হাঁটুতে শক্ত পিণ্ড দেখা দেওয়া (Knee lump or mass)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

কোন আঘাত, ইনফ্লামেশন বা প্রদাহজনিত কারণে (আর্থ্রাইটিস) অস্থিসন্ধিতে অস্বাভাবিকতা ও বিকৃতি দেখা দিলে হাঁটুতে শক্ত পিণ্ড হতে পারে। এছাড়াও অস্থি এবং সফট্‌ টিস্যুতে ইনফেকশন বা টিউমার হলে হাঁটুতে এক বা একাধিক শক্ত পিণ্ড দেখা দেয়। এটি শক্ত বা নরম হয়ে থাকে এবং কখনো কখনো আকারে বৃদ্ধি পেতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যথা হতে পারে। ইনফেকশনের কারণে পিণ্ড সৃষ্টি হলে তা ফোঁড়ার ন্যায় দেখা যায়। পোকামাকড়ের কামড় বা গুরুতর আঘাত যেমন ফ্র্যাকচারের কারণে টিস্যুতে রক্ত জমাট বাঁধে, যার ফলে পিণ্ডের সৃষ্টি হয়। আবার, হাঁটুর অস্থিসন্ধিতে টিউমার হলে তা পিণ্ডের ন্যায় হতে পারে। এই ক্ষেত্রে বায়োপসি বা সার্জারির সাহায্যে ক্যান্সার হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হতে হবে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব জনিত রোগ (Vitamin A deficiency) ডেঙ্গু জ্বর (Dengue fever)
টাইফয়েড জ্বর (Typhoid fever) ম্যালেরিয়া (Malaria)
লেইশম্যানিয়াসিস বা কালাজ্বর (Leishmaniasis) রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস (Rheumatoid arthritis)
রিউম্যাটিক ফিভার / বাতজ্বর (Rheumatic fever) রেবিস / জ্বলাতঙ্ক (Rabies)
ব্লাস্টোমাইকোসিস (Blastomycosis) ফ্যাট এমবলিজম (Fat embolism)
চ্যাগাস ডিজিজ (Chagas disease) শ্যাংক্রয়েড (Chancroid)
রিঅ্যাক্টিভ আর্থ্রাইটিস (Reactive arthritis) ফ্রেডরিক অ্যাটাক্সিয়া (Friedreich's ataxia)
গ্যাংলিওন সিস্ট (Ganglion cyst) কারসিনোয়েড সিন্ড্রোম (Carcinoid syndrome)
হেমারথ্রোসিস (Hemarthrosis) রকি মাউন্টেইন স্পটেড ফিভার (Rocky Mountain spotted fever)
সাইটোমেগালোভাইরাস ইনফেকশন (Cytomegalovirus infection) এডওয়ার্ড সিন্ড্রোম (Edward syndrome)
স্কার্ভি (Scurvy) গ্যাস গ্যাংরিন (Gas gangrene)
মেকেল ডাইভারটিকুলাম (Meckel diverticulum) মোলাস্কাম কন্টাজিওসাম (Molluscum contagiosum)
লিম্ফোগ্রেনুলোমা ভেনেরিয়াম (Lymphogranuloma venereum) এয়ার এমবলিজম (Air embolism)
নী লিগামেন্ট অর মেনিস্কাস টিয়ার (Knee ligament or meniscus tear) লেপ্টোস্পাইরোসিস (Leptospirosis)
অস্টিওকন্ড্রোসিস (Osteochondrosis) স্পোরোট্রাইকোসিস (Sporotrichosis)
প্যাটাউ সিন্ড্রোম (Patau syndrome) অ্যাসপারজিলোসিস (Aspergillosis)
প্লেগ (Plague) গ্রেনুলোমা ইঙ্গুইনালি (Granuloma inguinale)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

বিভিন্ন কারণে শরীরে পিণ্ড দেখা দিতে পারে। তবে বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ৫৭ বছরের বেশি বয়সীদের এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। আবার ক্ষেত্রবিশেষে শিশুদেরও এ লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ও রেডিয়েশনের সংস্পর্শে আসলে এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতিঃ হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ সাধারণত এ লক্ষণ আগে থেকে প্রতিরোধ করা যায় না। তবে শরীরের যে স্থানেই পিণ্ড দেখা দিক না কেন, এজন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। 

উত্তরঃ  সার্জারি ছাড়াও বিভিন্ন রেডিয়েশন থেরাপি ও অন্যান্য উপায়ে এর চিকিৎসা সম্ভব।