মুত্র আটকে যাওয়া (Retention of urine)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

এই অবস্থায় ব্যক্তি প্রস্রাব করতে পারে না বা তার প্রস্রাব করার ক্ষমতা কমে যায়। এই সমস্যাটি ইস্কুরিয়া নামেও পরিচিত। সাধারণত বিনাইন প্রোস্টেটিক হাইপারপ্ল্যাসিয়া বা বি-পি-এইচ (BPH) এর কারণে এই সমস্যাটি হয়ে থাকে, তবে মূত্রনালীর অন্য কোনো ডিজঅর্ডার এর কারণেও ইস্কুরিয়া হতে পারে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-   

বিনাইন প্রস্টেটিক হাইপারপ্লেসিয়া, বি-পি-এইচ (Benign prostatic hyperplasia, BPH) মূত্রথলির ক্যান্সার (Bladder cancer)
ক্রনিক কন্সটিপেশন/ ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্য (Chronic constipation) অণ্ডকোষে পানি জমা/হাইড্রোসিল (Hydrocele of the testicle)
লিঙ্গের উত্থানজনিত সমস্যা (Erectile dysfunction) কিডনিতে পাথর (Kidney stone)
কিডনির ক্যান্সার (Kidney cancer) গুড়াকৃমি রোগ (Pinworm infection)
ফাইমোসিস (Phimosis) পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ (Polycystic kidney disease)
প্রস্টেট ক্যান্সার (Prostate cancer) স্পারমাটোসিল (Spermatocele)
অ্যাসেন্ডিং কোলাঞ্জাইটিস (Ascending cholangitis) এপিডিডাইমিটিস (Epididymitis)
ইনজুরি টু দি স্পাইনাল কর্ড (Injury to the spinal cord) ইশকেমিয়া অফ দি বাওয়েল (Ischemia of the bowel)
অ্যাবডোমিনাল অ্যাওর্টিক অ্যানিউরিজম (Abdominal aortic aneurysm) ফ্ল্যাট ফিট (Flat feet)
হাইপারক্যালসেমিয়া (Hypercalcemia) অপটিক নিউরাইটিস (Optic neuritis)
স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্স (Stress incontinence) হাইপোসপেডিয়াস (Hypospadias)
ওভারফ্লো ইনকন্টিনেন্স (Overflow incontinence) ইন্টেস্টাইনাল অবস্ট্রাকশন (Intestinal obstruction)
ব্লাডার অবস্ট্রাকশন (Bladder obstruction) পেলভিক অরগান প্রোলেপ্স (Pelvic organ prolapse)
অ্যাটনিক ব্লাডার (Atonic bladder) ইনজুরি টু ইন্টারনাল অরগান (Injury to internal organ)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

বিভিন্ন সমস্যা যেমন- অ্যাবনরমাল ব্লাডার(Abnormal bladder), অ্যাবনরমাল ইউরেথ্রা (Abnormal urethra), অ্যাবডমিনাল ইনজুরি (Abdominal injury), ব্লাডার সার্জারি(Bladder surgery), প্রোস্টেট বড় হয়ে যাওয়া (Prostate enlargement), জেনারেল অ্যানেস্থেসিয়া(General anesthesia), হার্পিস জেনিটাল (Herpes genitalis), হেমাচুরিয়া(Hematuria), কিডনিতে পাথর (Kidney stones), প্রোস্টেট ক্যান্সার (Prostate cancer), স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি (Spinal cord injury), স্পাইনাল স্টেনোসিস (Spinal stenosis), স্পাইনাল কর্ড টিউমার (Spinal cord tumor),ইউরেথ্রাল সার্জারি(Urethral surgery), ইউরেথ্রাল স্ট্রিকচার (Urethral stricture), ইউরিনারী ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (Urinary tract infections), বিভিন্ন ঔষধ যেমন-অ্যান্টিকোলিনারজিক, অ্যান্টিহিস্টামিন ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরী মেডিকেশন ইত্যাদি কারণে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ যেসকল বয়স্ক পুরুষদের প্রস্টেট বড় এবং যেসকল মহিলাদের ভ্যাজাইনাল বা ইউটেরাইন প্রোল্যাপ্সড কিংবা সিস্টোসিল এর সমস্যা আছে তাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এছাড়াও স্পাইনাল কর্ড ইঞ্জুরি বা নিউরোজেনিক ব্লাডার এর কারণেও এটি হতে পারে।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে এই লক্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভবঃ

  • অ্যালকোহল বা মদ্যপান এড়িয়ে চলতে হবে।
  • প্রোস্টেট বড় হয়ে গেলে অ্যান্টিহিস্টামিন ও ঘুমের ঔষধ খাওয়া যাবে না।
  • প্রস্রাবের বেগ আসার সাথে সাথে মূত্রত্যাগ করতে হবে।