ঘন ঘন মূত্রত্যাগ (Frequent urination)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

লক্ষণটি সব সময় মূত্র ত্যাগের ইচ্ছা হওয়া হিসেবেও পরিচিত।

স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বার মূত্র ত্যাগ করাকে ঘন ঘন মূত্রত্যাগ বলা হয়। এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির মূত্রের পরিমাণ স্বাভাবিক পরিমাণের সমান, কম বা বেশি হতে পারে।

দিনে ও রাতে- উভয় সময়ই এই সমস্যা হতে পারে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে শুধু রাতের বেলাতেই এই সমস্যা দেখা দেয় [নকটারনিয়া (nocturia)]।

ঘন ঘন মূত্রত্যাগ কিছু রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। এই সমস্যার কারণে ঘুম, কাজ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পার, যেমন:

বিনাইন প্রস্টেটিক হাইপারপ্লেসিয়া, বি-পি-এইচ (Benign prostatic hyperplasia, BPH) ক্ল্যামাইডিয়া ইনফেকশন (Chlamydia Infection)
ডায়াবেটিক ইনসিপিডাস (Diabetes insipidus) ডায়াবেটিক কিটোএ্যাসিডোসিস (Diabetic ketoacidosis)
লিঙ্গের উত্থানজনিত সমস্যা (Erectile dysfunction) কিডনিতে পাথর (Kidney stone)
অ্যাট্রোপিক ভ্যাজাইনাইটিস (Atrophic vaginitis) পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ (Polycystic kidney disease)
বিনাইন ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ (লিউকোরিয়া) (Benign vaginal discharge (leukorrhea)) প্রাইমারী থ্রম্বোসাইথেমিয়া (Primary thrombocythemia)
প্রস্টেট ক্যান্সার (Prostate cancer) স্পারমাটোসিল (Spermatocele)
ভ্যাজাইনাসমাস (Vaginismus) অ্যাট্রোফি অফ দি করপাস ক্যাভারনোসাম (Atrophy of the corpus cavernosum)
হেমারথ্রোসিস (Hemarthrosis) হাইপারওসমোটিক হাইপারকিটোটিক স্টেট (এইচ-এইচ-এস) (Hyperosmotic hyperketotic state (HHS))
ডিজহাইড্রোসিস (Dyshidrosis) পায়েলোনেফ্রাইটিস (Pyelonephritis)
হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচ-পি-ভি) ইনফেকশন (Human papilloma virus (HPV) infection) স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্স (Stress incontinence)
ওভারফ্লো ইনকন্টিনেন্স (Overflow incontinence) প্যাজেট ডিজিজ (Paget disease)
ব্লাডার অবস্ট্রাকশন (Bladder obstruction) পেলভিক অরগান প্রোলেপ্স (Pelvic organ prolapse)
অ্যাটনিক ব্লাডার (Atonic bladder) ইনজুরি টু ইন্টারনাল অরগান (Injury to internal organ)
ইষ্ট ইনফেকশন (Yeast infection)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি ঘন ঘন মূত্র হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে:

  • লিঙ্গ(মহিলা)।
  • টাইপ- ১ ও টাইপ- ২ ডায়াবেটিস।
  • গর্ভধারণ।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাত: কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। হিস্প্যানিক, শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মানুষের  মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ এটি বি-পি-এইচ ( BPH) বা  প্রস্টেট বড়ো হয়ে যাওয়ার একটি লক্ষণ হতে পারে। প্রস্টেট বড়ো হয়ে যাওয়ার লক্ষণ হিসেবে অল্প মূত্রত্যাগ, দ্বিধাগ্রস্ত হওয়া ও বারবার মূত্রত্যাগ হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই সমস্যা নিরাময়ের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। পরীক্ষা করে প্রস্টেটের অবস্থা দেখার পর চিকিৎসক আপনাকে কিছু ঔষধ গ্রহণের পরামর্শ দিতে পারেন।

হেলথ টিপস্‌

ঘন ঘন মূত্রত্যাগ করার মূল কারণের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ সঠিকভাবে অনুসরণ করুন। কোন কোন সময় এবং কতোটা পরিমাণে আপনার মূত্রত্যাগ হচ্ছে তা লিখে রাখতে পারেন। এই তথ্যগুলি আপনার চিকিৎসককে দিন।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে মূত্রের বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে আপনার সমস্যা হতে পারে। তাই আপনার পোশাক ও বিছানার সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।

রাতে মূত্রত্যাগ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ঘুমাবার পূর্বে কম পরিমাণ পানীয় পান করা প্রয়োজন। এছাড়া ক্যাফেনইনযুক্ত পানীয় কম পরিমাণে পান করলেও উপকার পাওয়া যেতে পারে।