পেল্ভিসে বা শ্রোণীচক্রে ব্যথা হওয়া (Pelvic pain)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

মহিলা বা পুরুষ উভয়েরই তলপেটে ব্যথা হতে পারে। দেহের সফট্‌ টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা সার্জারির পর রোগীর তলপেটে তীব্র বা অ্যাকিউট ব্যথা হয়ে থাকে। এই ব্যথা আকস্মিকভাবে দেখা দিতে পারে, এবং কখনো কখনো খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যেতে পারে বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। তিন থেকে ছয় মাসের বেশি এই ব্যথা স্থায়ী হলে তাকে ক্রনিক পেইন বলা হয়।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

যোনিদ্বারের ক্যান্সার (Vulvar cancer) সারভাইকাল ক্যান্সার (Cervical cancer)
ক্ল্যামাইডিয়া ইনফেকশন (Chlamydia Infection) যোনি পথের প্রদাহ (Vaginitis)
যোনি পথের ছত্রাকের ইনফেকশন (Vaginal yeast infection) যোনি পথের সিস্ট (Vaginal cyst)
মেনোপজ/রজঃবন্ধ (Menopause) এন্ডোমেট্রিয়োসিস (Endometriosis)
ডিম্বাশয়ের সিস্ট (Ovarian cyst) মাসিক ব্যতীত রক্তপাত (Idiopathic non-menstrual bleeding)
বেদনাদায়ক মাসিক (Idiopathic painful menstruation) জুভেনাইল রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস (Juvenile rheumatoid arthritis)
অনিয়মিত মাসিক (Irregular menstrual cycle) পেল্ভিক ইনফ্লামেটোরি ডিজিজ (Pelvic inflammatory disease (PID))
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম (Polycystic ovarian syndrome, PCOS) ওভারিয়ান টরশন (Ovarian torsion)
গর্ভকালীন সমস্যা (Problem during pregnancy) বিনাইন ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ (লিউকোরিয়া) (Benign vaginal discharge (leukorrhea))
সারভিসাইটিস (Cervicitis) ট্রাইকোমোনাস ইনফেকশন (Trichomonas infection)
ফ্র্যাকচার অফ ভার্টিব্রা (Fracture of vertebra) ভ্যাজাইনাসমাস (Vaginismus)
ইডিওপ্যাথিক অ্যাবসেন্স অফ মেন্সট্রুয়েশন (Idiopathic absence of menstruation) ইডিওপ্যাথিক এক্সসেস মেন্সট্রুয়েশন (Idiopathic excess menstruation)
ইনডিউসড অ্যাবর্শন (Induced abortion) ফাঙ্গাল ইনফেকশন অফ দি হেয়ার (Fungal infection of the hair)
হিমোক্রোমেটোসিস (Hemochromatosis) এন্ডোমেট্রিয়াল হাইপারপ্ল্যাসিয়া (Endometrial hyperplasia)
হাইডেটিডিফর্ম মোল (Hydatidiform mole) অস্টিওকন্ড্রোমা (Osteochondroma)
স্পন্টেনিয়াস অ্যাবর্শন (Spontaneous abortion) স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্স (Stress incontinence)
পেলভিক অরগান প্রোলেপ্স (Pelvic organ prolapse) ভালভোডাইনিয়া (Vulvodynia)
ক্রনিক পেইন ডিজঅর্ডার (Chronic pain disorder) ইষ্ট ইনফেকশন (Yeast infection)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যেসব কারণে পেল্ভিসে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় সেগুলো হলোঃ

  • গর্ভপাত।
  • সার্জারির মাধ্যমে সন্তান প্রসব।
  • অ্যালকোহল ও মাদক গ্রহণ।
  • মাসিকের সময় অত্যাধিক রক্তপাত হওয়া।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৭ গুণ কম।

জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই ব্যথা পুরোপুরিভাবে ভালো হয় না। তবে বিষয়টি চিকিৎসার ধরন ও ব্যথার তীব্রতার উপর নির্ভর করে।  

হেলথ টিপস্‌

তলপেটে ব্যথা হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করুন-

  • ব্যথা কমানোর জন্য প্রেস্ক্রিপশন ছাড়াই যেসকল ব্যথা উপশমকারী ঔষধ (যেমন- ইবুপ্রোফেন ও অ্যাসিটামিনোফেন) গ্রহণ করা যায় সেগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে।
  • ব্যথার স্থানে হিটিং প্যাড বা হট ওয়াটার ব্যাগের সাহায্যে গরম সেক দিতে দিতে হবে। এর ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হবে ও ব্যথা কমে যাবে।
  • পিঠে ব্যথা হলে বিছানায় শোয়ার সময় কয়েকটি বালিশের সাহায্যে পা উপরের দিকে রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়া একপাশ হয়ে ঘুমালে হাঁটু ভাঁজ করে বুকের কাছাকাছি রাখার চেষ্টা করুন।
  • বিভিন্ন রিলাক্সেশন টেকনিক যেমন মেডিটেশন, যোগব্যায়াম বা ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে পারেন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এর ফলে আপানার দেহের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হবে, এবং এন্ডোরফিন্স নামক হরমোনের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এ্রই হরমোর ব্যথা নিয়ন্ত্রণে করে থাকে।