কব্জিতে ব্যথা হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবে হাত নাড়াতে অসুবিধা হয় । কোনো
কোনো ক্ষেত্রে কব্জিতে অতিরিক্ত চাপ পড়লে এই ব্যথা বাড়তে পারে। বিশেষ করে
অ্যাথলেট, খেলোয়ার ও ওয়েট লিফটারদের কব্জিতে অধিক চাপ পড়ে।
ক্রীড়াবিদদের কব্জিতে ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। বিশেষ করে যারা নিয়মিত
বোলিং, গলফ, জিমন্যাস্টিক্স, স্নোবোর্ডিং ও টেনিস খেলে থাকেন, তাদের এ
ঝুঁকি বেশি থাকে। আবার একনাগাড়ে হাত ও কব্জির দ্বারা কাজ করার ফলে কব্জিতে
অতিরিক্ত চাপ পড়ে ও ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যেমন- চুল কাটা ও সেলাইয়ের
কাজ। এছাড়াও স্থুলতা, বাতজ্বর, গেটেবাত ও গর্ভধারণের কারণে কারপাল টানেল
সিন্ড্রোম ও একই সাথে কব্জিতে ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গঃ মহিলা ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা
সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার
সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
হেলথ টিপস্
কব্জির ব্যথা প্রতিরোধে করণীয়:
হাড়ের গঠন শক্ত রাখতে
পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খেতে হবে। পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলাদের
দিনে কমপক্ষে ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ১০০০
মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।
যেকোনো আঘাত প্রতিরোধে হাঁটাচলা ও
অন্যান্য কাজের সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে হাঁটার সময় কোনো
কারণে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে গেলে কব্জিতে ব্যথা পাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
তাই আরামদায়ক ও হাঁটার উপযোগী জুতা পরতে হবে। আঘাত পাওয়ার সম্ভfবনা আছে
এমন কোনো আসবাবপত্র বা বস্তু আশেপাশে রাখা উচিত নয়।
খেলাধুলার সময় প্রয়োজনীয় প্রোটেক্টিভ গিয়ার ব্যবহার করতে হবে।
একটানা
কম্পিউটারের সামনে কীবোর্ডে কাজ না করে কাজের মাঝখানে বিরতি নিন যাতে হাত ও
কব্জির উপর অত্যাধিক চাপ না পড়ে। কীবোর্ডে টাইপ করার সময় হাত এমনভাবে
রাখতে হবে যাতে কব্জির উপর চাপ না পড়ে ও সমতল অবস্থায় থাকে।