মাসিক ব্যতীত রক্তক্ষরণ (Intermenstrual Bleeding)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

মাসিক ছাড়াও অন্য যেকোনো কারণে যোনীপথ থেকে রক্তপাত হতে পারে। এই রক্তপাত যোনীপথসহ স্ত্রী প্রজনন তন্ত্রের যেকোনো অংশ থেকেই হতে পারে। স্ত্রী প্রজনন তন্ত্রে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে বা হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে এটি হয়ে থাকে। যেকোনো বয়সে এই সমস্যা দেখা দিতে  পারে, কিন্তু শিশু বা মেনোপজের পর কোনো মহিলার যোনীপথে রক্ত দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন। আবার গর্ভাবস্থায় রক্তপাত হলে তা গুরুতর কোনো জটিলতার লক্ষণ হতে পারে এবং এ অবস্থায় যতদ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

সারভাইকাল ক্যান্সার (Cervical cancer) যোনি পথের ছত্রাকের ইনফেকশন (Vaginal yeast infection)
যোনি পথের সিস্ট (Vaginal cyst) এন্ডোমেট্রিয়োসিস (Endometriosis)
ডিম্বাশয়ের সিস্ট (Ovarian cyst) লৌহের ঘাটতিজনিত রক্তস্বল্পতা (Iron deficiency anemia)
পেল্ভিক ইনফ্লামেটোরি ডিজিজ (Pelvic inflammatory disease (PID)) পেরিটোনাইটিস (Peritonitis)
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম (Polycystic ovarian syndrome, PCOS) অ্যাট্রোপিক ভ্যাজাইনাইটিস (Atrophic vaginitis)
সিস্টিক ফাইব্রোসিস (Cystic fibrosis) ইডিওপ্যাথিক অ্যাবসেন্স অফ মেন্সট্রুয়েশন (Idiopathic absence of menstruation)
ইডিওপ্যাথিক এক্সসেস মেন্সট্রুয়েশন (Idiopathic excess menstruation) ইনডিউসড অ্যাবর্শন (Induced abortion)
মিসড অ্যাবর্শন (Missed abortion) ফাইব্রো-সিস্টিক ব্রেস্ট ডিজিজ (Fibro-cystic breast disease)
স্পন্টেনিয়াস অ্যাবর্শন (Spontaneous abortion) স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্স (Stress incontinence)
পেলভিক অরগান প্রোলেপ্স (Pelvic organ prolapse)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যেসকল কারণে এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে সেগুলো হলোঃ

  • বয়সঃ বয়ঃসন্ধিকালে ও মেনোপজের পরে এ সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।
  • অতিরিক্ত ওজনঃ স্থূলতা ও অতিরিক্ত ওজনের কারণে এ লক্ষণ পেতে পারে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গ, শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, হিস্প্যানিকদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ মাসিক নারীর জীবনের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যা প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। এটি প্রাকৃতিকভাবেই নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয় ও নির্দিষ্ট সময় পর আবার বন্ধ হয়ে যায়। হরমোনের প্রভাবে মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় তাকে মাসিকচক্র বলে। প্রত্যেক মাসে, সাধারণত ২৮ দিন পরপর ডিম্বাশয়ে ডিম্বানু উৎপন্ন হয়। প্রজনন না হলে এই অনিষিক্ত ডিম্বাণু  ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ প্রত্যেক চক্রে শরীর থেক ঝরে যায় ও যোনিপথে বের হয়ে আসে যাকে আমরা মাসিক বলে থাকি। 

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত উপায়ে এ সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভবঃ

  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  • নির্দেশ অনুযায়ী সময় মেনে জন্মবিরতিকরণ পিল ব্যবহার করতে হবে।
  • হরমোনথেরাপি নিলে প্রত্যেক মাসে সঠিক সময়ে পিল নিতে হবে।
  • দুশিন্তা ও মানসিক চাপ কমাতে রিলাক্সেশন এক্সারসাইজ করা যেতে পারে।
  • ঔষধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কোনো ঔষধ ব্যবহারের অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে তা এড়িয়ে চলতে হবে।
  • গর্ভাবস্থায় এ সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।