টাইফয়েড জ্বর (Typhoid fever)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

স্যালমোনেলা টাইফি (Salmonella typhi) নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের  কারণে টাইফয়েড জ্বর হয়ে থাকে। টাইফয়েড জ্বরের প্রাদুর্ভাব  উন্নত দেশগুলিতে দেখা যায় না, তবে উন্নয়নশীলগুলিতে রোগটি জনস্বাস্থ্যের জন্য এখনো যথেষ্ট বিপদজনক। সাধারণত অস্বাস্থ্যকর খাদ্য ও পানির মাধ্যমে টাইফয়েডের বিস্তার ঘটে। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শের মাধ্যমেও এই রোগ ছড়াতে পারে। টাইফয়েডের লক্ষণ হিসেবে সাধারণত তীব্র জ্বর, মাথাব্যথা, পেটেব্যথা এবং ডায়রিয়া (অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য ) হয়ে থাকে। অ্যান্টিবায়োটিক দ্বারা চিকিৎসা করা হলে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যেই সুস্থ বোধ করেন, তবে টাইফয়েডের কারণে/জন্য সৃষ্ট শারীরিক সমস্যার কারণে কিছু সংখ্যক ব্যক্তির মৃত্যুও হতে পারে। টাইফয়েড নিরাময়ের জন্য টিকাও রয়েছে, কিন্তু এই টিকা আংশিক কার্যকারী। যেসব ব্যক্তি টাইফয়েডের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন বা টাইফয়েডের প্রাদুর্ভাব আছে এমন অঞ্চলে ভ্রমণ করছেন, সাধারণত তাদের টাইফয়েড জ্বরের টিকা দেওয়া হয়।

কারণ

টাইফয়েডের মূল কারণ স্যালমোনেলা টাইফি নামক অত্যন্ত ক্ষতিকারক একটি ব্যাকটেরিয়া। স্যালমোনেলা টাইফির সাথে সম্পর্কযুক্ত আরেকটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে স্যালমোনেলোসিস (salmonellosis) নামে অন্ত্রে এক প্রকার ইনফেকশন দেখা দেয়। তবে এই ব্যাকটেরিয়া ও স্যালমোনেলা টাইফি এক নয়।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

টাইফয়েড সমগ্র বিশ্বে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। প্রতি বছর প্রায় ২২ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। অনুন্নত দেশগুলিতে টাইফয়েডের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা দেয়।

শিশুদের টাইফয়েডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের শরীরে এই রোগের লক্ষণগুলি কম মাত্রায় দেখা দেয়।

যদি আপনি টাইফয়েডের প্রাদুর্ভাব বেশি এমন কোনো দেশে বসবাস করেন তাহলে আপনার এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নিম্নলিখিত বিষয়গুলি আপনার টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে:

  • মাইক্রোবায়োলজিস্ট হিসেবে স্যালমোনেলা টাইফী নিয়ে কাজ করা।
  • টাইফয়েডে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা।
  • ইমিউন সিস্টেম (রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা) দুর্বল হয়ে গেলে। করটিকোস্টেরয়েডের (corticosteroids মতো ঔষধ গ্রহণ এবং এইচ-আই-ভি/ এইডস এর কারণে ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে গেলে।
  • স্যালমোনেলা টাইফিযুক্ত দূষিত পানি পান করলে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ বেশি। নারীদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার সম্ভাবনা ৪ গুণ কম।

জাতি: শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার সম্ভাবনা ৩ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার সম্ভাবনা ৪ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার সম্ভাবনা ১৩ গুণ কম। অন্যান্য জাতির মাসুষের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার সম্ভাবনা ১৮ গুণ বেশি।

 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ টাইফয়েডে আক্রান্ত ব্যক্তি অত্যন্ত দুর্বল বোধ করেন। তাই এই রোগে আক্রান্ত হলে আপনার বিশ্রাম নেওয়া উচিৎ। যদি ভালো বোধ করেন, তাহলে আপনি ব্যায়াম করতে পারেন। তবে শরীরে যেনো পানিশূন্যতা দেখা না দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

উত্তরঃ স্যালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের মাধ্যমে টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসা করা হয়।

উত্তরঃ অনুন্নত দেশেগুলিতে এই রোগ বেশি দেখা যায়, কারণ এসব দেশে ব্যবহৃত পানি দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

হেলথ টিপস্‌

উন্নয়নশীল দেশগুলিতে স্বাস্থ্যসেবার মান খারাপ হওয়ায় টাইফয়েড প্রতিরোধ করা কঠিন। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, এসব দেশের অধিবাসীদের টাইফয়েডের টিকা প্রদান করাই সবচেয়ে কার্যকারী উপায়। টাইফয়েডের প্রাদুর্ভাব আছে এমন অঞ্চলে ভ্রমণের পূর্বেও টিকা নেওয়া উচিৎ।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

প্রফেসর ডাঃ ফেরদৌস আরা জে জানান

মেডিসিন ( Medicine), ইন্টারনাল মেডিসিন ( Internal Medicine)

এমবিবিএস, এমডি(ইউএসএ), এফআইবিএ(ইংল্যান্ড), এফসিপিএস(মেডিসিন), এফআরসিপি (এডিন), এফএসিপি(ইউএসএ)

জেঃ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আজিজুল ইসলাম

মেডিসিন ( Medicine), অঙ্কোলজি ( ক্যান্সার) ( Oncology)

এমবিবিএ(ঢাকা),, এফসিপিএস(মেডিসিন) , ওজেটি(মেডিসিন অনকোলজী)

ডা: এ বি এম ছফি উল্লাহ্‌

গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি ( খাদ্যনালী, পরিপাকতন্ত্র) ( Gastroenterology)

এমবিবিএস, এমডি(গ্যাষ্ট্রোএন্টারোলজী)

ডাঃ মোঃ মুখলেছুর রহমান খান

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস(ঢাকা), ডি-আই এইচ (ব্যাংকক)

ডাঃ মোঃ শাহজামাল খান

মেডিসিন ( Medicine), এন্ডোক্রাইনোলজি এন্ড মেটাবলিজম ( হরমোন) ( Endocrinology & Metabolism)

এমবিবিএস, এমডি(এন্ডোক্রাইনোলজী), এমএসিই(ইউএসএ)

ডাঃ আ. এ. মোঃ মহিউদ্দিন ওসমানী

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস, এফসিপিএস, পিজিটি (থাইল্যান্ড)

ডাঃ মোঃ আব্দুস শাকুর খাঁন

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস, এমসিপিএস(মেডিসিন), এমডি(চেষ্ট)

অধ্যাপক ডাঃ আর কে সাহা

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস(ঢাকা), এফসিপিএস(মেডিসিন)