সাধারণত গোড়ালী মচকে গেলে গোড়ালীতে ব্যথা হয়ে থাকে। এছাড়াও গোড়ালীর অন্য
কোনো সমস্যা, আর্থ্রাইটিস, গেঁটে বাত, টেন্ডোনাইটিস, ফ্র্যাকচার, টার্সাল
টানেল সিন্ড্রোম, ইনফেকশন ও পায়ের গঠনে কোনো ত্রুটি থাকলে এই ব্যথা হতে
পারে। গোড়ালীতে ব্যথাসহ গোড়ালী ফুলে যেতে পারে ও মাংসপেশী শক্ত হয়ে যেতে
পারে। একই সাথে ঐ ব্যথার স্থান লাল হয়ে যায় ও গরম অনুভূত হয়। চলাফেরার সময়
বা ভারী জিনিস ওঠানোর সময় গোড়ালিতে চাপ পড়লে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়।
পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিলে বা ব্যথার স্থানে বরফ দিলে আরাম পাওয়া যায়।
আবার ব্যথা কমানোর জন্য বিভিন্ন ব্যথানাশক ঔষধ (ibuprofen), ফিজিক্যাল
থেরাপি, ও কর্টিসন ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে কি কারণে গোড়ালীতে
ব্যথা হচ্ছে ও এর চিকিৎসার ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শের প্রয়োজন।
লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম।
জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা
সম্ভাবনা রয়েছে। হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতি মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার
সম্ভাবনা একগুণ কম।
উত্তরঃ এর চিকিৎসা কি কারণে গোড়ালীতে ব্যথা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে। তাই কোন
পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হবে তা নির্ণয়ের পূর্বে এর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে
হবে।
হেলথ টিপস্
গোড়ালীর ব্যথা উপশমের জন্য University of Illinois পাঁচটি উপায়ের কথা বলেছে যা PRICE নামে পরিচিত। যেমনঃ
Protection : স্প্লিন্ট, ব্রেস ও টেপের সাহায্যে বারবার আঘাত পাওয়া থেকে গোড়ালীকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
Rest : গোড়ালির ওপর বেশি চাপ দেওয়া যাবে না। হাঁটাচলার জন্য ক্রাচ ব্যবহার করা যেতে পারে।
Ice: ব্যথার
স্থানে দিনে ৩-৫ বার বিশ মিনিট ধরে বরফ দিতে হবে এবং তিন দিন পর্যন্ত এই
প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে। একবার ব্যবহারের পর পরবর্তীবার বরফ দেওয়ার জন্য
৯০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
Compression: গোড়ালীতে
ব্যথা হলে ব্যান্ডেজের সাহায্যে গোড়ালি পেঁচিয়ে রাখতে হবে। তবে খুব
শক্তভাবে ব্যান্ডেজ করা যাবে না যাতে গোড়ালি অবশ হয়ে যায় বা রক্ত চলাচল
বন্ধ হয়ে যায়।
Elevation: গোড়ালীতে ব্যথা হলে শুয়ে থাকা অবস্থায় কয়েকটি বালিশের সাহায্যে পা স্বাভাবিকের তুলনায় উপরের দিকে রাখতে হবে।