এই অবস্থায় ব্যক্তি প্রস্রাব করতে পারে না বা তার প্রস্রাব করার ক্ষমতা কমে
যায়। এই সমস্যাটি ইস্কুরিয়া নামেও পরিচিত। সাধারণত বিনাইন প্রোস্টেটিক
হাইপারপ্ল্যাসিয়া বা বি-পি-এইচ (BPH) এর কারণে এই সমস্যাটি হয়ে থাকে, তবে
মূত্রনালীর অন্য কোনো ডিজঅর্ডার এর কারণেও ইস্কুরিয়া হতে পারে।
বিভিন্ন সমস্যা যেমন- অ্যাবনরমাল ব্লাডার(Abnormal bladder), অ্যাবনরমাল ইউরেথ্রা (Abnormal urethra), অ্যাবডমিনাল ইনজুরি (Abdominal injury), ব্লাডার সার্জারি(Bladder surgery), প্রোস্টেট বড় হয়ে যাওয়া (Prostate enlargement), জেনারেল অ্যানেস্থেসিয়া(General anesthesia), হার্পিস জেনিটাল (Herpes genitalis), হেমাচুরিয়া(Hematuria), কিডনিতে পাথর (Kidney stones), প্রোস্টেট ক্যান্সার (Prostate cancer), স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি (Spinal cord injury), স্পাইনাল স্টেনোসিস (Spinal stenosis), স্পাইনাল কর্ড টিউমার (Spinal cord tumor),ইউরেথ্রাল সার্জারি(Urethral surgery), ইউরেথ্রাল স্ট্রিকচার (Urethral stricture), ইউরিনারী ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (Urinary tract infections),
বিভিন্ন ঔষধ যেমন-অ্যান্টিকোলিনারজিক, অ্যান্টিহিস্টামিন ও
অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরী মেডিকেশন ইত্যাদি কারণে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার
সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতিঃ
কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ
কম। শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা
সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরঃ যেসকল বয়স্ক পুরুষদের প্রস্টেট বড় এবং যেসকল মহিলাদের ভ্যাজাইনাল বা
ইউটেরাইন প্রোল্যাপ্সড কিংবা সিস্টোসিল এর সমস্যা আছে তাদের মধ্যে এই
সমস্যা বেশি দেখা যায়। এছাড়াও স্পাইনাল কর্ড ইঞ্জুরি বা নিউরোজেনিক ব্লাডার
এর কারণেও এটি হতে পারে।
হেলথ টিপস্
নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে এই লক্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভবঃ
অ্যালকোহল বা মদ্যপান এড়িয়ে চলতে হবে।
প্রোস্টেট বড় হয়ে গেলে অ্যান্টিহিস্টামিন ও ঘুমের ঔষধ খাওয়া যাবে না।
প্রস্রাবের বেগ আসার সাথে সাথে মূত্রত্যাগ করতে হবে।