কনুই ফুলে যাওয়া (Elbow swelling)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

কনুই এমন একটি অস্থিসন্ধি যা উপরের দিক থেকে হিউমেরাসকে ও নিচের দিক থেকে রেডিয়াস ও আলনাকে সংযুক্ত করে। এই অস্থিসন্ধিতে কোনো কারণে প্রদাহ সৃষ্টি হলে বা অন্য কোনো ত্রুটি দেখা দিলে কনুই ফুলে যায়। এর ফলে ব্যথা হয়, পেশি শক্ত হয়ে যায় ও হাত নাড়াচাড়া করতে অসুবিধা হয়। কনুই ফুলে গেলে এর সঠিক কারণ ও যথাযথ চিকিৎসার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কারণ

যেসকল কারণে এ লক্ষণ দেখা দেয় সেগুলো হলো:

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যেকোনো ব্যক্তিরই কনুইয়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে ও কনুই ফুলে যেতে পারে। তবে যেসকল কারণে এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় সেগুলো হলো:

  • বয়স বৃদ্ধি।
  • যেসকল পেশায় বা কাজে বারবার কনুইয়ের উপর চাপ পড়ে সেগুলি করা , যেমন- কার্পেট বা টাইল বিছানোর কাজ, ছবি আঁকা, বাগান করার কাজ ও কোনো বাদ্যযন্ত্র বাজানো।
  • নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক অসুস্থতা, যেমন- গেঁটেবাত, ডায়াবেটিস ও রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস থাকলে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতি: কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।  

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তর: যেকোনো কারণে এ ব্যথা হতে পারে। তবে ব্যথা বেশি হলে ব্যথার স্থানে বরফ দেওয়া যেতে পারে। কয়েকদিন ধরে এই ব্যথা স্থায়ী হলে গরম সেক দিতে হবে। ব্যথা উপশমকারী ঔষধ খেলে বা হালকা মাসাজের মাধ্যমেও আরাম পাওয়া যাতে পারে। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে এই ব্যথা ভালো না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

হেলথ টিপস্‌

কনুই ফুলে গেলে করণীয়:

  • বিশ্রাম নিতে হবে ও কনুই বেশি নাড়ানো যাবে না।
  • ফোলা কমানোর জন্য বরফ লাগাতে হবে।
  • ব্যথা ও প্রদাহ কমানর জন্য ibuprofen বা naproxen sodium জাতীয় ঔষধ খেতে হবে।
  • কনুইয়ের উপর বেশি চাপ বা ভর দেওয়া যাবে না।