যোনীপথে ব্যথা (Vaginal pain)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

যোনির মধ্যে বা যোনির আশেপাশের স্থানে [ভালভা(vulva)] অস্বস্তি [তীব্র ও চাপা ব্যথা] অনুভূত হওয়া। এই ব্যথা মাঝারি থেকে তীব্র মাত্রার হয়ে থাকে। যৌনক্রিয়া ও শরীর নাড়াচাড়ার ফলে এই ব্যথা কমতে বা তীব্র হতে পারে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-        

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

পূর্বের কোনো শারীরিক সমস্যা যোনিপথে ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে, যেমন- গর্ভধারণ, মেনোপজ বা হিসটেরেক্টমির (hysterectomy) কারণে হরমোনের পরিবর্তন হওয়া ইত্যাদি। যেসব মহিলাদের স্তন ক্যান্সার রয়েছে তাদেরও এই সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

বয়স বৃদ্ধিও যোনিতে ব্যথা সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। মেনোপজের জন্য হরমোনের মাত্রা কমে যায়, এবং যোনির টিস্যু পাতলা হয়ে আসে। এই বিষয়গুলি যোনি পিচ্ছিলকারী পদার্থকে প্রভাবিত করে, এবং যোনিতে ব্যথা সৃষ্টির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

জাতি:  শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ ভালভোডাইনিয়ার কারণে সৃষ্ট ব্যথা দুর্বলতা সৃষ্টিসহ দৈনন্দিক কার্যাবলি ও যৌনমিলনের ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। এর কারণে মহিলাদের শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ কমে যাওয়ার অনুভূতি হয়। ফলে তীব্র মানসিক ও শারীরিক অস্বস্তি হয়ে থাকে।

উত্তরঃ ভালভোডাইনিয়া একটি ক্রনিক রোগ। অর্থাৎ এটি কয়েক মাস বা বছরব্যাপী স্থায়ী হতে পারে। কিছু কিছু মহিলার ক্ষেত্রে রোগটি বারবার হয়ে সেরে যেতে পারে। এর সাথে ক্যান্সার বা অন্য কোনো গুরুতর রোগের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে রোগটির ফলে ক্রনিক ব্যথা ও মানসিক অস্বস্তি সৃষ্টি হতে পারে।

হেলথ টিপস্‌

যোনিপথের ব্যথা রোধ করতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করুন-

  • যৌনমিলনের পর যেসব মহিলার যোনিতে ব্যথা অনুভূত হয়, ঠান্ডা পানি দিয়ে তাদের যোনি পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া যোনি ফুলে উঠলে সেখানে বরফ প্রয়োগ করা যেতে পারে।
  • যেসব মহিলার প্রায়ই যোনিতে ব্যথা হয়, তারা ঢিলা পোশাক ও সুতির অন্তর্বাস ব্যবহার করে উপকার পেতে পারে।
  • খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। টমেটো, শিম, বাদাম ও কোকজাত খাদ্য গ্রহণ করলে এসিডপূর্ণ মূত্রের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যার ফলে যোনির মিউকাস আবরণে বিরক্তির উদ্রেগ হতে পারে।
  • অণুজীব ও ফাঙ্গাস থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য যোনি সব সময় শুকনো ও পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন।