কনুইয়ের মাংসপেশী শক্ত হয়ে যাওয়া (Elbow stiffness or tightness)
শেয়ার করুন
বর্ণনা
কোনো দুর্ঘটনাজনিত কারণে বা কোনো আঘাত ছাড়াই কনুইয়ের হাড় বা সফট টিস্যু
অথবা উভয়ই স্থানচ্যুত হলে কনুই শক্ত হয়ে যেতে পারে। কনুই শক্ত হয়ে
যাওয়ার প্রকারভেদ, ডায়াগনোসিস, প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা এর কারণের উপর
নির্ভর করে। বেশিরভাগ সময়ই কোনো দূর্ঘটনা ছাড়াই কনুই শক্ত হয়ে যেতে
পারে, কিন্তু ৫% ক্ষেত্রে সাধারণত আঘাত বা দুর্ঘটনাকে এই সমস্যার কারণ
হিসেবে দেখা হয়। এই সমস্যা দ্বারা অনেক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং এর
চিকিৎসার পূর্বে হাতের প্রান্তীয় অংশের পরীক্ষা করা হয়। রিহ্যাবিলিটেশন,
চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ, সার্জারি এবং আধুনিক উপায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার
মাধ্যমে এই সমস্যার চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
কারণ
নিম্নলিখিত কারণে এ লক্ষণ দেখা দিতে পারে:
সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ
এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:
লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
জাতি: হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা
রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার
সম্ভাবনা ১ গুণ কম। অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার
সম্ভাবনা ২ গুণ কম।
উত্তর: এ অবস্থায় অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ অর্থোপেডিক ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ঠিক কি কারণে এমন হচ্ছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে।
হেলথ টিপস্
দুশ্চিন্তা, আঘাত বা অতিরিক্ত অনুশীলন- যে কারণেই মাংসপেশী শক্ত হয়ে
থাকুক না কেন এ অবস্থায় প্রথমত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। একই সাথে
নিম্নলিখিত উপায়ে এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে-
স্ট্রেচিং: স্ট্রেচিং মাংসপেশী স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। স্ট্রেচিংয়ের মাধ্যমে
মাংসপেশীর শক্ত হয়ে যাওয়ার সমস্যা প্রতিরোধ করা যায় এবং এটি মাংসপেশীর
কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। একই সাথে স্ট্রেচিং পরবর্তী যেকোনো
আঘাতের ঝুঁকিও কমায়, যা মাংসপেশী শক্ত হয়ে যাওয়ার সমস্যা প্রতিরোধের
ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনুশীলন: দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণে ও
মাংসপেশী স্বাভাবিক রাখতে ব্যায়াম বা অনুশীলনের গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যায়াম
করার ফলে আমাদের দেহে নির্দিষ্ট কিছু হরমোন নিঃসৃত হয়, যা দুশ্চিন্তা ও
মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণে যেকোনো ঔষধ ঠিক
একইভাবে কাজ করে। তাই দুশ্চিন্তা নিরসনে ব্যায়াম বা অনুশীলন ঔষধের মতই
কার্যকরী। একই সাথে এটি মাংসপেশী সক্রিয় রাখে। এক্ষেত্রে নিয়মিত অনুশীলন
হিসেবে যোগব্যায়াম করা যেতে পারে।
ম্যাসাজ: অতিরিক্ত কাজের চাপ ও দুশ্চিন্তার কারণে মাংসপেশী শক্ত হয়ে গেলে হালকা ম্যাসাজের মাধ্যমে আরাম পাওয়া যায়।
স্বাস্থ্য
সচেতনতা: নিজের শরীরের প্রতি যত্নশীল হোন। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায়
প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার রাখুন। নিয়মিত ৮-১০ ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন ও
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। আপনার দৈনন্দিন অভ্যাস আপনার সুস্থ
জীবনযাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।