কনুইয়ের দুর্বলতা (Elbow weakness)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

পেশীর শক্তি হ্রাস পেতে থাকলে মাংসপেশী দুর্বল হয়ে পড়ে। কনুইয়ের অস্থিসন্ধির আশেপাশে অবস্থিত টিস্যুতে প্রদাহের সৃষ্টি হলে কনুইয়ে দুর্বলতা অনুভূত হয়। আবার হাতের হিউমেরাস, রেডিয়াস বা আলনার সাথে সংযুক্ত মাংসপেশী দুর্বল হয়ে পড়লে কনুইয়ে দুর্বলতা। কখনো কখনো আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় পেশী দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে প্রকৃতপক্ষে পেশী দুর্বল হয়ে পড়লে তা স্কেলেটাল মাসল ডিজিজ (skeletal muscle diseases) যেমন মাসকুলার ডিস্ট্রফি (muscular dystrophy) এবং ইনফ্লামেটরি মায়োপ্যাথির (inflammatory myopathy) প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। পেশি কোষে পটাশিয়াম ও অন্যান্য ইলেক্ট্রোলাইটসের মাত্রা কমে গেলেও পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে।

কারণ


বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন:

  • ডায়বেটিস (Diabetes)।
  • পেরিফেরাল  নিউরোপ্যাথি (Peripheral neuropathy)।
  • পেরিফেরাল আটারি ডিজিজ (Peripheral artery disease)।
  • ফ্রাকচার (Fracture)।
  • কন্সট্রিক্টিং স্টকিংস (Constricting stockings)।
  •  পেরিফেরাল নার্ভ ট্রমা [Peripheral nerve trauma (see Nerve symptoms)]
  • ব্র্যাকিয়াল প্লেক্সাস ইনজুরি Brachial plexus injury।
  • পেরিফেরাল নার্ভ কম্প্রেশন [Peripheral nerve compression (see Nerve symptoms)]।
  • কম্পার্টমেন্ট সিন্ড্রোম  (Compartment syndrome)।
  • সেরেব্রোভাস্কুলার অ্যাক্সিডেন্ট  (Cerebrovascular accident)।
  • আপার মোটর নিউরন ডিজিজ (Upper motor neuron disease)।
  • ডার্মাটোমায়োসিস (Dermatomyositis)।
  • টেনিস এলবো (Tennis elbow)।
  • ম্যালইউনিয়ন (Malunion)।
  • ইউনিয়ন (Union)।
যোনিদ্বারের ক্যান্সার (Vulvar cancer) ডায়াবেটিক ইনসিপিডাস (Diabetes insipidus)
থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) টেস্টিকুলার টরশন/মোচড়ানো অণ্ডকোষ (Testicular torsion)
ওরাল লিউকোপ্লাকিয়া (Oral leukoplakia) প্রেসবাইএকিউসিস (Presbyacusis)
প্রিয়াপিজম (Priapism) সিউডোহাইপোপ্যারাথাইরয়ডিজম (Pseudohypoparathyroidism)
প্রিম্যাচিউর রাপচার অফ অ্যাম্নিওটিক মেমব্রেন (Premature rupture of amniotic membrane) শিঙ্গেলস (হার্পিস জস্টার) (Shingles (herpes zoster))
স্পারমাটোসিল (Spermatocele) ডিজলোকেশন অফ ভার্টিব্রা (Dislocation of vertebra)
ট্রাইকাসপিড ভাল্ভ ডিজিজ (Tricuspid valve disease) টারনার সিন্ড্রোম (Turner syndrome)
হাইপোথার্মিয়া (Hypothermia) জি-৬-পি-ডি এনজাইম ডেফিসিয়েন্সি (G6PD enzyme deficiency)
হার্ট কনটিউশন (Heart contusion) হেমারথ্রোসিস (Hemarthrosis)
হান্টিংটন ডিজিজ (Huntington disease) সিস্টিসারকোসিস (Cysticercosis)
ডিজলোকেশন অফ দি ফুট (Dislocation of the foot) ডিজলোকেশন অফ দি ভার্টিব্রা (Dislocation of the vertebra)
ডিজলোকেশন অফ দি রিস্ট (Dislocation of the wrist) এপেন্ডাইমোমা (Ependymoma)
এপিডুরাল হেমারেজ (Epidural hemorrhage) পালমোনিক ভাল্ভ ডিজিজ (Pulmonic valve disease)
কাপোসি সারকোমা (Kaposi sarcoma) ফ্যাক্টিশাস ডিজঅর্ডার (Factitious disorder)
ভলভুলাস (Volvulus) হার্শপ্রাং ডিজিজ (Hirschsprung disease)
হিস্টোপ্লাসমোসিস (Histoplasmosis) মোয়ামোয়া ডিজিজ (Moyamoya disease)
নেক্রোটাইজিং ফ্যাসাইটিস (Necrotizing fasciitis) অটোস্ক্লেরোসিস (Otosclerosis)
টক্সোপ্লাজমোসিস (Toxoplasmosis) হাইপারট্রোফিক অবস্ট্রাক্টিভ কার্ডিওমায়োপ্যাথি (এইচ-ও-সি-এম) (Hypertrophic obstructive cardiomyopathy (HOCM))
পেলভিক ফিস্টুলা (Pelvic fistula)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ বেশি। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ কম।

জাতি: হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৬ গুণ বেশি। শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১৩ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৪ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ যেসকল নার্ভের সাহায্যে কনুই ও বাহু সচল থাকে সেগুলোতে প্রদাহ বা অন্য কোনো ত্রুটি দেখা দিলে কনুই ও বাহুতে ব্যথা ও দুর্বলতা দেখা দেয়। ঘাড়ে সার্ভিকাল রেডিকিউলোপ্যাথি (cervical radiculopathy) এবং বাহুতে পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথির (peripheral neuropathy) কারণে এ সমস্যা দেখা দেয়। শারীরিক পরীক্ষা ও অন্যান্য টেস্ট যেমন ই-এম-জি (EMG) ও এম-আর-আই (MRI) এর সাহায্যে রোগ নির্ণয় করা হয়।