মূত্রের অস্বাভাবিক গন্ধ বা রং (Unusual color or odor to urine)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

এই অবস্থায় মূত্রের বর্ণ গাঢ় পীত রং ধারণ করে ও দূর্গন্ধ হয়।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

মূত্রত্যাগের সময় ব্যথা হওয়া (Painful urination) ঘন ঘন মূত্রত্যাগ (Frequent urination)
পেটে তীক্ষ্ণ ব্যথা (Sharp abdominal pain) পিঠের ব্যথা (Back pain)
শরীরের পার্শ্বীয় ব্যথা (Side pain) জ্বর (Fever)
মুত্র আটকে যাওয়া (Retention of urine) তলপেটের নিচের দিকে ব্যথা হওয়া (Suprapubic pain)
পিঠের নিম্নাংশে ব্যথা (Low back pain) ঠাণ্ডায় কাঁপুনি (Chills)
মুত্রের সাথে রক্ত যাওয়া (Blood in urine) তলপেটে ব্যথা (Lower abdominal pain)
ব্রণ/পিমপল (Acne or pimples) ত্বকের আঁচিল (Skin moles)
অপ্রত্যাশিত মাসিক (Unpredictable menstruation) আঁচিল (Warts)
শুষ্ক খসখসে ত্বক (Skin dryness, peeling, scaliness, or roughness) হাড়ের ব্যথা (Bones are painful)
অস্বাভাবিক ত্বক (Abnormal appearing skin) অবসাদ (Fatigue)
বন্ধ্যাত্ব (Infertility) যোনী দিয়ে স্রাব নির্গত হওয়া (Vaginal discharge)
পুজঁ মিশ্রিত কফ বের হওয়া (Pus in sputum) কনুইয়ের দুর্বলতা (Elbow weakness)

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

বিভিন্ন ফলমূল যেমন- বেরি, বীট বা নির্দিষ্ট কিছু ঔষধের কারণে মূত্র বিবর্ণ হয়ে যায়।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ রাতে ঘুমানোর আগ পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে দেহে পানিশূন্যতা দেখা দেয়, যার কারণে সকালে ঘুম থেকে উঠার পর প্রস্রাবের বর্ণ গাঢ় হয়।

উত্তরঃ অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপানের কারণে প্রস্রাবে দূর্গন্ধ হতে পারে। মদ্যপানের কারণে পানিশুণ্যতা হয়ে থাকে, যার ফলে প্রস্রাব ঘন ও দূর্গন্ধযুক্ত হয়। এই অবস্থায় ইলেক্ট্রোলাইট গ্রহণ করলে অবস্থার উন্নতি হয়। আবার রসুন ও পেঁয়াজ খেলেও এই সমস্যা হতে পারে।

উত্তরঃ প্রতিটি চিকিৎসারই উপকারী ও অপকারী দিক রয়েছে। যেমন- শেভিং এর মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে খুব জলদি মুক্তি পাওয়া যায় তবে এর কার্যকারীতা ক্ষণস্থায়ী হয়, আবার ইলেক্ট্রোলাইসিসের মাধ্যমে এই সমস্যা স্থায়ীভাবে দূর করা সম্ভব, তবে এর বিভিন্ন ক্ষতিকর প্বার্শপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।

উত্তরঃ এই সমস্যা ব্যক্তির আত্ম-বিশ্বাসের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অবাঞ্ছিত লোম অপসারণের ফলে হেয়ার ফলিকলে ইনফ্লামেশন বা ফলিকুলাইটিস হতে পারে।

হেলথ টিপস্‌

  • নিয়মিত মূত্রত্যাগ করতে হবে।
  • দেহের পানির ভারসাম্য সঠিক রাখতে হবে।
  • দৈনন্দিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
  • ঘুমানোর আগে পানি পান করা যাবে না।
  • ক্যাফেইন গ্রহণ ও মদ্যপানের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  • মূত্রের চাপ অনুভব হওয়ার সাথে সাথে মূত্রত্যাগ করতে হবে।