কব্জিতে ব্যথা (Wrist pain)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

কব্জিতে ব্যথা হওয়ার কারণে  স্বাভাবিকভাবে হাত নাড়াতে অসুবিধা হয় । কোনো কোনো ক্ষেত্রে কব্জিতে অতিরিক্ত চাপ পড়লে এই ব্যথা বাড়তে পারে। বিশেষ করে অ্যাথলেট, খেলোয়ার ও ওয়েট লিফটারদের কব্জিতে অধিক চাপ পড়ে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন:

বার্ন/পোড়া (Burn) গাউট/গেঁটেবাত (Gout)
ডেঙ্গু জ্বর (Dengue fever) টাইফয়েড জ্বর (Typhoid fever)
লেইশম্যানিয়াসিস বা কালাজ্বর (Leishmaniasis) রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস (Rheumatoid arthritis)
রেবিস / জ্বলাতঙ্ক (Rabies) সিউডোহাইপোপ্যারাথাইরয়ডিজম (Pseudohypoparathyroidism)
কারপাল টানেল সিন্ড্রোম (Carpal tunnel syndrome) ব্লাস্টোমাইকোসিস (Blastomycosis)
ফ্যাট এমবলিজম (Fat embolism) চ্যাগাস ডিজিজ (Chagas disease)
ভন উইলিব্র্যান্ড ডিজিজ (Von Willebrand disease) শ্যাংক্রয়েড (Chancroid)
গ্যাংলিওন সিস্ট (Ganglion cyst) রকি মাউন্টেইন স্পটেড ফিভার (Rocky Mountain spotted fever)
সাইটোমেগালোভাইরাস ইনফেকশন (Cytomegalovirus infection) ডিজলোকেশন অফ দি এলবো (Dislocation of the elbow)
ডিজলোকেশন অফ দি ফিঙ্গার (Dislocation of the finger) ডিজলোকেশন অফ দি রিস্ট (Dislocation of the wrist)
জয়েন্ট ইফিউশন (Joint effusion) ল্যাটেরাল এপিকন্ডাইলাইটিস (টেনিস এলবো) (Lateral epicondylitis (tennis elbow))
গ্যাস গ্যাংরিন (Gas gangrene) এয়ার এমবলিজম (Air embolism)
লেপ্টোস্পাইরোসিস (Leptospirosis) স্পোরোট্রাইকোসিস (Sporotrichosis)
স্প্রেইন অর স্ট্রেইন (Sprain or strain) টেন্ডিনাইটিস (Tendinitis)
ফ্র্যাকচার অফ দি হ্যান্ড (Fracture of the hand) ইনজুরি টু দি ট্রাঙ্ক (Injury to the trunk)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

ক্রীড়াবিদদের কব্জিতে ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। বিশেষ করে যারা নিয়মিত বোলিং, গলফ, জিমন্যাস্টিক্স, স্নোবোর্ডিং ও টেনিস খেলে থাকেন, তাদের এ ঝুঁকি বেশি থাকে। আবার একনাগাড়ে হাত ও কব্জির দ্বারা কাজ করার ফলে কব্জিতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে ও ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যেমন- চুল কাটা ও সেলাইয়ের কাজ। এছাড়াও স্থুলতা, বাতজ্বর, গেটেবাত ও গর্ভধারণের কারণে কারপাল টানেল সিন্ড্রোম ও একই সাথে কব্জিতে ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ মহিলা ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

হেলথ টিপস্‌

কব্জির ব্যথা প্রতিরোধে করণীয়:

  • হাড়ের গঠন শক্ত রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খেতে হবে। পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলাদের দিনে কমপক্ষে ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।
  • যেকোনো আঘাত প্রতিরোধে হাঁটাচলা ও অন্যান্য কাজের সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে হাঁটার সময় কোনো কারণে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে গেলে কব্জিতে ব্যথা পাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই  আরামদায়ক ও হাঁটার উপযোগী জুতা পরতে হবে। আঘাত পাওয়ার সম্ভfবনা আছে এমন কোনো আসবাবপত্র বা বস্তু আশেপাশে রাখা উচিত নয়।
  • খেলাধুলার সময় প্রয়োজনীয় প্রোটেক্টিভ গিয়ার ব্যবহার করতে হবে।
  • একটানা কম্পিউটারের সামনে কীবোর্ডে কাজ না করে কাজের মাঝখানে বিরতি নিন যাতে হাত ও কব্জির উপর অত্যাধিক চাপ না পড়ে। কীবোর্ডে টাইপ করার সময় হাত এমনভাবে রাখতে হবে যাতে কব্জির উপর চাপ না পড়ে ও সমতল অবস্থায় থাকে।