মাইয়োপিয়া/ক্ষীণদৃষ্টি (Myopia)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

এটি ক্ষীনদৃষ্টি বা Nearsightedness নামেও পরিচিত। অক্ষিগোলকের ব্যাসার্ধ বেড়ে গেলে বা চোখের লেন্সের ফোকাস করার ক্ষমতা কমে গেলে মানুষ কাছের জিনিস দেখতে পায় কিন্তু দুরের জিনিস দেখতে পায়না। চোখের এই ধরনের সমস্যাকে বলা হয় মায়োপিয়া। সমস্যাটি গুরুতর পর্যায়ে চলে গেলে এতে আক্রান্ত ব্যক্তি শুধু খুব কাছের বস্তু দেখতে পায়। এটি খুব জলদি বা খুব ধীরে ধীরে বিকশিত হতে পারে। এটি শিশু-কিশোরদের বেশি হয়ে থাকে। বংশগত কারনেও এটি হতে পারে। চশমা এবং কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারের মাধ্যমে এই অবস্থার উন্নতি করা সম্ভব। অপারেশনের মাধ্যমেও এই সমস্যার সমাধান করা যায়।

কারণ

যখন অক্ষিগোলক খুব বড় হয়ে যায় বা এর ব্যাসার্ধ বেড়ে যায় বা লেন্সের ফোকাস ক্ষমতা কমে যায় তখন ক্ষীণদৃষ্টির সৃষ্টি  হয়। এক্ষেত্রে আলোকরশ্মি কর্ণিয়ার সামনের একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে আপতিত হয়। কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় আলোকরশ্মি সরাসরি রেটিনার পৃষ্ঠে আপতিত হয়। এছাড়াও কর্ণিয়া বা লেন্স বেঁকে গেলে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। এটি সাধারণত শৈশবকাল থেকেই দেখা যায়, তবে মা-বাবার এই সমস্যা থাকলে সন্তানের এটি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যৌবনের প্রথম পর্যায় পর্যন্ত এটি একই থাকে, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বয়সের সাথে সাথে এই সমস্যা বৃদ্ধি পায়।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

চিকিৎসা

]চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত ঔষধগুলি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন:

ডাঁটা সেন্টারে কোন প্রকার তথ্য পাওয়া যায়নি

চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত টেস্টগুলি করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন:    

লেন্স এন্ড ক্যাটারেক্ট প্রসিডিউরস (Lens and cataract procedures)
আই এক্সাম (Eye exam)

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

নিম্নলিখিত বিষয়ের কারণে ক্ষীণদৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়ঃ

  • বাবা-মায়ের যদি এই সমস্যা থাকে তবে সন্তানের এটি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • যারা অধিক সময় ধরে বই পড়ে বা এমন কাজ করে যেখানে কোন কাছের বস্তুর দিকে একনাগাড়ে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকতে হয় তাদের ক্ষীণদৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতি:  শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যানিক এবং অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ শৈশবে নির্দিষ্ট কিছু আইড্রপ ব্যবহারের মাধ্যমে মাইয়োপিয়ার বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, তবে সম্পূর্ণভাবে আরোগ্য লাভ সম্ভব নয়। যারা এই সমস্যা সমাধানের জন্য চশমা বা কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে চায় না, তারা ২১ বছরের পর লেজার রিফ্র্যাক্টিভ সার্জারি (Laser refractive surgery) যেমন ল্যাসিক করাতে পারে। মাইয়োপিয়াতে আক্রান্ত ব্যক্তির চোখে ছানি এবং রেটিনাল ডিটাচমেন্ট [Retinal detachment (রেটিনার বিচ্ছিন্নতা বা রেটিনা থেকে বিচ্যুত)]হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

উত্তরঃ নির্দিষ্ট কিছু উপায় অনুসরণ করতে হবে, যেমন- শিশুকে বই পড়ানোর সময় উজ্জ্বল আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে হবে।

হেলথ টিপস্‌

যদিও ক্ষীণদৃষ্টি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, তবে চোখ ও দৃষ্টিশক্তিকে নিম্নলিখিত উপায়গুলি অবলম্বন করে রক্ষা করা যায়-

  • বিভিন্ন শারীরিক ব্যাধি যেমন ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্ত চাপ ইত্যাদি দৃষ্টিশক্তির উপর প্রভাব ফেলে। তাই এই ব্যাধিগুলোর সঠিক চিকিৎসা করাতে হবে।
  • এক চোখের দৃষ্টি হঠাৎ কমে যাওয়া, অস্পষ্ট বা ঝাপসা দৃষ্টি, চোখের সামনে লাল-নীল আলো দেখতে পাওয়া এসব লক্ষণ দেখা গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। কারন বিভিন্ন ক্রনিক ডিজিজ যেমন- রেটিনাল টিয়ার বা রেটিনাল ডিটাচমেন্ট, চোখের ছানি বা স্ট্রোকের কারণে এসব লক্ষণ দেখা যেতে পারে।
  • আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে চোখ রক্ষা করার জন্য সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
  • ধূমপান করা যাবে না।
  • কম আলোতে পড়াশোনা করা যাবে না।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক ডাঃ বাহার এম এইচ খান (অবঃ)

অফথ্যালমোলজি ( চক্ষু) ( Ophthalmology)

এমবিবিএস(ঢাকা), এমএস(ইন্ডিয়া), ডিও(ঢাকা), পিজিটি(সিঙ্গাপুর)

ডাঃ শারমিনা আলাউদ্দিন

অফথ্যালমোলজি ( চক্ষু) ( Ophthalmology)

এমবিবিএস, ডিও, এফসিপিএস, ফেলোশিপ

ডাঃ মোঃ ফজলুল হক

অফথ্যালমোলজি ( চক্ষু) ( Ophthalmology)

এমবিবিএস, ডিও, ফেলো(ডব্লিওএইচও)

ডাঃ মোঃ. সানোয়ার হোসাইন

অফথ্যালমোলজি ( চক্ষু) ( Ophthalmology)

এমবিবিএস,, এফসিপিএস

অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শাহাব উদ্দীন

অফথ্যালমোলজি ( চক্ষু) ( Ophthalmology)

এমবিবিএস, , ডিও(চক্ষু), , এমএস(চক্ষু)

ডাঃ মোঃ ছানোয়ার হোসেন

অফথ্যালমোলজি ( চক্ষু) ( Ophthalmology)

এমবিবিএস(আরএমসি), এফসিপিএস(চক্ষু)

লেঃ কর্ণেল ডাঃ এস এম মকবুল আহমদ (অবঃ)

অফথ্যালমোলজি ( চক্ষু) ( Ophthalmology)

এমবিবিএস(ডিইউ),, ডিও(ডিইউ), , এমসিপিএস(ঢাকা)

অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাঃ মোঃ সাইদুর রহমান

অফথ্যালমোলজি ( চক্ষু) ( Ophthalmology)

এমবিবিএস, ডিও, এমসিপিএস, এফসিপিএস