চোখে ব্যথা হওয়া (Pain in eye)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

চোখের পাতার উপরে বা ভেতরের অংশে ব্যথা হতে পারে। চোখের পাতার ব্যথা সাধারণত চুলকানি ও জ্বালাপোড়ার কারণে হয়ে থাকে। চোখে বাইরে থেকে কিছু গেলে, ইনফেকশনের জন্য চোখ চুলকালে বা চোখের পাতার উপর যে মেমব্রেনের আস্তরণ থাকে তাতে প্রদাহ দেখা দিলে ব্যথা হয়। চোখের ভেতরের অংশে ব্যথা হলে এই ব্যথার মাত্রা খুব বেশি হয়। গুরুতর শারীরিক অসুস্থতার কারণেও এই ধরনের ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা দৃষ্টিশক্তির উপর প্রভাব ফেললে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

অ্যালার্জি জনিত কনজাঙ্কটিভাইটিস (Allergic Conjunctivitis) ছানি (Cataract)
ক্যালাজিয়ন (Chalazion) কনজাঙ্কটিভাইটিস (Conjunctivitis)
কর্নিয়া ইনফেকশন (Cornea infection) ডেঙ্গু জ্বর (Dengue fever)
দাঁতের ক্ষয় রোগ (Dental caries) টাইফয়েড জ্বর (Typhoid fever)
মাইয়োপিয়া/ক্ষীণদৃষ্টি (Myopia) লেইশম্যানিয়াসিস বা কালাজ্বর (Leishmaniasis)
সিউডোটিউমার সেরেব্রি (Pseudotumor cerebri) প্রেসবায়োপিয়া (Presbyopia)
টেরিজিয়াম (Pterygium) ব্লাস্টোমাইকোসিস (Blastomycosis)
ফ্যাট এমবলিজম (Fat embolism) চ্যাগাস ডিজিজ (Chagas disease)
শ্যাংক্রয়েড (Chancroid) অ্যামব্লায়োপিয়া (Amblyopia)
ক্রনিক গ্লুকোমা (Chronic glaucoma) রেটিনাল ডিটাচমেন্ট (Retinal detachment)
রেটিনোপ্যাথি ডিউ টু হাই ব্লাড প্রেশার (Retinopathy due to high blood pressure) সেন্ট্রাল রেটিনাল আর্টারী অর ভেইন অকলুশন (Central retinal artery or vein occlusion)
ব্যাকটেরিয়া জনিত কনঞ্জাংটিভাইটিস (Conjunctivitis due to bacteria) রকি মাউন্টেইন স্পটেড ফিভার (Rocky Mountain spotted fever)
ভাইরাসজনিত কনজাঙ্কটিভাইটিস (Conjunctivitis due to virus) কোরিওরেটিনাইটিস (Chorioretinitis)
কর্নিয়াল অ্যাব্রেশন (Corneal abrasion) ক্রেনিয়াল নার্ভ পালসি (Cranial nerve palsy)
হাইপারোপিয়া (Hyperopia) সাইটোমেগালোভাইরাস ইনফেকশন (Cytomegalovirus infection)
এক্ট্রোপিয়ন (Ectropion) ইরিডোসাইক্লাইটিস (Iridocyclitis)
এন্ডোফথ্যালমাইটিস (Endophthalmitis) এপেন্ডাইমোমা (Ependymoma)
ইরাইথেমা মাল্টিফর্মি (Erythema multiforme) চোখে বাহ্যিক বস্তু (Foreign body in the eye)
গ্যাস গ্যাংরিন (Gas gangrene) ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন (Macular degeneration)
সারকোয়ডোসিস (Sarcoidosis) স্ক্লেরাইটিস (Scleritis)
অ্যাকিউট গ্লুকোমা (Acute glaucoma) এয়ার এমবলিজম (Air embolism)
শোগ্রেন সিন্ড্রোম (Sjogren syndrome) লেপ্টোস্পাইরোসিস (Leptospirosis)
অপটিক নিউরাইটিস (Optic neuritis) স্পোরোট্রাইকোসিস (Sporotrichosis)
সাবকঞ্জাংটিভাল হেমারেজ (Subconjunctival hemorrhage) পিঙ্গুয়েকুলা (Pinguecula)
পিটুইটারী অ্যাডেনোমা (Pituitary adenoma) ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া (Trigeminal neuralgia)
অ্যাসটিগম্যাটিজম (Astigmatism) ভিট্রিয়াস হেমোরেজ (Vitreous hemorrhage)
ফ্র্যাকচার অফ দি জো (Fracture of the jaw) ড্রাই আই অফ আননোন কজ (Dry eye of unknown cause)
আই অ্যালাইনমেন্ট ডিজঅর্ডার (Eye alignment disorder) ফ্র্যাকচার অফ দি ফ্যাসিয়াল বোনস (Fracture of the facial bones)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতি: শ্বেতাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তর: প্রথমত, ঠিক কি কারণে ব্যথা হচ্ছে তা নিশ্চিত করতে হবে। কনজেশন বা সাইনাসের কারণে এই ব্যথা হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এই ব্যথার সাথে চোখের অন্যান্য সমস্যাও দেখা দিতে পারে।  

হেলথ টিপস্‌

আঘাত বা অন্য যে কোনো ধরনের ক্ষতি থেকে চোখকে সুরক্ষিত রাখার মাধ্যমে চোখের ব্যথা প্রতিরোধ করা সম্ভব। চোখ সুরক্ষিত রাখতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করুন-

  • খেলাধুলা, ব্যায়াম বা অন্যান্য কাজকর্মের সময় চোখে যাতে আঁচড় না লাগে বা  জ্বালাপোড়া না করে সেজন্য চশমা ব্যবহার করতে হবে। নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি বা যারা রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে কাজ করে তাদের এই নিয়ম মেনে চলা উচিত।
  • ডিটারজেন্ট বা কীটনাশক ঔষধ সাবধানতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।
  • শিশুকে এমন কোনো খেলনা দেওয়া উচিত নয় যেগুলি দ্বারা চোখে আঘাত লাগতে পারে।
  • দীর্ঘসময় ধরে কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করা উচিত নয়। একই সাথে লেন্স ব্যবহারের আগে ও পরে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।