্ত ভিতরে ঢুকে যাওয়া ও সেখান থেকে অবিরতভাবে তরল নির্গত হওয়া।
  • স্তনে ব্যথা বা নরমভাব সৃষ্টি হওয়া।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্তনের পিণ্ড স্তনের ক্যান্সারের লক্ষণও হতে পারে। তাই এই সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। তবে স্তনের পিণ্ড খুব কম ক্ষেত্রে ক্যান্সারের কারণে সৃষ্টি হয়ে থাকে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে:  যেমন-

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যে সকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি স্তনে পিণ্ড হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে-

  • পূর্বে স্তন ক্যান্সার হওয়া।
  • কোনো নিকটাত্মীয়ের স্তন ক্যান্সার থাকা।
  • বয়স বৃদ্ধি। (৩৫ বছরের পূর্বে ৫%, এবং ৫০ বছরের পূর্বে ২৫%)
  • সন্তান জন্ম না দেওয়া, বা ৩০ বছরের পর প্রথম সন্তার জন্ম দেওয়া।
  • স্তন্যপান না করানো।
  • মাসিক স্বাভাবিক সময়ের পূর্বে শুরু হওয়া ও পরে বন্ধ হওয়া।
  • হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (HRT)।
  • বুকে তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব (কম মাত্রার হলেও)।
  • অতিরিক্ত পরিমাণ অ্যালকোহল গ্রহণ।
  • স্তনের আকার বৃদ্ধির সাথে সাধারণত এই ঝুঁকির কোনো সম্পর্ক থাকে না। তবে কোন ধরনের ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহৃত হচ্ছে, তা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

জাত: হিস্প্যানিক, শ্বেতাঙ্গদের, কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উ: এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ। পাঁজরের তরুণাস্থির কারণে এ ধরনের ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া স্তনেও কোনো সমস্যা থাকতে পারে। এক্ষেত্রে ক্যালোস হওয়ার সম্ভাবনা কম।

উ: প্রথমত সাধারণ চিকিৎসক বা গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। চিকিৎসকের স্তন পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে কিছু টেস্ট করা প্রয়োজন হতে পারে। স্তনের অনেক পিণ্ডই ক্ষতিকর নয়। তবুও কিছু ক্ষেত্রে বায়োপসি (biopsy) করার প্রয়োজন হতে পারে। ম্যামোগ্রাফি এবং/অথবা বায়োপসিতে আরও গুরুতর পরিবর্তন ধরা পড়লে ক্যান্সার সার্জন ও অনকোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।