হাঁটুতে ব্যথা (Knee pain)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

হাঁটুর ব্যথা প্রায় সকল বয়সের ব্যক্তির মধ্যে দেখা যায়। যেকোনো ধরনের আঘাত যেমন লিগামেন্টে চিড় ধরা বা কার্টিলেজ ছিড়ে যাওয়ার কারণে হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতা যেমন আর্থ্রাইটিস (arthritis), গেঁটেবাত (gout) ও ইনফেকশনের কারণে হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে। তবে এই ব্যথা খুব বেশি না হলে ঘরোয়া পদ্ধিতিতে এর চিকিৎসা সম্ভব। ফিজিক্যাল থেরাপি ও নী ব্রেস ব্যবহারের মাধ্যমেও এ ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যথা বেড়ে গেলে অপারেশন করাতে হয়।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-   

ভিটামিন ‘বি’ এর অভাব জনিত রোগ (Vitamin B deficiency) বার্ন/পোড়া (Burn)
গাউট/গেঁটেবাত (Gout) অস্টিওআর্থ্রাইটিস (Osteoarthritis)
জুভেনাইল রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস (Juvenile rheumatoid arthritis) রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস (Rheumatoid arthritis)
অ্যানকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস (Ankylosing spondylitis) সিউডোহাইপোপ্যারাথাইরয়ডিজম (Pseudohypoparathyroidism)
ব্রুইস (Bruise) ডিজলোকেশন অফ প্যাটেলা (Dislocation of patella)
স্পন্ডাইলোসিস (Spondylosis) সিস্টেমিক লুপাস ইরাইথেম্যাটোসাস (এস-এল-ই) (Systemic lupus erythematosus (SLE))
ফ্র্যাকচার অফ প্যাটেলা (Fracture of patella) রিঅ্যাক্টিভ আর্থ্রাইটিস (Reactive arthritis)
বারসাইটিস (Bursitis) হেমারথ্রোসিস (Hemarthrosis)
কন্ড্রোম্যালেসিয়া অফ দি প্যাটেলা (Chondromalacia of the patella) ইনজুরি টু দি নী (Injury to the knee)
ডিজলোকেশন অফ দি হিপ (Dislocation of the hip) ডিজলোকেশন অফ দি নী (Dislocation of the knee)
ডিজলোকেশন অফ দি প্যাটেলা (Dislocation of the patella) জয়েন্ট ইফিউশন (Joint effusion)
মায়োসাইটিস (Myositis) ফ্ল্যাট ফিট (Flat feet)
নী লিগামেন্ট অর মেনিস্কাস টিয়ার (Knee ligament or meniscus tear) অস্টিওকন্ড্রোমা (Osteochondroma)
অস্টিওকন্ড্রোসিস (Osteochondrosis) স্পোরোট্রাইকোসিস (Sporotrichosis)
স্প্রেইন অর স্ট্রেইন (Sprain or strain) পিটুইটারী অ্যাডেনোমা (Pituitary adenoma)
টেন্ডিনাইটিস (Tendinitis) ফ্র্যাকচার অফ দি পেলভিস (Fracture of the pelvis)
বানিওন (Bunion) সাইকোসেক্সুয়াল ডিজঅর্ডার (Psychosexual disorder)
ক্রনিক পেইন ডিজঅর্ডার (Chronic pain disorder) ফ্র্যাকচার অফ দি লেগ (Fracture of the leg)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

বিভিন্ন কারণে হাঁটুতে ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে। যেমন-

  • স্থূলতা এই সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায় । দেহের অতিরিক্ত ওজন যেকোনো সাধারণ কাজের সময়ও হাঁটুর উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। একই সাথে স্থূলতা অস্টিওআর্থ্রাইটিসের ঝুঁকিও বৃদ্ধি করে। কেননা এ অবস্থায় হাঁটুর অস্থিসন্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
  • গঠনগত ত্রুটির কারণেও হাঁটুর সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন- কখনো কখনো একটি পা অপরটির তুলনায় ছোট বা বড় হয়। হাঁটুর গঠনগত সমস্যা থাকে। এসকল ত্রুটির জন্য হাঁটুর নানা ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।
  • কোনো আঘাতের কারণে হাঁটুর মাংসপেশী দুর্বল হয়ে গেলে ও কার্যকারিতা হ্রাস পেলে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • পূর্বে হাঁটুতে ব্যথা বা আঘাত পেলে পরবর্তীতে পুনারায় সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
  • স্কিয়িং, বাস্কেটবল, দৌড়ানো বা জগিংয়ের জন্য হাঁটুতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এর ফলে হাঁটুর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষ ও মহিলাদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, হিস্পানিক ও অন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ হাঁটুর ব্যথা মারাত্মক কোনো লক্ষণ নয়। তবে গুরুতর আঘাত বা শারীরিক অসুস্থতা যেমন অস্টিওআর্থ্রাইটিসের কারণে হাঁটুতে ব্যথা হলে এই ব্যথা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ও অস্থিসন্ধির ক্ষতি করে। যথাসময়ে চিকিৎসা করা না হলে অস্থিসন্ধির কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়া হাঁটুতে একবার আঘাত পেলে পুনরায় হাঁটুর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

হেলথ টিপস্‌

হাঁটুতে আঘাত পেলে ও ব্যথা হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করুন-

  • যতটা সম্ভব বিশ্রাম নিতে হবে।
  • ব্যথার স্থানে বরফ দিন।
  • বেল্টের সাহায্যে স্থানটি চেপে রাখুন।
  • শুয়ে থাকা অবস্থায় হাঁটু শরীর থেকে একটু উপরের দিকে রাখুন।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  • খেলাধুলায় অংশগ্রহণের জন্য শারীরিকভাবে ফিট থাকতে হবে।
  • কর্মক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।