ইনডিউসড অ্যাবর্শন (Induced abortion)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

যে অপারেশন বা পদ্ধতির সাহায্যে স্বেচ্ছায় গর্ভপাত বা অ্যাবরশন করা হয় তাকে ইনডিইউসড অ্যাবরশন বলা হয়। এই পদ্ধতিতে অ্যাবরশনের জন্য পূর্ণাঙ্গ লেবার ও ডেলিভারি করা হয়। গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্যায়ে বা ১৬ তম সপ্তাহে অপারেশনের সাহায্যে অ্যাবরশন করা হয়ে থাকে। প্রাথমিক পর্যায়ে লেবার পেইনের জন্য পেইন মেডিসিন ব্যবহার করা হয়। যেকোনো ধরনের সমস্যা এড়াতে ইনডাকশনের পূর্বে সার্ভিকাল (ওসমোটিক) (osmotic) ডায়ালেটরের সাহায্যে সার্ভিক্স বা জরায়ুর মুখ ধীরে ধীরে ডায়ালেট বা প্রসারিত করা হয়। আর্লি লেবারের জন্য যেসকল ঔষধ ও পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় সেগুলো হলোঃ

  • স্যলাইন, ডিগোক্সিন (digoxin) বা পটাশিয়াম ক্লোরাইড (potassium chloride) ভ্রূণ বা ভ্রূনের চারপাশে অবস্থিত অ্যামনিয়োটিক সেক (amniotic sac) এ ইঞ্জেক্ট করা হয়।
  • জরায়ুর সংকোচন প্রসারণ ও জরায়ু মুখ শিথিল করতে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন (prostaglandins) জাতীয় নির্দিষ্ট প্রকারের ভ্যাজাইনাল মেডিসিন যেমনঃ মিসোপ্রোস্টল (misoprostol) দেয়া হয়।
  • জরায়ুর সংকোচন প্রসারণের জন্য অক্সিটোসিন (Oxytocin) শিরার মধ্যে দেয়া হয় (ইন্ট্রাভেনাসলি-intravenously বা আই.ভি- IV)।

অপারেশনের সুবিধার্থে ও পরবর্তীতে রক্তপাত নিয়ন্ত্রণে ইনডাকশনের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ঔষধ সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়। 

কারণ

স্বেচ্ছায় গর্ভপাতের একাধিক কারণ রয়েছে। যেমনঃ

  • অনাকাংক্ষিত গর্ভধারণ এড়াতে।
  • আর্থসামাজিক কারণে যেমনঃ পারিবারিক সহযোগীতার অভাব, আর্থিক অবস্থা।
  • একাধিক শিশু লালনপালনে পরিবারের আর্থিক প্রতিবন্ধকতা।
  • স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্কের অভাব।
  • গর্ভধারণের ক্ষেত্রে নারীর নিজস্ব ধারণা (অনেক মহিলাই নিজের ক্যারিয়ার ও বয়সকে এক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন)
  • একাধিক সন্তান রয়েছে এমন বিবাহিত মহিলা এবং বয়স্ক মহিলাদের পুনরায় সন্তান ধারনে অনিচ্ছা থাকলে তারা স্বেচ্ছায় অ্যাবরশনের প্রতি ঝুঁকে পড়ে। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও রয়েছে।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

এই পদ্ধতিতে অব্যারশনের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকিগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ

অ্যামনিয়োটিক সেকে মেডিসিন ইঞ্জেক্ট করা হলে যেসকল সমস্যা দেখা দিতে পারে-

  • ভুলবশত মায়ের দেহের রক্তের সাথে স্যালাইন বা ব্যবহৃত অন্যকোনো ঔষধ মিশে যেতে পারে।
  • জরায়ুর ক্ষতি হতে পারে
  • ইনফেকশন সৃষ্টি হতে পারে
  • অতিরিক্ত রক্তপাত বা হেমারেজ (hemorrhage) হতে পারে

যৌনাঙ্গে ইঞ্জেক্ট করার ক্ষেত্রে ঝুঁকিগুলো হলো-

  • অতিরিক্ত রক্তপাত
  • জরায়ুর অত্যাধিক সংকোচন প্রসারণ ও ব্যথা।
  • অতীতের কোনো সার্জারির ফলে জরায়ুতে ক্ষত থাকলে জরায়ু ছিঁড়ে যেতে পারে

শিরায় ঔষধ ইঞ্জেক্ট করার ক্ষেত্রে যেসকল ঝুঁকি রয়েছে-

  • অতিরিক্ত রক্তপাত
  • জরায়ুর অত্যাধিক সংকোচন প্রসারণ ও ব্যথা।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

 জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্পানিক ও অন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, শ্বেতাঙ্গদের ক্ষেত্রে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

প্রতিদিন ১২০ গ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ করা দরকার। স্বাভাবিক মাত্রা ভিটামিন সি গ্রহণ করা হলে গর্ভপাতের ঝুঁকি থাকে না। তবে এই মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকে। একই সাথে মনে রাখা জরুরি, স্বেচ্ছায় গর্ভপাতের জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন সি গ্রহণ করা উচিত নয়। এর ফলাফল মারাত্মক হতে পারে এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

ডাঃ সানজিদা পারভীন

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমবিবিএস , বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস (গাইনী এন্ড অবস্‌)

ডাঃ রওশন আরা

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(অব্স‌ এন্ড গাইনী), এমআরসিওজি(ফাইনাল পার্ট), সি-আল্ট্রা

ডাঃ শিরিন আখতার বেগম

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমএস(গাইনী), ডিজিও, এমসিপিএস

ডাঃ সৈয়দা হুসনা আখতার

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমবিবিএস, এমসিপিএস, ডিজিও (ডিইউ)

ডাঃ আফরোজা কুতুবী

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমবিবিএস, এফসিপিএস (গাইনী এন্ড অবস)

ডাঃ সানজিদা আহমেদ

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমসিপিএস(ঢাকা), বিসিএস(স্বাস্থ্য), এফসিপিএস(অব্‌স এন্ড গাইনী)

ডাঃ রোকেয়া রহমান

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমবিবিএস, বিসিএস(স্বাস্থ্য), এফসিপিএস, এমসিপিএস

লেঃ কর্ণেল ডাঃ নার্গিস নাহার

গাইনি ও অবসটেট্রিক্স ( Obstetrics & Gynaecology)

এমবিবিএস, , এফসিপিএস(গাইনী এন্ড অবস্‌),, ডিজিও, , এমসিপিএস(গাইনী এন্ড অবস্‌)