যোনীপথে চুলকানি (Vaginal itching)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

যোনিপথে চুলকানি বলতে বাহ্যিক কোনো বস্তু, ইনফেকশন(চিকিৎসা ও প্রতিরোধযোগ্য ) বা মেনোপজের কারণে যোনিপথে অস্বস্তি এবং ক্ষেত্রবিশেষে ব্যথাযুক্ত লক্ষণ সৃষ্টি হওয়াকে বোঝায়। খুব কম  সংখ্যক ক্ষেত্রে মানসিক চাপ ও ভালভার ক্যান্সারের (vulvar cancer) লক্ষণ হিসেবেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনার এই সমস্যা থাকলে গাইনিকোলোজিস্টের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন । গাইনিকোলোজিস্ট কিছু পরীক্ষার সাহায্যে যোনিপথে চুলকানির মূল কারণ নির্ণয় করে আপনাকে উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলবেন।

তবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থেকে এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করে যোনিপথে চুলকানির বেশিরভাগ কারণ প্রতিহত করা সম্ভব।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-  

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি যোনিপথে চুলকানি হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে-

  • অটোইমিউন ডিজিজ, এই ধরনের রোগের কারণে একজন ব্যক্তির ইমিউন সিস্টেম বিনা কারণে তার শরীরকেই আক্রমণ করে।
  • যৌন মিলনের পূর্বে যথেষ্ট পরিমাণ লুব্রিক্যান্ট (lubricant) ব্যবহার না করা।
  • অস্বাভাবিক যৌন অভিজ্ঞতা, যেমন- ধর্ষণ।
  • পূর্বের সার্জারি [ডি এ্যান্ড সি( D&C) অথবা হিস্টেরেকটমি( hysterectomy)]

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

জাতি:  শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ  যৌনবাহিত কোনো রোগ বা যোনির ইস্ট ইনফেকশনের কারণে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইস্ট ইনফেকশনের  কারণে যোনি থেকে তরল পদার্থ নিসৃত হতে পারে। তবে এর সম্ভাবনা খুব কম। কিছু সংখ্যক ইনফেকশনের কারণে শুধু ব্যথা/ জ্বালা ও চুলকানি হয়ে থাকে। ইস্ট ইনফেকশন নিরাময়ের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াও কিছু ঔষধ গ্রহণ করা যেতে পারে।

উত্তরঃ এস্ট্রোজেনের (oestrogen) মাত্রা কমে যাওয়ার জন্য যোনি সুরক্ষাকারী মিউকাসের ( mucus) পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে চুলকানি, অস্বস্তিভাব ও  ইনফেকশন হয়ে থাকে। এগুলি মেনোপজের সাধারণ লক্ষণ।

মেনোপজ সাপোর্টের (Menopause Support) সমন্বয়ের মাধ্যমে এই সমস্যা প্রশমিত করা যেতে পারে। মেনোপজ সাপোর্ট সাধারণত এস্ট্রোজেনের (oestrogen) মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং এর ভারসাম্য রক্ষা করে। এছাড়া এটি মিউকাস মেমব্রেনের সমতা রক্ষা করতেও সাহায্য করে। তবে এই প্রতিক্রিয়াগুলি দেখা দিলে ৪ সপ্তাহের মতো সময় লাগে।

হেলথ টিপস্‌

যোনিপথে চুলকানি প্রতিরোধ করতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করুন:

  • রঙ ও সুগন্ধীযুক্ত টয়লেট টিস্যু ব্যবহার করবেন না।
  • হাইজিন স্প্রে ও ডুস পরিহার করুন।
  • ভিজা কাপড়, বিশেষত বাথিং স্যুট (bathing suit) বা ব্যায়ামের সময় পরিহিত পোশাক যতোটা দ্রুত সম্ভব পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
  • মলমূত্র ত্যাগের পর যোনি থেকে মলদ্বারের মধ্যবর্তী স্থান পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখুন। সুগন্ধীহীন সাধারণ সাবান ব্যবহার করা ভালো।
  • ডায়াবেটিস থাকলে শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।