বর্ণনা

লক্ষণটি যোনিতে চুলকানি ও ভালভার প্রুরাইটাস (Vulvar Pruritus) হিসেবেও পরিচিত।

যোনির বাইরের অংশে (ভালভা) জ্বালাপোড়া হয় এবং এ কারণে শুষ্ক, লাল, ফোল ও পুরুভাব দেখা দিতে পারে, বা সেখানে চুলকানি সৃষ্টি হয়। অস্বস্তিকর এবং ক্ষেত্রবিশেষে যন্ত্রণাদায়ক এই লক্ষণটি বাহ্যিক বস্তুর সংস্পর্শ, ইনফেকশন(চিকিৎসা ও প্রতিরোধযোগ্য) বা মেনোপজের কারণে দেখা দিতে পারে। খুব কম সংখ্যক ক্ষেত্রে মানসিক চাপ বা ভালভার ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে যোনিদ্বারে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থেকে এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য গ্রহণ করে এই সমস্যাটি প্রতিহত করা সম্ভব।

 

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-  

সারভাইকাল ক্যান্সার (Cervical cancer)	যোনি পথের প্রদাহ (Vaginitis)
স্ত্রী যৌনাঙ্গের ইনফেকশন (Female genitalia infection)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

যোনী দিয়ে স্রাব নির্গত হওয়া (Vaginal discharge)	যোনীপথে চুলকানি (Vaginal itching)
মূত্রত্যাগের সময় ব্যথা হওয়া (Painful urination)	গর্ভকালীন বিভিন্ন জটিলতা (Problems during pregnancy)
যৌনমিলনের সময় ব্যথা হওয়া (Pain during intercourse)	যোনীপথে ব্যথা (Vaginal pain)
ত্বকের ক্ষত (Skin lesion)	তলপেটে ব্যথা (Lower abdominal pain)
পেল্ভিসে বা শ্রোণীচক্রে ব্যথা হওয়া (Pelvic pain)	ত্বকের বৃদ্ধি (Skin growth)
গর্ভকালীন ব্যথা (Pain during pregnancy)	ত্বক ফ্যাকাসে বা বিবর্ণ হয়ে যাওয়া (Pallor)

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

জাতি:  কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

 

হেলথ টিপস্‌

যোনিদ্বারের জ্বালাপোড়া প্রতিরোধ করতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করুন-

• যোনিদ্বারের জ্বালাপোড়া মূল কারণের চিকিৎসা করান।
• সুতির ঢিলা অন্তর্বাস ব্যবহার করুন।
• সুগন্ধীহীন সাবান ও লোশন ব্যবহার করুন।
• সুগন্ধীহীন ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন (ডাই ছাড়া)।
• ফেবরিক সফ্টনার (fabric softener) ব্যবহার করবেন না।
• মলমূত্র ত্যাগের পর যোনি থেকে পায়ু অব্দি মুছে ফেলুন।
• সাদা ও সুগন্ধীহীন টয়লেট পেপার ব্যবহার করুন।