চোখের পাতার অস্বাভাবিক নড়াচড়া (Abnormal movement of eyelid)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

লক্ষণটিকে অতিরিক্ত চোখের পলক (Excessive blinking), চোখের পাতা ঝুলে পড়া (Drooping eyelid), অনৈচ্ছিক দৃষ্টিপাত (Involuntary squinting) এবং চোখ পিটপিট করা (Twitching eyelid) ও বলা হয় ।

চোখের উপরের পাতা ঝুলে যাওয়াকে টোউসিস (Ptosis)বলে। এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির চোখের মাংসপেশী দুর্বল হয়ে গেলে সমস্যাটি আরও তীব্র রূপ ধারণ করতে পারে। এই অবস্থাকে অনেক সময় লেজি আই (lazy eye) বলা হয়। তবে লেজি আই বলতে সাধারণত অ্যামব্লায়োপিয়াকে (amblyopia) বোঝানো হয়। চোখের পাতার অস্বাভাবিক নড়াচড়া তীব্র হলে এবং এর চিকিৎসা না করা হলে এর কারণে অ্যামব্লায়োপিয়া বা অ্যাসটিগম্যাটিজম (astigmatism)-এর মতো অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। শিশুদের চোখে এই লক্ষণ দেখা দিলে সঠিকভাবে চিকিৎসা করা উচিৎ, কারণ সমস্যাটি দৃষ্টিশক্তির স্বাভাবিক বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।              

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন:     

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

এই সমস্যাটি সাধারণত মহিলাদের বেশি হয়। এছাড়া বয়স্ক ব্যক্তিদের এটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষ ও নারী উভয়ের মধ্যে এই লক্ষণ নির্ণয় হওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

জাত: কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ নির্ণয় হওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ নির্ণয় হওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তর: এই লক্ষণটির চিকিৎসা লক্ষণটির কারণের উপর নির্ভর করছে। সঠিক পরামর্শ এবং চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের কাছে যান।

উত্তর: অ্যাকিউট কিডনি ফেইলিয়রের কারণে স্নায়বিক সমস্যা/ ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে, যার ফলস্বরূপ নিস্টিগমাস (nystagmus) হয়।

হেলথ টিপস্‌

আপনার চোখের পাতা যদি ক্রমান্বয়ে বেশি কাঁপতে থাকে, তাহলে ঠিক কখন কখন সমস্যাটি হচ্ছে তা লিখে রাখুন। তামাক, ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল গ্রহণের ব্যাপারে সতর্ক হোন। আপনি কোনো মানসিক চাপে ভুগছেন কীনা, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। এছাড়া চোখ পিট্‌পিট্‌ করার মধ্যবর্তী সময়ে এবং চোখ পিটপিট করার মুহূর্তে আপনার কতোটা ঘুম হচ্ছে তার হিসাব রাখুন। আপনি যদি লক্ষ্য করেন যে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম না নিলে আপনার  চোখের পাতা পিট্‌পিট্‌ করছে, তাহলে ঘুমানোর ৩০ মিনিট বা ১ ঘন্টা আগে বিছানায় গিয়ে বিশ্রাম নিন। এর ফলে আপনার চোখের পাতার উপর চাপ কম পড়বে এবং চোখের পাতা কাঁপার সম্ভাবনা কমে যাবে।